আর্মেনিয়া: ইউরোভিশন নিয়ে আশাবাদিরা

যদিও ইউরোপের বেশিরভাগ দর্শক এটাকে নিছক বিনোদন হিসাবেই দেখে, কোন সন্দেহ নেই যে ইউরোভিশন আন্তর্জাতিক গানের প্রতিযোগিতা দক্ষিণ ককেশাসে বেশ গুরুত্বের সাথে নেয়া হয়। সে দেশের সংস্কৃতি আর পরিচিতি তুলে ধরার জন্য এক উৎকৃষ্ট সুযোগ হিসাবে একে ধরা হয়। আর্মেনিয়ার অনেকে উৎসুক দেখার জন্য যে কারা তাদেরকে আগামী মে মাসে মস্কোতে অনুষ্ঠিতব্য এই প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করবে।

একটা সম্ভাবনা আছে যে স্থানীয় শিল্পী ইঙ্গা আর আনুশ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে আর এরই মধ্যে তাদের একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে তাদের মনোনয়নকে সমর্থন করার জন্য। তবে দ্যা আর্মেনিয়ান অবজার্ভার সন্তুষ্ট হননি:

যেহেতু আমি এই মেয়েদেরকে সহ্য করতে পারিনা কারন তারা গান গাওয়ার ভান করে চিৎকার করে। আমি তাই এ ব্যাপারে পোস্ট দিতে দেরী করছিলাম। তবে এই মেয়েদেরকে সমর্থনের জন্য ইউরোভিশনে একটা ফেসবুকের দলে যোগদানের আমন্ত্রণ আসে। আমি তখন বুঝতে পারলাম, পছন্দ করি বা না করি, তারা আর্মেনিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করবে আর আমি আর্মেনিয়াকে সমর্থন করবো- এই দু:খজনক মনোনয়ন সত্ত্বেও। কারন সব কিছুর পরেও- ইউরোভিশন আশ্চর্যজনকভাবে, আর্মেনিয়ায় জন্যে বেশ বড় ব্যাপার, আর তাদের বিকল্প খুব বেশী নেই।

অন্যরা অবশ্য অন্যভাবে দেখে। উদাহরণস্বরুপ আনজিপড: গে আর্মেনিয়া আশা করে যে এই দুই শিল্পী শনিবার জাতীয় ড্রতে বাছাই হয়ে মনোনীত হবে:

ইঙ্গা আর আনুশ আর্শাকিয়ান্স জানিয়েছে যে তারা “গুটান” নামক গান পরিবেশন করবে ইউরোভিশন ২০০৯ এ আর্মেনিয়ার হয়ে। অবশ্য ১৪ই ফেব্রুয়ারীর চুড়ান্ত বাছাই এর ফলে ওরা যদি বাছাই হয় তাহলে। ওরা গুনান্বিত, ভালো কন্ঠ আর মঞ্চে পরিবেশন ক্ষমতা আছে। ওরা বিরক্তিকর না, আর স্নিগ্ধভাবে অন্যদের থেকে পৃথক। আর তাদের গান “গুটান” আমি বেশ পছন্দ করি- লোকগীতির সংমিশ্রন। খারাপ না। একেবারেই খারাপ না। আসলে বেশ ভালো। এগিয়ে গেলো ইঙ্গা আর আনুশ!

রিয়াল আরমেনিয়া একমত:

আমার ভোট ইঙ্গা আর আনুশ আর্শাকিয়ান্স এর জন্য!!!

আর্শাকিয়ান্স প্রথমে শুরু করেছিল আর্মেনিয়ার জাতীয় সঙ্গীত থিয়েটার দিয়ে আর পরে পরিবেশন করেছে স্থানীয়- লোকসঙ্গীত আধুনিক পরিবেশনায়। বাজনা ঐতিহ্যগত সুরকে বাঁচিয়ে এতে সুন্দর আধুনিক একটা মোড় দেয়।

পাঁচ দিনের মধ্যে, বাছাই করা হবে আর দেশের ও বাইরের আর্মেনিয়রা অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকার কম সময় পাবেন।

Exit mobile version