কারিবীয়াঃ এল্টন ইলিসকে স্মরণ


“এল্টন ইলিস”, আলোকচিত্র তুলেছেন এরিক ওলিভিয়েরা, অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত। এরিকের ফ্লিকর ফটোস্ট্রিম দেখতে পারেন।

ষাটের দশকের রকস্টেডি সংগীতের অন্যতম প্রবর্তক জামাইকার সংগীত শিল্পী এল্টন ইলিস প্রায় বর্ষ ধরে ক্যানসারের সাথে লড়াই করে অবশেষে গত শুক্রবার ১০ই অক্টোবর ইহলোক ত্যাগ করেছেনজামাইকান গ্লিনার বলেছেন, যদিও সমসাময়িক বব মার্লে এবং জিম্মি ক্লিফের মত ইলিসের তেমন বড় কোন আন্তর্জাতিক হিট ছিল না তারপরেও “গডফাদার অব রকস্টেডি” পরবর্তী প্রজন্মের জামাইকার সংগীত শিল্পীদের উপরে প্রচ্ছন্ন একটা প্রভাব রেখেছেন। দীর্ঘকাল যাবত তিনি জামাইকার সংগীতের কিংবদন্তী হিসাবে পরিগণিত হতেন।

গত সপ্তাহান্তে মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে জামাইকার সংগীত শিল্পীরা তার প্রতিভা, কণ্ঠস্বর ও ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করতে থাকে। ক্যারাবীয় ব্লগস্ফিয়ারেও চলে শ্রদ্ধা প্রদর্শন। জিওফ্রে ফিলিপ লিখেছেন, “আমরা একজন মহান প্রবর্তককে হারিয়েছি”

ইলিস এর সংগীতের পরিপূর্ণ বিশুদ্ধতা এবং আশাবাদ আমাকে এমন একটা সময়ে টেনে নিয়ে যায় যখন বন্দুকধারীর ভয়ে এই দ্বীপ শাসিত হতো না। আপনি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে গাইতে পারতেন “আই য়্যাম জাস্ট আ গাই” অথবা দাওতা তে গাওয়ার জন্যও চেষ্টা করতে পারতেন। আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া কেবল মনোভাব বা প্রকাশের জন্য এইখানের গান ছিল একদম নিজস্ব বাগ্‌ধারায় লিখিত।

ইউটিউবের একটা ক্লিপের লিংক দিয়েছেন ফিলিপ যেখানে ইলিসের একটা সর্বাধিক পরিচিত গান “আই য়্যাম স্টিল ইন লাভ” এর পরিবেশনা রয়েছে। এফ্রোবেলাও ইলিসের পরিবেশনকৃত “আই য়্যাম জাস্ট আ গাই” এবং “গার্ল আই হ্যাভ গট আ ডেট” গান দুটির ফুটেজের জন্যইউটিউবের সংগ্রহশালা অনুসন্ধান করেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন:

তার হিট গান “আই য়্যাম জাস্ট এ গাই” আমার পছন্দের। বর্তমানকালের গানের মধ্যে আপনি এই ভাবানুভূতি শুনবেন না। প্রেমের জন্য বিনম্রতা, রোমাঞ্চ, ঐকান্তিক আকাঙ্খা। আশা করি এই গান আমার মত আপনাদেরও সজীব করে দেবে।

এবং আফ্রোবেলা টুইটারে আজকের জামাইকার সংগীত ভক্তদের নিকট একটা মেসেজও পাঠিয়েছেন:

যারা জানেন না তাদের জন্য খবর হলো এল্টন ইলিস “আই য়্যাম স্টিল ইন লাভ উইথ ইউ” এর আদি গানটা গেয়েছিলেন যা এখন সিন-দ্যা-পল আড়াল করে ফেলেছে।

লোরি-চিন পোস্ট উল্লেখ করেছে “এল্টন ইলিস গানের সমৃদ্ধ কথা ও স্বর দিয়ে আমাদের জীবনকে রঙিন করে দিয়েছেন”। ক্যারিবিয়ন রিভিউ অব বুকসের ব্লগের এনটিলীস তুলে ধরেছেন ইলিস এর আসল জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে এবং ট্রোজান রেকর্ডস ওয়েবসাইটের একটা শোকসংবাদের লিংক প্রদান করেছেন। অন্যদিকে ইয়ার্ডফ্লেক্স একটা গুজবের কথা বলেছেন ইলিসকে নাকি জামাইকায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।

স্টানারস এফ্লিকশনস একটা অকপট শ্রদ্ধাঞ্জলী পোস্ট করেছে। “তরুন ও বৃদ্ধ সব ধরণের শ্রোতাদের মোহনীয় সংগীত দিয়ে আন্দোলিত করার ক্ষমতা ছিল এল্টন ইলিসের”। তিনি আরো লিখেছেন, “তিনি ছিলেন সাধারণের প্রিয়…. জামাইকার এই মহান সংগীত শিল্পী তীব্রভাবে অনুভূত হবেন”

Exit mobile version