মিশর: ফেব্রুয়ারী ২৫ কি মিশরীয় বিপ্লবের পুনরায় শুরুর দিন?

এই পোস্টটি মিশর বিক্ষোভ ২০১১ সংক্রান্ত আমাদের বিশেষ কাভারেজ এর অংশ।

গতকাল, ২৫ জানুয়ারীর এক মাস পরে, বিক্ষোভকারীরা তাহরির স্কোয়ারে গিয়েছে উদযাপন করতে আর ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের নিয়োজিত সরকারের পতন দাবি করতে। মিশরীয়রা তাদের বিদ্রোহের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান হয়ে উঠছে, আর তারা এখনো নিশ্চিত না যে পুরানো মোবারক সরকারের ব্যক্তিরা, যারা এখনো নিয়ন্ত্রণে আছেন, বিশ্বাস করার মতো কিনা। পরে রাত্রে, কিছু বিক্ষোভকারী সিদ্ধান্ত নেন তাহরির স্কোয়ার আর সংসদ ভবনের সামনে অবস্থান নেয়ার।

রাত্রে পরিস্থিতি তারা যেমন আশা করেছিলেন তেমন অবশ্য থাকে নি। মানাল টুইট করেছেন যে সেনা পুলিশ কিভাবে জোর করে এলাকাটা খালি করতে চেয়েছে।

@মানাল: সেনা ও পুলিশ মানুষকে মারছে আর গ্রেপ্তার করছে এখন তাহরির স্কোয়ারে #জান২৫। আমাদের সাহায্য করেন তাদের মুখোশ উন্মোচনে।

জেইনোবিয়া আজকে যা ঘটেছে তার তুলনা করেছেন বিদ্রোহের প্রথম দিনের সাথে।

জানুয়ারী ২৫ তারিখের ঘটনাবলী এমনভাবে শুরু হয় যখন পুলিশ বাহিনী মধ্যরাতের পরে তাহরির স্কোয়ারের বিক্ষোভকারীদের উপরে আক্রমণ চালায় আর এই কারনে আমি এখন খুব ভীত!!

যারা তাহরির স্কোয়ারে আর কাসর আল আইনি সড়কের ক্যাবিনেট হেডকোয়ার্টারে অবস্থান করছিল সেনা ও পুলিশ তাদের আক্রমণ করেছে। বিক্ষোভকারীদের তাড়া করা হয় আর যারা দেখেছেন তারা বলছেন যে ছড়ি আর চাবুক ব্যবহার করা হয়েছে, কর্মীদের আটক করা হয়েছে। কাঊকে সেখানে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না, সাংবাদিকদের কি ঘটছে তা রিপোর্ট করতে দেয়া হয়নি। শোনা যাচ্ছে যে মেশিন গান হাতে মুখোশধারী লোকদের সেনা পুলিশের সাথে দেখা গিয়েছে, আমার মনে হয় বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখানোর জন্য তাদের আনা হয়েছে।

কিছু টুইটার ব্যবহারকারী অবশ্য মনে করছেন যে সেনা পুলিশ যা করেছে তা যুক্তিসঙ্গত।

@এনোনিমাস ব্লাঙ্ক: তারা তাহরির থেকে বিক্ষোভকারীদের তাড়া করে বের করে দিতে থাকে, অর্থনীতিতে আরো খারাপ প্রভাব রোধের জন্য! আমি একমত যে সংঘাত কোন সমাধান না, কিন্তু মানুষের উচিত অবস্থান করা থামানো [ওখানে]।

@লগিকপাথ: সেনাবাহিনীকে সম্মান করো আর তারাও তোমাকে সম্মান করবে! ১২টার সময় কারফিউ, তাহলে ১২টায় কারফিউ। শান্তিপূর্ণ বা অন্য কিছু।

তবে, আহমেদ জাকি ওসমান আর জেইনোবিয়া এমন যুক্তি হজম করছেন না।

@আহমেদজাকিওসমান: আমাদের প্রতিবাদের অধিকার আছে আর মানুষ কারফিউ সত্ত্বেও তাহরিরকে তাদের বাড়ি হিসাবে ধরে নিয়েছিল।

জেইনোবিয়া যোগ করেছেন:

আমি জানি কেউ বলবে যে কার্ফিউ আছে আর আমি তাকে বলি যে কেউ সেনা বাহিনীকে অধিকার দেয়নি তার কারনে অবস্থানকে এমন লজ্জাজনক আর অপমানজনকভাবে শেষ করার। ১৮ দিন ধরে সেনা বাহিনী প্রতিবাদকারীদের থাকতে দিয়েছে তারা যেমন চায় তেমন ভাবে কারফিউ সত্ত্বেও। এর মধ্যে ২রা ফেব্রুয়ারী কার্ফিউ ছিল যখন গুন্ডারা আক্রমন করে বিক্ষোভকারীদের হত্যা করেছিল??

এটা পরিস্থিতির বিপদজনক অবনতি, অগ্রহণযোগ্য।

পরিশেষে, গত রাতের আরো ভিডিও আর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হচ্ছে

সর্বশেষ: সেনা বাহিনী তাদের অফিসিয়াল ফেসবুকের পাতায় ক্ষমা চেয়েছে

এই পোস্টটি মিশর বিক্ষোভ ২০১১ সংক্রান্ত আমাদের বিশেষ কাভারেজ এর অংশ।

Exit mobile version