যদিও চীনে টুইটার বন্ধ করে রাখা হয়েছে, তবে এই সাইটে চীনের ব্যবহারকারী, যারা ভিন্ন ভিন্ন অংশে অবস্থান করে, তারা দ্রুত কিছু অনুবাদকের অনুসন্ধান করে [ চীনা ভাষায়], টুইটারে বিবৃতি অনুবাদ করার জন্য, এবং তারা বের করার চেষ্টা করেছে এর মানে কি- যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় টুইটার. সিএন অথবা আই উইউই বিস্মিত, এখন কি এমন কোন নতুন প্লাটফর্মে চলে যাবার সময় এসেছে কিনা, যা তার ব্যবহারকারীদের প্রতি আরো শ্রদ্ধাশীল [চীনা ভাষায়]।
উয়েন ইয়ুনাচাও গুয়াংজুর এক অন্যতম প্রখ্যাত ইন্টারনেট একটিভিস্ট এবং এক ধরনের আভ্যন্তরীণ নির্বাসনে হংকং-এর একটি নতুন টিভি চ্যানেলে পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন, তিনি তার টুইট একাউন্টে (@ওয়েনইয়েনচাও) বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে টুইটারের এই নতুন সেন্সরশিপের নীতির বিষয়ে তার চিন্তা পোস্ট করেছেন।
১. টুইটারের দৃষ্টিকোণ থেকে তাকালে এটা একটা উন্নতি। এর আগে যে কোন দেশের সরকারের নির্দেশে টুইট মুছে ফেলা হত। যার ফলে বিশ্বের কেউ আর তা দেখতে পেত না। এখন কেবল, টুইটার ব্যবহারকারী যে দেশের বাসিন্দা, শুধুমাত্র সেই দেশের নাগরিকরা দেখতে পাবে না, যে তথ্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
২. টুইটারের এই নতুন সেন্সরশিপ নীতি চীনা ভাষী নাগরিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। প্রযুক্তিগত কারণে টুইটারের পক্ষে এটা নির্ধারণ করা কঠিন যে কোন ব্যবহারকারীর অবস্থান চীনে, কারণ এই সাইটে প্রবেশ করার জন্য তাদের জিএফডাব্লিউ নামক বিষয় অতিক্রান্ত করতে হবে, যার মানে হচ্ছে কোম্পানীর কাছে যথেষ্ট তথ্য থাকবে না যে, কে চীনে অবস্থান করছে এবং কার তথ্য বন্ধ করতে হবে।
৩. যদি টুইটার, চীনে তার কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সেটাতে দুটি বাঁধা রয়েছে, যা তারা অতিক্রম করতে সক্ষম হবে না। প্রথমত ব্লাক বক্স সেন্সরশিপ মেকানিজম- এবং স্বচ্ছ নীতির সাথে-এর দ্বন্দ্বের সমাধান করার কোন উপায় নেই, যতক্ষণ না টুইটার গুগলের মত কাজ করে এবং চীনে একটি যৌথ বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে। যাদেরকে টুইটারে বন্ধ করে দেওয়া হবে,কোম্পানিকে তাদের সকলের মামলা মোকাবেলা করতে হবে।
৪. দ্বিতীয়ত; যদিও টুইটারের, সিনা ওয়েবোর মত সরকারের সাথে গণ যোগাযোগ থাকে, তারপরে তার সিনার মত বিশাল জনবল নেই, যার মধ্যে দিয়ে তারা লেখাকে সেন্সর করতে পারবে। এমনকি চীনা কর্তৃপক্ষ, সে দেশে টুইটারের মত প্লাটফর্মের অনুমতি প্রদান করবে না। টুইটার, যে কিনা সিনা ওয়োবোর উন্মুক্ত, তাকে চীনে সেবা প্রদান করার জন্য অনুমতি প্রদান করবে না।