২০২০ অলিম্পিকের মাধ্যমে উন্নতির প্রত্যাশা করছে টোকিও

A poster advertisement in Shibuya, Tokyo. Image by  Danny Choo on flickr under Creative Commons Attribution-NonCommercial-ShareAlike 2.0 Generic

টোকিও'র শিবুভাতে বিজ্ঞাপনরত একটি পোস্টার। ছবিঃ ফ্লিকারে ডানি চো। ক্রিয়েটিভ কমন ২.০ জেনেরিক লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত। 

গত ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে টোকিও, মাদ্রিদ ও ইস্তাম্বুল শহরের মধ্য থেকে ২০২০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য স্বাগতিক শহর নির্বাচন করতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্যরা ভোট দিয়েছেন। ভোটে ২০২০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য স্বাগতিক শহর হিসেবে টোকিও নির্বাচিত হয়েছে

টোকিও’র এই জয় উদযাপন করতে গিয়ে মতামতদানকারীরা টুইটারে এর মাধ্যমে শহরটির উন্নয়নের ব্যাপারে তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

যোগাযোগ পরিচালক এবং এক ডজন বইয়ের লেখক নবুকি সাতো, যার ​​টুইটারে ৭০,০০০ এর বেশি অনুগামী রয়েছে, তিনি এই অলিম্পিক / প্যারালিম্পিকের স্বাগতিক দেশ হওয়ার উজ্জ্বল দিকগুলোর প্রতি গুরুত্তারোপ করেছেন:

সাধারণ নির্দিষ্ট সময়সীমা এবং উদ্দেশ্য জাপানিদের আরও ঐক্যবদ্ধ এবং জোরদার করবে। টোকিওতে অলিম্পিক/প্যারালিম্পিক আয়োজনের ফলে দুর্যোগ পীড়িত টহোকু অঞ্চলের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে বলে আমি মনে করি। একই সময়ে, এই ব্যাপারে অনেক নেতিবাচক শব্দ ও প্রচুর উদ্বেগজনক বিষয় রয়েছে, এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। চলুন, একসঙ্গে কাজ করতে আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করি।

সামাজিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অলিম্পিকের ব্যাপারে জাপানিদের মধ্যে অনলাইন কথোপকথন হঠাৎ করে বিস্ফোরিত আকারে প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে প্যারালিম্পিকের উপর কথোপকথনও বেড়েছে, তবে তেমন আকারে নয়।

নীল ডট চিনহ বলছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর তারিখে অলিম্পিক নিয়ে জাপানিদের মধ্যে কথোপকথন ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। সবুজ চিহ্নটি জাপানে “প্যারাঅলিম্পিকস” এবং কমলা “বাঁধা মুক্ত” বিষয়টিকে তুলে ধরছে। সামাজিক বিশ্লেষণটি টপ্সি ডট কমের ভিত্তিতে করা হয়েছে। 

আকারে যদিও কম, তবুও ২০২০ সালের অলিম্পিক/প্যারালিম্পিকের স্বাগতিক হিসাবে টোকিও শহরকে মানুষের জন্য আরো বেশি সুগম করে তুলবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন।

গত ৯ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টুইটের একটি গ্রাফ, যেখানে “バリアフリー” জাপানিজ শব্দটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার অর্থ হচ্ছে “বাঁধা মুক্ত” [সার্বজনীন নকশা]। ২০২০ সালের অলিম্পিকের স্বাগতিক দেশ হিসেবে টোকিও সাধারণ মানুষের জন্য আরও বেশি সুগম, সার্বজনীন নকশা সমৃদ্ধ হবে বলে অনলাইনে সবাই আশা প্রকাশ করেছেন। 

টোকিও বসবাসরত একজন জার্মান সাহিত্য অনুবাদক এবং শান্তির উকিল কায়োকো ইকেদা তার ইচ্ছাগুলোর তালিকাভুক্তি করেছেন:

আমি সত্যিই আশা করি যে সাত বছর পর:

টোকিও’র প্রতিটি কোণে সর্বজনীন নকশা [সব মানুষের জন্য বাধা মুক্ত, প্রবেশযোগ্য] কার্যকরী হবে;

সর্বব্যাপী ওয়াইফাই সংযোগ এবং টেলিগ্রাফের খুঁটি বিলুপ্ত হবে;

সুকিজি বাজার [বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাইকারি মাছ এবং সীফুড বাজার] বিশ্বের বিদেশী পর্যটকদের হাসিতে ভরা থাকবে;

টোকিও, হানেদা এবং নারিতা বিমানবন্দর আরও সুগম হবে; ঘৃণা বক্তৃতার অবসান ঘটবে;

সুনামি আক্রান্ত অঞ্চলগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ঘটবে; পারমাণবিক শক্তি প্ল্যান্ট দুর্ঘটনা সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রিত হবে;

এবং কোন পারমাণবিক প্ল্যান্ট চালু থাকবে না এবং আমরা নবায়ন যোগ্য শক্তিতে ফিরে যাব।

এছাড়াও গেম ডিজাইনার এবং অনুবাদক শিন অকাদা সুপরিণতি সমাজের জন্য আরও প্রবেশযোগ্যতার জন্য তার আশা প্রকাশ করেছেন।

অলিম্পিক/প্যারালিম্পিক আয়োজনের ফলে, শহরটি এবং এর পাবলিক পরিবহনগুলো উন্নতির ক্ষেত্রে সর্বজনীন নকশার দিকে ধাবিত হবে, এর সুবিধাগুলো সবার জন্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে বলে আমি আশা করি। ২০২০ সালে আমার মায়ের বয়স মধ্য-আশি হবে। তাই আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, হাঁটার অসুবিধায় ভোগা বৃদ্ধদের জন্যও সুবিধাগুলো সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করা হবে।

Exit mobile version