মালাউই: রক্তাক্ত থ্যাঙ্কসগিভিং, এইডস দিবস এবং জিম্বাবুয়ের বর্ডার পার হওয়া

মালাউইতে থ্যাঙ্কসগিভিং

মিকি ম্যাকে মালাউইতে বেশ কয়েক বছর ধরে আছেন। তার নিজের উদ্যোগে মালাউইর আইসিটিতে তিনি মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। যদিও মালাউই নিয়ে গ্লোবাল ভয়েসেসের রাউন্ন্ড আপে তাকে নিয়ে আমরা ধরতে গেলে কখনো লিখিনি কারন তিনি হচ্ছেন পেছনের সেই ব্যক্তি যিনি উৎসাহ দিয়েছেন মালাউইর বেশ কয়েকজন আইসিটি পথিকৃতকে। তিনি সম্প্রতি থ্যাঙ্কসগিভিং নিয়ে ব্লগ করেছেন যেটা একটা রোমাঞ্চকর ঘটনা সম্পর্কে – তিনি জীবনে প্রথমবার একটা জীবন্ত টার্কীর মুখোমুখি হয়েছেন:

আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে আমি এটা করতে পারব। কিন্তু আমি এটা করতেও চাচ্ছিলাম- আমি চাচ্ছিলাম না যে টার্কীটা কষ্ট পাক- তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত। সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আমি এগুলাম ওটার দিকে-আর পরিকল্পনা করলাম কয়েক ঘাতে ওর মাথা কেটে ফেলবো। কিন্তু এটা সহজ ছিলনা। আমার ঘা তার লাল ঢিলা গলার চামড়া কাটছিল না। আমাকে আরো জোর দিতে হলো, আর গলা আরো শক্ত করে ধরতে হলো। তখন আমি চামড়া ভেদ করতে পারলাম, রক্ত ছিটকে বেরলো আর আমি সর্বশক্তি লাগালাম যতক্ষন না গলাটা কেটে গেল আর আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম টার্কীর মাথা ছাড়া শরীর নিয়ে, মুখ আমার হাতে খুলছে আর বন্ধ হচ্ছে, আর ওর বিভক্ত দেহ কেঁপে উঠে পালাবার চেষ্টা করছিল দৌড় দিয়ে। জর্জ শরীরটা ধরে ছিল- মনে হলো অনন্তকাল লাগলো – হয়তো ৩ মিনিট বা কিছু- যখন ওটা শান্ত হলো।

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মিকি মালাউই ছেড়ে যাচ্ছেন, আর আমরা তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি। ধন্যবাদ মালাউইর ব্লগস্ফীয়ারে উৎসাহের কারন হিসাবে থাকার জন্য।

এইডসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে

যখন আন্তর্জাতিক আর স্থানীয় কমিউনিটি এইচআইভি আর এইডস এর বিরুদ্ধে বিবিধ যুদ্ধের পন্থা পরিকল্পনা করছে, তখন এই বছরের বিশ্ব এইডস দিবস অন্য আলোকে উদযাপিত হয়েছে।

মালাউইর একটা অগ্রসর উন্নয়ন রিলিফ এজেন্সী চিন্তা করেছিল তাদের প্রকল্প এলাকায় কিছু লোককে কাজে লাগাতে। এই বছরের মূল বিষয় ছিল এইডস থামান: কথা রাখেন এবং বিশেষ করে এর অধীনে কার্যক্রম নেতৃত্ব: এগিয়ে নেন, শক্তিশালী করেন আর ফল দেখান। এই সংস্থা যেটা মালাউইতে ২৬ বছর ধরে আছে তাদের সাম্প্রতিক মাচিঙ্গা ভ্রমণ নিয়ে ব্লগ করেছে:

গ্রাম প্রধানের দল দিয়ে কমিউনিটিকে সঞ্চালন করা হয়েছিল এবং লিওন্ডের ঐতিহ্যগত দলনেতাদের সাথে এটি সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৮ সালের ২৭ নভেম্বর। ২৯ নভেম্বর এগুলো নিয়ে রির্হাসল করা হয়েছিল।

আদিবাসী গোত্রগুলো এইচআইভি আর এইডস এর বার্তাসহ নাটক, গান, ঐতিহ্যগত নাচ ইত্যাদি বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সফল হয়। বেশীরভাগ দল যারা পরিবেশনায় ভালো করেছিল তারা আদ্রা মালাউই সংস্থা দ্বারা পরামর্শ পেয়েছে। এরা থিয়েটারের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন প্রশিক্ষণের জন্য যা তাদের ক্লাব প্রাঙ্গনে সহয়তা দিয়ে থাকে। যেমন সব থেকে ভালো নাটকের দল হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল মাঙ্গাম্বা থেকে আসা একটি যুব দল যেটা মাচিঙ্গায় আদ্রার আরেকটা কার্যস্থান।

ওদিকে সম্প্রতি জাপানে অবস্থিত মালাউই ব্লগার ক্লিমেন্ট এনথাম্বাজেল আশা করেন যে অনেক বলা এইচআইভির সমাপ্তি সত্যি হবে।

জিম্বাবুয়েতে কি ভালো কিছু আছে?

যারা জিম্বাবুয়েতে সম্প্রতি গিয়েছে বা ওই দেশের খবর রাখে তারা অনেকে একে নরক মনে করে। কিন্তু মালাউইর ব্লগার বোনিফেস দুলানি বলছেন যে জিম্বাবুয়ে একমাত্র জায়গা যেখানে তিনি সান্তনা পেয়েছেন মালাউই থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় তার ৩৬ ঘন্টার যাত্রায়। যদিও সেখানে তিনি যেসব সমস্যা দেখেছেন তা স্বীকার করেন, তিনি তার অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার কথা ব্লগ করেন সড়ক পথে জোহানেসবার্গে ৩৬ ঘন্টার যাত্রা শিরোনামে:

জিম্বাবুয়েতে অবস্থা খারাপ, আর এটা পরিষ্কার অগুণতি রাস্তার সাইন আর সাবধানবানী থেকে যেখানে কলেরা মহামারি থেকে বেশী সাবধান থাকার কথা বলা হয়েছে। পরিস্কার দৃশ্যমান মোজাম্বিক আর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জিম্বাবুয়ের দিকে সব ধরনের পন্য নিয়ে মানুষের অবিরত ধারা। কিন্তু এইসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমার যাত্রা থেকে একটা অনুকূল গল্প বলা যাবে: জিম্বাবুয়ে একমাত্র দেশ যেখানে ঢোকার আর বের হওয়ার ভিসার জন্য আমাকে ঘুষ দিতে হয়নি। নেয়ামাপান্দা আর বেইতব্রিজে জিম্বাবুয়ের অভিবাসন কর্মকর্তারা দ্রুত ভিসা দিয়েছিল আর উল্লেখ্য যে সীমান্তের দুইদিকে কোন লাইন ছিলনা- আমার ঢোকার আর বেরোনোর সময়ে দুইবারই।

পরিশেষে আমি সব পাঠক ও ব্লগারকে উৎসবের শুভেচ্ছা জানাই।

Exit mobile version