মায়ানমার: এক প্রাচীন প্যাগোডার ভেঙ্গে পড়া

সম্প্রতি সংস্কার করার সময় মায়ানমারের এক প্রাচীন প্যাগোডা ভেঙ্গে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় পাঁচজন লোক মারা গেছে এবং অনেক শ্রমিক ও তীর্থযাত্রী আহত হয়েছে।

ডানোকে প্যাগোডার ভেঙ্গে পড়া অংশ (নিউ এরা জার্নাল থেকে)

ডানোকে প্যাগোডার ভেঙ্গে পড়া অংশ (নিউ এরা জার্নাল থেকে)

১৮০ ফুট উঁচু ডানোকে প্যাগোডা দালা শহরে অবস্থিত, যা ইয়াঙ্গুন বিভাগের ইয়াঙ্গুন নদীর তীরে তৈরি করা হয়েছিল। এই প্যাগোডা নার্গিস নামক ঝড়ের প্রথম ক্ষতিগ্রস্থ হয়, যার জন্যে এর সংস্কার করা হচ্ছিল।

২০০৯ সালের মে মাসের সাত তারিখে ডানাকে প্যাগোডায় আমব্রেলা হোস্টিং নামে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল সামরিক বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল থান শুয়ের স্ত্রী।

নিউ এরা জার্নাল জানাচ্ছে:

প্যাগোডার কাছে ডানোকে গ্রামে বাস করা এক বৃদ্ধ মহিলা বলছে, “বেলা প্রায় ২ টার সময় ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে প্যাগোডার হিতি-তাও (অলংকার শোভিত চুড়া) ভেঙ্গে পড়ে, যদিও সে সময় জোরে কোন হাওয়া বইছিল না। যারা সংস্কারের কাজ করছিল তারা এর চারপাশে বাধা কাঠামোর উপর দাড়িয়ে কাজ করছিল। তারা ভেঙ্গে পড়া হিতি-তাও ঠিক করার চেষ্টা করছিল। প্রায় দশ মিনিট পর আমি একটা আওয়াজ বা গর্জন শুনলাম এবং প্যাগোডার পুরো অংশ ভেঙ্গে পড়লো, ধুলা উড়তে শুরু করলো এবং সবকিছু অন্ধকারে ঢেকে গেল। আমি ভাগ্যবান, কিন্তু আমার এক ছেলে সেখানে কাজ করছিল। সে মাথায় আঘাত পায় এবং অন্যটি ছেলেটির হাত ক্ষতবিক্ষত হয় এবং সে পিঠে ব্যাথা পায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছে সে সময় সেখানে প্রায় ১০০ জন লোক ছিল। যার মধ্যে ছিল সংস্কার করা শ্রমিকের দল, শনি ও রোবাবারে যার প্যাগোডায় স্বেচ্ছা শ্রম দেয় তারা। নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা সেদিন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিল এবং তাদের মধ্যে অনেকে আহত হয়েছিল।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী নিউ এরা জার্নালকে জানায়:

প্যাগোডা সংস্কারের চুড়ান্ত পর্যায়ে ছিল। তাকে সোনার পাতা দিয়ে মুড়ে দেবার জন্য তৈরী করা হচ্ছিল। কাজেই সেখান থেকে লাফ দেওয়া এবং পালানো কঠিন কাজ ছিল। পাথরের টুকরোর নীচে প্রায় পঞ্চাশজন লোক আটকে ছিল। পঞ্চাশজন আহত ব্যাক্তিকে আহত হিসেবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন রেডক্রস কর্মী বলেন:

যতদুর জানা যায় পাঁচজন এই ঘটনায় মারা গেছে। তাদের মৃতদেহ ইতিমধ্যে বের করে আনা হয়েছে। কিছু লোক তখনও চাপা পড়েছিল এবং আমরা তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করি।

উপরের উদ্ধৃতিটি নিউ এরা জার্নাল থেকে অনুবাদ করেছেন লেখক নিজে। মুল লেখাটি বার্মিজ ভাষায় লেখা হয়েছে।

Exit mobile version