নতুন উদ্ভাবন: লাইভ বাইসাইকেল রেডিও

Radiocicleta
একই সাথে রাইজিং ভয়েসে প্রকাশিত

জুলিয়ানা রিনকনের কাছ থেকে আমরা ক্যাকুয়েটা, কলম্বিয়াতে ব্যবহৃত বিশেষ এক ধরনের বাইসাইকেল সম্পর্কে জানতে পারি।

এটিতে দু'জন বসতে পারে এবং এতে রয়েছে একটি সম্পূর্ণ বেতার সম্প্রচার যন্ত্র, যা ওয়াই-ম্যাক্স সিগনাল প্রেরণ করতে সক্ষম এবং এটি যে শুধু এ্যানডাকুই কমিউনিটি রেডিও'র মাধ্যমেই শোনা যায় তা নয়, বরং ইন্টারনেটের মাধ্যমেও শোনা যায়।

রেডিওসিক্লেটা [স্পানিশ ভাষায়] হচ্ছে একটি গণযোগাযোগ প্রকল্প যা স্টুডিও এবং শহরের মধ্যেকার প্রতিবন্ধকতাকে দূরীভূত করে:

জুলিয়ান বলেন “এটি টেকসই, এর রক্ষণাবেক্ষণ সহজ, এটি পরিবেশবান্ধব,এটি জ্বালানী'র পরিবর্তে মনুষ্যচালিত, এটি নতুন কিছু করা বা অনুসন্ধান করাকে সমর্থন করে,এটি বিভিন্ন জায়গায় পৌছতে পারে এবং এটিকে ঘরের ভিতর নিয়ে আসা যায় এবং এটি একটি দলের সদস্য হয়ে কাজ করতে মানুষকে একত্রিত করতে পারে।”

মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে সবার আয়ত্বের মধ্যে ইন্টারনেট সেবা:

বাংলাদেশ জনসংখ্যা ১৪০ মিলিয়নেরও বেশি। ল্যান্ড ফোনের অপর্যাপ্ততার কারণে এক দশক আগেও দেশটি'র টেলি-ডেনসিটি খুব কম ছিল (গ্রামাঞ্চলে এর বিস্তৃতি ছিল না)। কিন্তু ধন্যবাদ মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলোকে। তাদের প্রচেষ্টায় কয়েক বছরের মাঝেই বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা ৩২ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে এবং মোবাইলের সুবিধা পৌছে গিয়েছে সারাদেশে এমনকি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। সেল ফোন ইন্ড্রাস্ট্রি'র প্রবৃদ্ধির হার ২৫% এর কাছাকাছি যা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

যে দেশটিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১% (মাত্র এক মিলিয়ন) এরও কম সেখানে এই মোবাইল নেটওয়ার্কগুলো মানুষকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হওয়ার একটি অপূর্ব সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে যা সনাতন ল্যান্ডফোনগুলোর বর্তমান নেটওয়ার্ক এবং ব্যয়বহুল ডিএসএল ক্যাবল সংযোগ ব্যবহার করে সম্ভব ছিল না। কয়েকটি মোবাইল সংযোগদাতা এমনকি ‘এজ প্রযুক্তি'র সেবা পর্যন্ত দিয়ে থাকে যা কিনা ১২৮ কেবি/সেকেন্ড পর্যন্ত তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।

মোবাইলের এই ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করে বাংলাদেশের গ্রামের মানুষও এখন সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য টেলিসেন্টার বা ইন্টারনেট ক্যাফে তৈরী করছে। এই ওয়েবসাইট থেকে আমরা জানতে পারি যে ইন্টারনেট সংবাদপত্রের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি খুবই সহজ।

“এতে একটি সম্পুর্ণ পারসোনাল কম্পিউটারই যথেষ্ট, যেটি সার্ভার হিসেবে কাজ করে: অন্য প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশন একটি ছোট যন্ত্র দ্বারা চালিত হয় যা কিনা একটি সিগারেটের প্যাকেটের চেয়েও বড় নয়। আরেকটি ব্যাপার হল, এক্ষেত্রে সার্ভার এবং বহির্বিশ্বের সাথে তারের কোন সংযোগ নেই। সার্ভারের সাথে ইউএসবি ক্যাবেলের দ্বারা মটোরোলা ক্ল্যাম্বশেল মোবাইল ফোনের (বা অন্য যে কোন ব্রান্ডের ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধাসহ মোবাইল) সংযোজনের মাধ্যমে এটি কাজ করে। সেন্টারটি ইন্টারনেট সংযোগ পাচ্ছে এজ-এনাবেলড মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।

এনডিও-টাইপ-থিন-ক্লায়েন্ট নেটওয়ার্কিং এর সাথে উন্মুক্ত সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করার ফলে ইন্টারনেট ক্যাফে, নেটওয়ার্ক করা ক্লাসরুম বা ছোট অফিস সিস্টেমের খরচ নাটকীয়ভাবে কমে যায়। এ পদ্ধতিতে ফুলতলা সিআইসি এর মালিক আবু সুফিয়ানের মত উদ্যোক্তাগণের পক্ষে এমন একটি বিনিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে তার মত লোকেরা স্থানীয় জনগণ এবং সংস্থাগুলোকে বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদান করে অর্থ উপার্জন করতে পারছেন।”

আমি বিশ্বাস করি ইন্টারনেট নির্ভর নতুন এই প্রযুক্তি বিশ্বের সকল উন্নয়নশীল দেশে দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করতে পারে।

Exit mobile version