মহাপ্লাবনের মাত্র দুই মাস পর সার্বিয়ায় আবারও বন্যার আঘাত

A man uses a boat to navigate the streets in Vršac, Serbia during a new wave of flooding in July 2014. Photos collected by Nenad Kiss from social media users, widely circulated online.

২০১৪ সালের জুলাই মাসে নতুন করে বন্যার সময় সার্বিয়ার ভারসাক শহরে একটি লোক রাস্তায় নৌকা চালাচ্ছেন। ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়া সামাজিক মাধ্যম থেকে ছবিটি সংগ্রহ করেছেন নেনাদ কিস।  

২০১৪ সালের মে মাসে বিভিন্ন বলকান দেশগুলোতে সৃষ্ট ব্যাপক বন্যা ছিল গত এক শতকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কিন্তু এর পরই গত জুলাই মাসের শেষ দিনগুলোতে সার্বিয়ায় আবার নতুন করে বন্যা হানা দিয়েছে।

এর ফলে কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত সার্বিয়ায় প্রায় এক বিলিয়ন ইউরোর (১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির রেকর্ড করেছে এবং অনেক ঘরবাড়ি ও জীবন নষ্ট হয়েছে। গত ৩০ জুলাই, ২০১৪ তারিখে স্থানীয় সময় ১০ টার সময় দেশের অধিকাংশ স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয় এবং প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে এই অবিরাম বর্ষণ চলতে থাকে। রাজধানী শহর সহ সার্বিয়ার একটি বড় অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কস্টোলাক পাওয়ার প্ল্যান্টটি সবে নাগরিক এবং বিশেষ বাহিনীর সাহায্যে গত মে মাসের বন্যা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যার পানিতে এটি আবারও বিপন্ন হল।

এই সময়ের ক্ষয়ক্ষতি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো নথিভুক্ত করা হয়নি, কিন্তু মে মাসের ব্যাপক বন্যার সময় যেসব শহর ভাল অবস্থানে ছিল, সেগুলো এবার খুব ভাগ্যবান হবে না। ভারসাক শহরটিতেই মাত্র কয়েক দিন ধরে রাস্তায় এবং বাড়িতে প্রতি বর্গ মিটারে ২০০ লিটার বন্যার পানি দেখা গেছে। সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সংগৃহীত এবং শেয়ার করা ভারসাক শহরের বন্যা এবং ক্ষয়ক্ষতির কিছু ছবি এখানে রয়েছেঃ   

২০১৪ সালের জুলাই মাসে সার্বিয়ার ভারসাক নতুন করে বন্যায় প্লাবিত হয়। ছবিঃ নেনাদ কিস।  

২০১৪ সালের জুলাই মাসের নতুন করে বন্যার সময় ভারসাক নগরের আরও একটি ছবি। ছবিটি একটি এপার্টমেন্ট থেকে তোলা হয়েছে। অনলাইনে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়া এই ছবিটি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন নেনাদ কিস।  

২০১৪ সালের জুলাই মাসের নতুন করে বন্যার সময় সার্বিয়া জুড়ে বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ির নমুনা ছবি। এই ছবিটি ভারসাক নগরীর। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ছবিটি সংগ্রহ করেছেন নেনাদ কিস। 

কেন্দ্রীয় সার্বিয়ান শহর টোপলাতেও বন্যা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর এবং ৩১ জুলাই, ২০১৪ তারিখে পৌরসভাটির জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও ট্রেস্টেনিক, পোজারেভিক, রালজেভো এবং ভ্রেঞ্জাকা বানিযার মত অন্যান্য শহরেও তীব্র বন্যার খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝড়বৃষ্টি এবং বাজের ফলে সেখানে দাবানলেরও সৃষ্টি হয়েছে। 

Exit mobile version