ধারণা করা হয় ৩৩৬ টি গরিলার বাস উগান্ডার বুইন্ডি সংরক্ষিত জাতীয় পার্কে। সেখানে গরিলার সংখ্যা পরিমাপের জন্য এক বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে দেখা হয় এই রাজকীয় বানর প্রজাতিরা প্রতিরাতে কতটি বাসা বানায়। এখন নতুন এক গবেষণা ধারণা দিচ্ছে যে বাসা দিয়ে গরিলা গোনার পদ্ধতিতে গরিলার সংখ্যা বেশী ধারণা করা হতে পারে, বিশেষ করে যখন একটি গরিলা এক রাতে একের বেশী বাসা বানাতে পারে।
পাওলা কাহুমবু গরিলা রক্ষা ব্লগে লিখছেন এই রিপোর্ট সমন্ধে:
সম্প্রতি জার্মানির লাইপজিগে অবস্থিত ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনিস্টিউিট ফর এভালিউশনারি এনথ্রোপোলজির ক্যাটেরিনা গুসচেনস্কি গরিলার মল থেকে পাওয়া ডিএনএ পরীক্ষা করে আবিস্কার করেছেন আসলে অনেক কম মাউন্টেন গরিলা অবিশিষ্ট রয়েছে। তিনি ৩০২ টি আলাদা জেনেটিক কোড বা জীনের ধারক বিশিষ্ট গরিলা পেয়েছেন। তিনি ধারনা দেন বাসা হিসেব করে গরিলার সংখ্যা বের করার মধ্যে দিয়ে পরিমানের চেয়ে বেশী গরিলা জীবিত আছে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে, কারণ কিছু গরিলা এক রাতে একের বেশী বাসা বানায়।
এর আগে ২০০৭ সালে এক ডিএনএ গবেষণায় দেখা গেছে এই এলাকায় ৩৪০ টি গরিলা রয়েছে। এই ঘটনা একটা ধারণা দিচ্ছে যে বুইন্ডি বাসীর গরিলার সংখ্যা শতকরা ১০ ভাগ কমে গেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সর্তক এবং এখনই গরিলার জনসংখ্যা কমে যাওয়া বা স্থির থাকার ঘোষণা দিতে রাজী নয়।
পাওলা বলেন:
বুইন্ডির এই গরিলা জনগোষ্ঠী কমে যাওয়া কোন ভালো সংবাদ নয়। তবে এটি সত্যি যে বুইন্ডির গরিলা জনগোষ্ঠী ক্রমশ: কমে আসছে। এটি আসলে পাহাড়ী গরিলাদের জন্য দু:সংবাদ। ধারণা করা হচ্ছে সারা পৃথিবীতে এখন কেবল ৭০০ টি পাহাড়ী গরিলা টিকে আছে। বিষয়টি জানায় যে গোটা পৃথিবীর গরিলার সংখ্যা শতকরা ৫ ভাগ কমে এসেছে।
গেরিলা রক্ষা ব্লগ লরা এনকুনডার আটক হওয়া নিয়ে মন্তব্য করেছে। কঙ্গোর দলত্যাগী এই জেনারেল এবং বিদ্রোহী নেতাকে রুয়ান্ডার সামরিক বাহিনী গ্রেফতার করে। এই ঘটনাটিও আসলে গেরিলা সংরক্ষণের জন্য ভালো।