ইকুয়েডর: উদ্বাস্তু নারী ও বালিকা যৌন কাজে ধাবিত

ভিজে আন্দোলনের ভিডিও তথ্যচিত্র ইকুয়েডরে উদ্বাস্তুরা যৌন কাজে ধাবিত সহিংসতার কারণে সীমান্তজুড়ে ইকুয়েডরে অভিবাসিত হতে বাধ্য হওয়া কলম্বিয়ার নারীদের পরিস্থিতি পরীক্ষা করে করে দেখছে। অনেক ক্ষেত্রে বৈধ কাজ না পেয়ে জীবিকার জন্যেই নারী এবং তাদের কন্যারা একঅসময় নিজেদের যৌন কাজে যুক্ত হিসেবে আবিষ্কার করে।

এমি ব্রাউন এলাকাটির নারী এবং সংস্থাগুলো সাক্ষাৎকার নিয়ে পরিস্থিতিটির উপর একটি প্রতিবেদন তৈরী করেন। গেরিলাদের হুমকির কারণে কলম্বিয়া থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হওয়া নারীরা যে গল্পটি বলেছে তা হলো শুধু সন্তানাদি এবং সামান্য কিছু জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে তাদের বহুবার ব্যবসা এবং গৃহস্থালী ছাড়তে হয়েছে। ভিসা না পাওয়া পর্যন্ত উদ্বাস্তুরা আইনতঃ কাজ করতে পারে না এবং এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ১৮ মাস পর্যন্ত লাগতে পারে, এসময়টিতে – ভিডিওটির মতে – “নারী এবং বালিকারা বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে থেকে যায়”।

অনেক ক্ষেত্রে খাদ্য কেনার জন্যে তাদের এটা-ওটা কাজের অনুরোধ যেমন ধোওয়া অথবা রান্না করা শেষ পর্যন্ত “পরিচারিকা” হওয়ার প্রস্তাবে পর্যবসিত হয়, শব্দটি বিভিন্ন বার এবং পতিতালয়ের জন্যে কর্মরত পতিতাদের ক্ষেত্রে স্থানীয় শ্রুতিমধুর নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একজনকে বলা হলো সে চাইলে তার সুন্দরী কন্যাটিকে একটা পতিতালয়ে কাজ করার জন্যে দিতে পারে… বালিকাটির বয়স মাত্র ১৩ বছর। তবে নারীদের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৬মাস কোন কাজ, সঞ্চয় এবং সুযোগ না থাকার ফলে শেষ পর্যন্ত শুধু যৌন কাজের দিকে ধাবিত হওয়ার পথটিই অবশিষ্ট থাকে। তাদের অনেক খদ্দের: ঘটনাটিকে পর্যবেক্ষণ করা একজন সাক্ষাৎকার প্রদানকারীর মতে তেল কোম্পানীগুলোর আগমন প্রথম খদ্দের নিয়ে আসে যদিও তারাই এখনও এই ক্রমবর্ধমান শিল্পের প্রধান ভোক্তা: প্রদেশটিতে শুঁড়িখানা ও পতিতালয়ের সংখ্যা বাস্কেটবল ও ফুটবল মাঠের চেয়ে বেশি।

অল্পবয়েসী ছেলেমেয়েদের জন্যে কাজকর্ম এবং সুযোগের অভাব মেয়েশিশুদের ঝুঁকিপুর্ণ করে তোলে: কোন কাজকর্ম না থাকা ১১ থেকে ১২ বছর বয়েসীদেরই বেআইনি কর্মকাণ্ডে, মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌন কাজ এবং যৌন পাচারে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

দি ল্যাটিন এমেরিকানিস্ট-এর মাধ্যমে
থাম্বনেইল ছবিটি ভিজে আন্দোলনের ভিডিওটি থেকে নেয়া একটি স্ক্রীণছবি।
Exit mobile version