ব্রাজিল: একটা ‘ডিজিটাল ব্যাপটিজম’ এর মাধ্যমে ওয়েবকে পরিচিত করা

Digital Baptism

একটি ‘ডিজিটাল ব্যাপটিজম (দীক্ষা)’ ব্রাজিলের মিনাস গেরিয়াস প্রদেশের রাজধানী বেলো হোরিজোন্টেকে ডিজিটাল যুগে পদার্পন করিয়েছে। এই শনিবারে (৭ই মার্চ, ২০০৯) স্থানীয় সরকার, পাবলিক মিনিষ্ট্রি আর ল্যান হাউস এসোশিয়েশনের সহযোগীতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল অর্ন্ত্ভুক্তির প্রচারণা আর অনলাইন উদ্যোগের প্রসার। বেলো হোরিজোন্টেতে এই প্রথমবার ‘ডিজিটাল ব্যাপটিজম’ ঘটেছে, যদিও এই অনুষ্ঠান ছড়ানো ছিটানো ভাবে সাও পাওলো আর রিও দে জেনেইরোতে ২০০৫ সাল থেকেই হচ্ছে।

রাজধানীর একটা স্কোয়ারে একটা তাঁবুর নীচে ৫০টা কম্পিউটার ওয়েবের সাথে যুক্ত ছিল আর দিনভর ১০০ জন সাহায্যকারী এলাকার সকল বয়সী মানুষকে সাহায্য করেছে অনলাইনের খুঁটিনাটি জানতে। প্রধান দুই ধরনের কর্মশালা ছিল: ডিজিটাল ব্যাপটিজম ১.০ – সেসব লোকের জন্য যাদের কখনো সুযোগ হয়নি কম্পিউটার চালিয়ে সাধারণ ব্যবহার শিখে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট দেখার। আর ডিজিটাল ব্যাপটিজম ২.০ – আরো অগ্রগামী ব্যবহারকারীদের জন্য যারা বিশ্বব্যাপী ওয়েবে আরো গভীরভাবে ডুব দিতে চায় আর নতুন নতুন প্রযুক্তি দেখতে চায় পরীক্ষা করে। ফাবিও সান্তোস টুইটারে জানিয়েছেন:

৪৪ বছরের হ্যারল্ডো তার ৯ আর ১২ বছরের দুই ছেলেকে সঙ্গে করে এনেছেন আজকে ডিজিটাল ব্যাপটিজম কর্মশালায়। তিনি তার বাচ্চাদের অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।

টুইটার ব্যবহারকারী @ফাবিওসান আমাদের ৬৭ বছরের বৃদ্ধার কথা বলেছেন যিনি আগে কখনো কম্পিউটার ব্যবহার করেননি। এই বৃদ্ধা সিদ্ধান্ত নেন ডিজিটাল দীক্ষাতে অংশ নেয়ার যাতে তিনি অন্য প্রদেশে থাকা তার বোনদের (ইতিমধ্যেই যোগাযোগ আছে) সাথে যোগাযোগের নতুন পথ পেতে পারেন:

মিস ইগ্নেস রিওতে থাকা তার বোনদের সাথে সব সময় ফোনে কথা বলতে পারেননা। “এখন আমি কথোপকথনে যোগ দিতে পারি।” বলছেন তিনি কারন তাকে দীক্ষা দেয়া হয়েছে।

এই পোস্ট অনুষ্ঠানের ব্লগ থেকে নতুন ‘দীক্ষা’ পাওয়া ব্যবহারকারীদের বয়স অনুযায়ী ভাগ দেখিয়েছে। প্রথম ছবিটি ফ্লিকার ব্যবহারকারী পিভিল্লার:



Todas as idades passam por aqui!

সব বয়সের মানুষ এখানে!

এই পোস্ট পরিচিত করছে বেলো হোরিজোন্টের নতুন টুইটার ব্যবহারকারীদেরকে:



Com auxílio do Rosalves, os novos agentes aprenderam a Usar o Twitter!

সাহায্যকারী রোজালভেসের সাহায্য নিয়ে, নতুনেরা টুইটার ব্যবহার করা শেখে!

নীচে ইকুইপতেইএমজি এর পোস্ট করা অনুষ্ঠানের একটা ভিডিও দেখা যাবে। আরো কিছু ভিডিও দেখা যাবে অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারীদের মাধ্যমে:

অনুষ্ঠানটি লাইভ ব্লগ করা হয় আর ভিডিও স্ট্রিম করা হয় একটা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যারা টুইটার, ফ্লিকার, ইউটিউব আর ব্লগের অন্যান্যদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জোগাড় করেছিল হ্যাশট্যাগ #bdigitalmg এর মাধ্যমে।

Exit mobile version