ভারত: অল্পবয়েসী নারীরা অংশগ্রহণমূলক ভিডিও শিখছে

ভারতের হায়দ্রাবাদের বস্তিতে অল্পবয়সী নারীরা কীভাবে তাদের কমিউনিটির ভাগ্য বদলানোর জন্যে ভিডিও বানাতে হয় তা শিখছে এবং পরের ফিল্মটিতে অল্পবয়সী নারীদের দলটি বলছে তারা কী শিখেছে এবং কীভাবে তারা কাজের মাধ্যমে তাদের কমিউনিটিকে এবং নিজেদেরকে সাহায্য করছে।

ভারতের হায়দ্রাবাদের বস্তিতে অল্পবয়সী নারীরা ফিলম বানাতে শিখছে

এই প্রক্রিয়াটির মধ্যে অংশগ্রহণমূলক ভিডিও’র উপর পিএইচডি গবেষণারত নমিতা সিং-এর দু’ধরনের কাজ ছিল। তৃণমূল কমিউনিটি গুলোর জন্যে ভিডিও তৈরীতে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক হওয়ার পাশাপাশি মেয়ে এবং শিশুদের জন্যে পরিচালিত মিডিয়া প্রশিক্ষণের টুলকিট এবং গাইডের এই লেখিকা মেয়েদের শিক্ষালাভের প্রক্রিয়াটিও পর্যবেক্ষণ করছেন। মেয়েদের উন্নতির ভিডিও চিত্রায়ণটি প্রযোজনা করার সময় ফিল্মটি বানাতে ব্যস্ত মেয়েরা তাকে আরো বেশি শেখাতে অনুরোধ করে। তিনি এই অভিজ্ঞতার বিষয়ে মন্তব্য করেন তার ব্লগের  প্রশিক্ষক নমিতা সিং বনাম গবেষক নমিতা সিং: আমি যা শিখিয়েছি এবং আমি যা শিখেছি! পোস্টটিতে।

একটু কঠিন! কী করে আমি না বলি? তারা আমাকে আমার গবেষণার বিষয়ে সময় দিচ্ছে। তারা এতে অংশ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই তারা শুধু একটু বেশি শিখতে চেয়েছে। অপরপক্ষে এটা একটা গবেষণা, তাদের শেখাতে গিয়ে আমি আমার উপাত্ত সংগ্রহে আপস করতে চাই না, দু’টো একেবারে আলাদা বিষয় গুলিয়ে ফেলতে চাই না। বিষয়গুলো যদি একটি আরেকটিকে জটিল না করে গবেষণা কী আর গবেষণা থাকবে?  

তাই আমি আমার সংকটকে একপাশে সরিয়ে রেখে চিন্তা করলাম, ভাল কথা, আমি হয়তো আমার ভিডিও তৈরীর বিষয়টি একটা ওয়ার্কশপের মতো করে করতে পারি। খুবই অংশগ্রহণমূলক হওয়ায় একজন প্রশিক্ষক হিসেবে আমি এটা করেছি। গবেষক হিসেবেও আমি এটা করতে পারতাম।

যেমন মনে হচ্ছিল এটা তেমন সহজ নয়। এমন কিছু আছে যা আমি প্রশিক্ষক হিসেবে করেছি কিন্তু গবেষক হিসেবে করতে পারতাম না, এবং বিপরীতক্রমেও তাই……

ইংরেজী সাবটাইটেল করা ভিডিওটি নিচে রয়েছে:

শ্রীমতি সিং একটি উদাহরণ দিতে গিয়ে তার নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন কীভাবে অল্পবয়সী মেয়েরা বুঝতে পারছে তারা যে ভিডিওটি তৈরী করছে তার ক্ষমতা এবং তাদের প্রোডাকশনটির বিভিন্ন দিক খেয়াল করতে পারছে। ভিডিওটির ভাষা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাদেরকে ভিডিওটি দাতা এবং অন্যান্য এনজিওদের কাছে পৌঁছনোর জন্যে ইংরেজীতে করার পরামর্শ দেয়া হলে তারা বাধা দেয়:

মেয়েরা তখন উল্লেখ করে, ‘আমাদের কমিউনিটি ইংরেজী জানে না। আমরা যা বলছি তারা তা বুঝবে না। আমরা সাবটাইটেল দিলেই বা কি, তারা তো পড়তে জানে না। যারা ইংরেজী জানে তারা পড়তে পারবে। সুতরাং শুধু সাবটাইটেলগুলো ইংরেজীতে করা হোক।’ তারা তাদের কমিউনিটির ব্যাপারে সংবেদনশীল এবং কথাও বলে। একজন প্রশিক্ষক হিসেবে কমিউনিটির এই ধরনের প্রয়োজনের প্রতি সাড়া দেয়ার প্রতি সবসময় মনযোগ দিতে হয়। আসলে, স্থানীয় শব্দ ব্যবহার, স্থানীয় গানে উৎসাহ দেয়া ইত্যাদি এই প্রক্রিয়াটির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সর্বোপরি, তাদের কাছে স্থানীয় কমিউনিটির ভিডিওটির সাথে আরো বেশি সম্পৃক্ত হওয়া দরকার।

Exit mobile version