রাশিয়া: চতুর্থ সন্তান

একমাস অথবা তার সামান্য আগে, লাইভ জার্নাল (এলজে) ব্যবহারকারী ভিওনডেল (রাশিয়ার সাংবাদিক ভাদিম রেচকালোভ) দ্বিতীয় এলজে ব্লগ (ভোয়নডেল) চালু করেন এবং ঘোষণা দেন (রুশ ভাষায়) যে তিনি এটি “অবসরের লেখা পোষ্ট” করার জন্য ব্যবহার করবেন। যতদুর জানা গেছে রেচকালোভ তার নতুন ব্লগে দুইবার পোষ্ট করেছেন। তার প্রথম লেখা মস্কোর এক পুলিশ অফিসারের গুলিতে নিহত তিনজন ব্যাক্তির মধ্যে একজনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমন্ধে, যা এপ্রিলে মস্কোর এক সুপার মার্কেটে ঘটে; দ্বিতীয় ঘটনা (রুশ ভাষায়) এক চেচেন পরিবারকে তুলে ধরেছে – এখানে তার কিয়দংশের অনুবাদ দেওয়া হল:

আলাউদিন এবং ফাতেমার কেবল ছেলে সন্তান জন্ম নিচ্ছে। কিন্তু তারা এক মেয়ে সন্তানের জন্য স্বপ্ন দেখে, বিশেষ করে আলাউদিন। আত্মীয়রা আলাউদিনকে বুঝতে পারে না। তার বাসায় তিনটি ছেলে সন্তান বড় হচ্ছে। আত্মীয়রা অবশ্যই বলবে, সে একটা মেয়ে শিশুর স্বপ্ন দেখছে।

আলাউদিন এবং ফাতিমা বাস করে [গ্রজনীতে], তাসকাল [এলাকায়], জাভেতিই ইলয়াচা রাস্তার একটা পাঁচতলা বিল্ডিং-এ। যখন যুদ্ধ শুরু হলো আলাউদিন তার পরিবারকে এখান থেকে [নজরানে] নিয়ে গেল, তারপর আবার গ্রজনীতে ফিরে এলো, তার এপার্টমেন্ট বা বাসাটাকে দেখতে।

রাতের বেলা আলাউদিন বারান্দায় আসতো। সে ধুমপান করতো এবং দেখতো [লক্ষ্যবস্তু খুঁজতে সমর্থ ট্রেসার বুলেট] উড়ে যাচ্ছে। মর্টার আক্রমণের সময় আলাউদিন সাধারণত এ্যাপার্টমেন্টে তালা দিয়ে নীচের ভুগর্ভস্থ অংশে চলে যেত। একবার বোমাবর্ষণের পর যখন সে রাস্তায় হাটছিল, সে দেখলো এক মহিলা রাস্তায় পড়ে আছে। তাকে সে চেনে না এবং তার পাশে একটা শিশু শুয়ে আছে– মহিলা সময়মতো ভুগভস্থ অংশে আশ্রয় নিতে পারেনি। শিশুটি জীবিত ছিল। আলাউদিন শিশুটিকে বাসায় নিয়ে এলো [এবং শিশুটির গায়ে মোড়ানো যা ছিল তা রান্নাঘরের টেবিলের উপর খুলে রাখলো]

“আবার একটা ছেলে,” আলাউদিন বললো এবং হাসতে শুরু করলো।

এভাবেই আলাউদিন এবং ফাতিমা তাদের চতুর্থ সন্তানটিকে পেল। আলাউদিন তাকে মরিস বলে ডাকে, তার প্রিয় বইয়ের প্রিয় চরিত্র ঘোড়া শিকারী মরিসের সন্মানে [চরিত্রের নাম মরিস জেরাল্ড, বইয়ের নাম দি হেডলেস হর্সম্যান, লেখক মাইন রিড]।

আলাউদিনের আত্মীয়রা বিষয়টি বুঝতে পারে না। মরিস- এটা কি ধরনের নাম? তার বদলে তাকে মেয়ারবেক বলে ডাকা উচিত….

Exit mobile version