আর্জেন্টিনা: রিয়াচুয়েলো নদী পরিষ্কার করা

লা মাতাঞ্জা নদী, যা পরিচিত এল রিয়াচুয়েলো (ছোট নদী) হিসাবে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আয়ার্স শহরকে একই নামের প্রদেশ থেকে আলাদা করে। পর্যটক যেখানে খুব বেশী যায় সেই বোকা অঞ্চলের মধ্য দিয়ে এল রিয়াচুয়েলো বয়ে যায়। কারন এখানে কামিনিতো আছে, ট্যাঙ্গোর ইতিহাসের বিখ্যাত নির্দশন। কামিনিতো রাস্তায় নাচ গানের সুযোগ দেয় আর এটা খুব রঙ্গীন একটা ছোট সড়ক। বুয়েনোস আয়ার্সে গেলে যে কেউ ট্যাঙ্গো অর্কেস্ট্রার মনকাড়া পরিবেশনা শুনতে পারে গ্রীষ্মের রাতে আর সন্ধ্যা শেষ করতে পারে নদীর ধার দিয়ে হেঁটে। দুর্ভাগ্যবশত এটা ভালো উপায় নাও হতে পারে। এই পানির স্রোত দেশের মধ্যে সব থেকে বেশী দূষিত। এর পানিতে নদীর ধারের অসংখ্য কারখানার বর্জ্য মেশে, বিশেষ করে ট্যানারির।


ছবি ফাজতুর সৌজন্যে এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।

তবে সব কিছু হারিয়ে যায়নি। বুয়েনোস আয়ার্স বন্দর আর্কটিক সানরাইজ (আর্কটিকের সূর্যোদয়) জাহাজকে স্বাগত জানাচ্ছে যেটি গ্রীনপিসের একটি বরফভাঙ্গা জাহাজ যারা নদী পরিষ্কার করার জন্য প্রচারণাটিকে সমর্থন করবে । এই জাহাজ ব্রাজিল থেকে আসছে যেখানে আমাজনে এটি একই ধরণের প্রচারণা যুক্ত ছিল ।

আর্কটিক সানরাইজ এর ভ্রমণ এক ধরনের চাপের প্রতিকৃতি আর সাধারণ জনগণের জন্য মনে করিয়ে দেয়া যে জাতীয় আদালতের সিদ্ধান্তের নয় মাস পরে নদী পরিষ্কারের ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষের দিক থেকে কাযর্ক্রমের অভাব আর অনেক আগে আসা আশান্বিত ফলাফল সত্ত্বেও একজন আর্জেন্টিনার ব্লগার ফ্রান্সিস্কো ইসলা মন্তোয়া কিছু আশা প্রকাশ করেছেন তার ব্লগ লা কমিউনিকেশন নো এস ইঞ্জেনুইয়াতে:

Hoy los esfuerzos comienzan a dar resultado, hay nuevas generaciones, cambio social y leyes que pretenden resguardar el planeta o al menos intentarlo. Greenpeace, su rompehielos, está en Buenos Aires, esto no es inocente, es la voz de ambientalistas, ecologistas y ciudadanos conscientes de cuidar la casa.

আজকে চেষ্টার ফল পাওয়া আমরা শুরু করেছ। নতুন প্রজন্ম আছে, সামাজিক পরির্বতন আর আইন আছে যেগুলো দিয়ে গ্রহকে বাঁচানো যায় বা অন্তত চেষ্টা করা যায়। গ্রীনপিসের বরফভাঙ্গা জাহাজ বুয়েনোস আয়ার্সে আছে, এটার একটা মাহাত্য আছে। এটা পরিবেশবাদী, ইকোলজিস্ট আর সচেতন নাগরিকদের কন্ঠ যারা নিজেদের ঘরের খেয়াল রাখতে চায়।


ছবি এলবীর সৌজন্যে এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।

গ্রীনপিসের জন্য নতুন প্রযুক্তির সমন্বায়ক হের্নান নাদাল তার ব্লগ লিস্তাও এ পোস্ট করেছেন রিয়াচুয়েলোর জন্যে এনজিওর প্রচারনার একটা ভিডিও:

আর্কটিক সানরাইজ আগমনের এক সপ্তাহ আগে, গ্রীনপিস টেলিফোনের একটা লাইন খোলে যার মাধ্যমে মানুষ তথ্য দিতে পারবে এলাকায় বানিজ্যিক বর্জ্য সম্পর্কে। প্রোটাগনিস্টাস ব্লগের একটা তথ্য অনুসারে এই ডাটা ব্যবহার করা হবে নদীর অববাহিকায় দূষণের একটা মানচিত্র তৈরিতে আর এর ফলে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে যে কয়টা কারখানা এই দূষণের জন্য দায়ী।

কর্তৃপক্ষের কার্যহীনতা সত্ত্বেও, পরিবেশবিদ আর জাগ্রত নাগরিক দীর্ঘ প্রতীক্ষার ফল আনতে সাহায্য করতে পারেন একটা নদীর জন্য যেটাকে তার পূর্বাবস্থায় ফেরানো যাবে। এটি এমন একটি স্থান হিসাবে গণ্য হবে যেখানে পরিবারের একত্র হওয়া যায়, পর্যটকদের মজা করার সুযোগ থাকে আর জীবন প্রস্ফূটিত হয়।

Exit mobile version