ভিডিওঃ “লুকানোর নেই কিছুই” – সত্যিই ? #দ্যাডেউইফাইটব্যাক

“আপনার যদি কিছুই লুকানোর না থাকে, তবে আপনার শোবার ঘর এবং স্নান ঘরে কেন কাউকে চলচ্চিত্র তৈরি করতে দিচ্ছেন না ?” ফ্রেঞ্চ ডিজিটাল অধিকার গ্রুপ লা কুয়াদরাতুরে দু নেটের জেরেমি জিমারম্যান এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করেছেন। তিনি তাঁর একটি গানে প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করেছেন। গানটিতে তিনি লা পারিসিয়েনে লিবেরির সাথে জুটি বেঁধেছেন। তিনি মিডিয়াপার্টে ব্লগ [ফ্রেঞ্চ] লিখেছেন।   

এই আকর্ষনীয় গানটিতে এই দুই জন ব্যাখ্যা করেছেন, এনএসএ কর্তৃক আরোপ করা বৈশ্বিক নজরদারী গোপনীয়তার জন্য কতোটা ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে। এনএসএ’র নজদারি জোরদারের নামে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য উপাত্ত হাতিয়ে নেয়া এবং ফেসবুক, গুগল এবং অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সেগুলো আদান প্রদান করা হচ্ছে। জিমারম্যান বলেছেনঃ 

আপনি নিজেকে বলুন – ওহ আমার নিজেকে অপরাধী ভাবার কিছু নেই এবং তাই আমার লুকানোরও কিছুই নেই – এখানে এনএসএ’র জোরদার করা সর্বসাধারণের উপর নজরদারি কাজটি তিন মাত্রার বিচ্ছিন্নতার নীতিতে কাজ করে থাকে, যা বাস্তবতা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। আপনি যদি কারও সাথে সংযুক্ত থাকেন, তিনি যদি আবার এমন কারও সাথে সংযুক্ত থাকে – সে হয়তোবা তাঁর খুব দূরের সম্পর্কের কোন ভাই হবে – এমন এক লোক, যার দাঁড়ি আছে – যিনি হয়তোবা কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য সন্দেহভাজন লোক হয়, তবে হয়তোবা তাঁর সাথে মিলে যাওয়া আপনার সব ইমেইল, আপনার অনলাইন উপস্থিতি, আপনার ফোন কল, আপনার এসএমএস, সবকিছু নিয়ে এনএসএ গুপ্তচরবৃত্তি করবে। 

ভিডিওটি ফ্রেঞ্চ ভাষায় তৈরি করা হলেও, এতে ইংরেজী এবং স্প্যানিশ সাবটাইটেল দেওয়া আছে।  

Exit mobile version