কাজাখস্তান: লাইভজার্নাল বন্ধ

গত ৭ই অক্টোবর থেকে কাজাখস্তানী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্ক লাইভজার্নালে প্রবেশ করতে পারছেন না। এই ওয়েবসাইটটি সোভিয়েত পরবর্তী রুশভাষী অঞ্চলসমুহে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রতিবেশী কিরগিজস্তানী ব্লগাররাও বঞ্চিত হচ্ছেন বিশেষত: যাদের আইএসপি কাজাক টেলিকম থেকে সুবিধা গ্রহণ করে থাকে যা রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পরিচালিত কাজাখস্তানের একমাত্র টেলিকম। এক সপ্তাহের বেশী সময় নিশ্চুপ থেকে কাজাক টেলিকম বিগত ১৫ই অক্টোবর ইন্টারনেটের কোন বিষয়বস্তু ফিল্টার করা (বিশোধনে) জড়িত থাকার কথা প্রকাশ্যে অস্বীকার [রুশ ভাষায়] করেছে।

অবশ্য কাজাখস্তান লাইভজার্নালে কয়েকটা স্বাধীন প্রোভাইডার যেমন টুডে টেলিকম এবং ডুকাটের মাধ্যমে প্রবেশ করা যায়। অপ্রতিরোধ্য ইউজারদের অধিকাংশ এখন অগতানুগতিক বাইপাস পদ্ধতি অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছে লাইভজার্নালে ঢুকতে এবং ব্লগিং চালাতে – এই পদ্ধতিগুলোর মধ্যে “মিরর”, “মিলজ ডট রু” এবং বেশ কিছু অনলাইন এনোনিমাইজার্স রয়েছে। কেউ কেউ ব্যবহার করছে “টর”। ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশ কিছু সাংবাদিক থাকায় তারা সমস্যাটিক প্রচার মাধ্যমে তুলে ধরতে পেরেছে। রয়টার এবং রাশিয়ার প্রধান কিছু সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে। ব্লগাররা প্রস্তুতি নিয়েছে এর বিরুদ্ধে কিছু করার জন্য এবং লাইভজার্নাল পরিচালনাকারী মস্কো ভিত্তিক কোম্পানী এসইউপি কর্তৃপক্ষের কাছে খোলা চিঠি প্রেরণ করেছে।

বন্ধ করার সম্ভাব্য সব কারণের মধ্যে একটা হতে পারে প্রযুক্তিগত সমস্যা; কিন্তু তা সাধারণত এত দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকে না। প্রধান গুজব হচ্ছে রাজনৈতিক কারণ – প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির জামাতা, মিডিয়া টাইকুন এবং গোয়েন্দা সংস্থার হোতা রাখাত আলিয়েভ এর ডায়েরী ও ব্লগিং বন্ধ করা। মানুষ জন তার বিরুদ্ধে নানা অবৈধ কার্যকলাপের জন্য বারবার অভিযোগ উত্থাপন করেছিল কিন্তু গত বছর পর্যন্ত সুকৌশলে সে সব শাস্তি এড়াতে সক্ষম হয়। তবে একটা অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি, লোকজনকে অপহরণ, অপরাধ সংঘঠনের দায়ে গত বছর চল্লিশ বছরের জেল সাজা প্রাপ্ত হলে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে পালিয়ে যান এবং বিক্ষিপ্তভাবে ইন্টার‌নেটে ক্ষমতাসীন জোটের মানহানীকর নানা বিষয় প্রকাশ করতে থাকেন। যদিও প্রধান ওয়েবসাইট যেটা দিয়ে নিবন্ধগুলো তার লাইভ জার্নালে পুন:প্রকাশিত হতো সেটাকে ফিল্টার (বিশোধন) করা হয় নাই।

Exit mobile version