ভিডিও: ভূমিকম্প পরবর্তী জাপানে সার্ফার, জেলে এবং তেজষ্ক্রিয়তা

এই পোস্টটি জাপানের ভূমিকম্প ২০১১ সংক্রান্ত আমাদের বিশেষ কাভারেজ এর অংশ।

সাংবাদিক লিসা কাতায়ামা এবং চিত্রনির্মাতা জেসন উইশনাও ভূমিকম্প পরবর্তী জাপানে মানুষের জীবন চিত্রায়িত করছেন। আমরা সবাই তেজষ্ক্রিয়-তে তারা ২০১১ সালের মার্চ মাসের ভূমিকম্প ও সুনামির পর ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পাওয়ার প্ল্যান্ট এলাকায় তাদের নিজেদের তোলা ৫০% ফুটেজ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের তোলা ৫০% ফুটেজ – যাদেরকে নিজেদের ভূমিকম্প থেকে বাঁচার এবং বিকিরণ সামলানোর গল্প বলার জন্যে ওয়াটারপ্রুফ ডিজিটাল ক্যামেরা দেয়া হয়েছিল। আমাদের কাছে গল্পটি এসেছে হাস্যরত স্কুইড হয়ে

http://youtu.be/CMM0lOMOdks

গত ২০১১ সালের ১১ই মার্চ তোহুকুর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল থেকে দূরবর্তী একটি ৯.০ ভূমিকম্প জাপানকে আঘাত করে। এটা জাপানকে আঘাতকারী এ পর্যন্ত রেকর্ডকৃত সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং এর পরবর্তী ৪০.৫ মিটার (প্রায় ১৩৩ ফুট) পর্যন্ত সুনামী দেশটির উপকূলীয় ভাগের বৃহৎ অঞ্চল ধ্বংস ও ফুকুশিমা দাইচি পাওয়ার প্ল্যান্টের রিএক্টর ক্ষতিগ্রস্ত করে মহাসাগরীয় জলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিকিরণ ছড়িয়ে দেয়। অনেক এলাকা পুনর্গঠিত এবং সেখানকার লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হলেও অনেকেই তাদের ভূমিকম্প পূর্ববর্তী জীবনে ফিরে যেতে এখনো সংগ্রাম করছে। সার্ফারদের মতো যারা পানিতে নেমে বেঁচে থাকে বা যারা পানি থেকে জীবন ধারণ করে – যেমন জেলেরা – তারাই বুঝতে পারছে তেজষ্ক্রিয়তা কীভাবে তাদের জীবন পরিবর্তন করতে পারে, তাদের অব্যহত কল্যাণের চাবিকাঠি হতে পারে।

ইন্ডিগোগো নামের গণভিত্তিক মঞ্চের মাধ্যমে আমরা সবাই তেজষ্ক্রিয় তাদের ওয়েব ধারাবাহিকের পর্বগুলো আরো বেশি করে প্রকাশ করার জন্যে তহবিল সংগ্রহ করছে: একটি পর্বের জন্যে পর্যাপ্ত অর্থ সংগৃহিত হলেই তারা এটি তাদের সাইটে প্রকাশ করবে, পুরো চারটি পর্ব তৈরী না হওয়া পর্যন্ত। তাদের প্রচারাভিযান শুরু করার পর থেকে তারা প্রথম পর্বটি প্রকাশ, ১১ই মার্চ ভূমিকম্পটির বর্ষপূর্তিতে তাদের ওয়েবসাইট চালু করেছে এবং ২১শে মার্চ তারা তাদের সাইটে ধারাবাহিকটির দ্বিতীয় পর্বটি শেয়ার করবে। তাদের তহবিল সংগ্রহকারী সাইট বলছে:

তেজষ্ক্রিয়তা এবং দুর্যোগ মোকাবেলার জটিলতা সংক্রান্ত রাজনৈতিক ও সামাজিক স্তরের মৌলিক প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে আমরা সবাই তেজষ্ক্রিয় প্রযুক্তি, বিনোদন ও শুদ্ধ তদন্ত ধর্মী সাংবাদিকতাকে একত্রিত করেছে।

আমাদের ফুটেজ আর্কিটেকচার ফর হিউম্যানিটি, গ্রীণ পীস, সার্ফ রাইডার ফাউণ্ডেশন এবং সেফকোস্ট ইত্যাদি জাপানকে সাহায্য করার জন্যে নিবেদিত সমস্ত বৈশ্বিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকম্প পরবর্তী পূণর্গঠন,  মানব ও পরিবেশগত অধিকার, নিরাপদ পানি এবং পর্যবেক্ষণ কর্মকে স্পর্শ করেছে।

http://youtu.be/IkEONddlpmU

এই ধারাবাহিকটির প্রথম পর্বে আমরা জাপান ভ্রমণে এসে সেনডাইতে থেকে যাওয়া (হার্ট) প্রতিস্থাপন করা মার্কিন সার্ফার অটামের সাথে দেখা করেছি। ভূমিকম্পের পরে তিনি অন্যান্য স্থানীয় সার্ফার ও জেলেদের সাথে জোট বেঁধে তাদের সৈকত এবং কমিউনিটিগুলোতে কাজ করার মাধ্যমে জীবন পূণর্গঠণের উপায় বের করার চেষ্টা করছে।

http://youtu.be/11vi3ktTr7g

গণ অর্থায়ন প্রচেষ্টাগুলো কীভাবে এসেছে এবং নতুন প্রকাশ সম্পর্কে সমস্ত আপডেট প্রকল্পটির ফেসবুক পাতা আমরা সবাই তেজষ্ক্রিয়-তে রয়েছে। ভিডিও এবং ওয়েবসাইট জাপানী ও ইংরেজী ভাষায়। এতে জাপানের পারমাণবিক শক্তির ইতিহাসের কালক্রমিক রূপরেখা এবং ধারাবাহিকটির চারটি চরিত্র: ১ম অধ্যায়ের অটাম, সার্ফার কন্নো, অনাগত সন্তানসহ তার কমিউনিটি উপর তেজষ্ক্রিয়তার প্রভাব বুঝতে চেষ্টা করা মানবিক কর্মী কাসাহারা, ঝুঁকি পূর্ণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুর্যোগটির বিভিন্ন প্রভাব আবিষ্কার রত একদল শিল্পী-এর সাথে সাক্ষাতের লিংক রয়েছে।

নৌকা উদ্বোধন উৎসবের ছবি, ফেসবুক পাতার আমরা সবাই তেজষ্ক্রিয়তার বিশেষ প্রাকপ্রদর্শনী থেকে

এই পোস্টটি আমাদের বিশেষ কাভারেজ জাপানের ভূমিকম্প ২০১১-এর অংশ।

Exit mobile version