রাশিয়া: ভ্লাদিভস্টক-এর ব্লগাররা শহরের জন্য পতাকা পছন্দ করছে

এশিয়া প্যাসেফিক ইকোনমিক কোপারেশন ( এ্যাপেক) সম্মেলন ২০১২, যত কাছে এগিয়ে আসছে, রাশিয়ার বন্দর ভ্লাদিভস্টক তত এই সম্মেলনের প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে সৃষ্টিশীল নেট নাগরিকরা খেয়াল করেছে যে এই শহরটার এই অনুষ্ঠানের জন্য নিজস্ব কোন পতাকা নেই [রুশ ভাষায়]। তবে কোন কোন অনুষ্ঠানের জন্য কতৃপক্ষ প্রায়শই লাল রঙ-এর মাঝে নীল ক্রস আঁকা সেন্ট এন্ড্রু নামক পতাকা ব্যবহার করে। ১৮৮৯ সাল পর্যন্ত রুশ সাম্রাজ্যের সমুদ্র বন্দরের দুর্গসমূহে এই পতাকা ব্যবহার করা হত।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রতিনিধিদের কি ভাবে কর্মকর্তারা অভিবাদন জানাবে এই ভাবনায়, শহরের ব্লগাররা সম্ভব্য বেশ কিছু নতুন পতাকার ডিজাইন করেছে। এর মধ্যে যেমন কেউ কেউ গুরুত্বের সাথে এই কাজ করেছে, আবার কারো কাছে এই উদ্যোগের শেষ হয়েছে রাজনৈতিক মশকরার মধ্যে দিয়ে।

এতে যে পতাকাটি সবার আগে রয়েছে, সেটির মাঝখানে রয়েছে একটা বাঘ-যা শহরের এক প্রতীক-এতে উপরে বাঘের পেছনে কমলা রঙ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ভোরের আলোর প্রতীক। এর সাথে এখানে একটা সাদা গাংচিল (সিগাল) রয়েছে এবং নীচে নীল রঙ ব্যবহার করা হয়েছে, যা এক নীল সমুদ্রের প্রতীক।

ভ্লাদিভস্টক-এর জন্য যে নিজস্ব পতাকা ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করে হয়েছে, নির্মাতা লাইভ জার্নাল ব্যবহারকারী নিউজমেকার_সু

এখানে আরেকটি পতাকা রয়েছে, এই পতাকা এক একসাথে ইউক্রেন আর যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় পতাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয় ( দুটি দেশের পতাকাকে একসাথে মিলালে এই পতাকায় রুপ নেবে, নীচে দেখুন)। এখানে যে উপরে নীল রঙ রয়েছে, তা সমুদ্রের প্রতীক এবং এবং তার নীচে হলুদ রঙ সমুদ্রের তটভুমির প্রতীক। এই পতাকায় যে ৫০টি তারা রয়েছে সেগুলো ভ্লাদিভস্টক বন্দরের কাছে জাপান সমুদ্রে অবস্থিত ৫০টি দ্বীপের প্রতীক, এবং এখানে যে ঘোড়ামাছ রয়েছে তা এই বন্দরের সাথে সামরিক, বাণিজ্যিক এবং মাছধরার জাহাজ বহরের যে সম্পর্ক, তার গুরুত্বকে তুলে ধরেছে।

ভ্লাদিভস্টক শহরের জন্য বিকল্প আরেকটি পতাকা, এর নির্মাতা লাইভ জার্নাল ব্যবহারকারী চুরকিনিস্কি_মোস্ট

ব্যবহারকারী জেলেয়া২৫ এই পতাকাটিকে “সমুদ্র পারের এক সংযুক্ত তট” বলে অভিহিত করেছে [রুশ ভাষায়] । আরেকজন উৎসাহী পতাকা নির্মাতা একধাপ এগিয়ে গিয়ে নীচের এই পতাকাটি উপস্থাপন করেছে:

ভ্লাদিভস্টকের জন্য আরেকটি বিকল্প পতাকা, নির্মাতা লাইভ জার্নাল ব্যবহারকারী হুইভাস্টাকানে

এই ক্ষেত্রে এর বাদামী বর্ণের পটভূমি নোংরা তট এবং সমুদ্র বোঝাচ্ছে: এখানে এর নির্মাতা দাবি করেছে যে এর সমুদ্রোপকূল যে নোংরায় ভরে গেছে তা শহরের এক প্রতীক, এই বিষয়টি উল্লেখ করা গুরুত্বপুর্ণ। এর হলুদ বর্ণের মাঝে যে ধুসর দাগ তা শহরটির বিষাক্ত বাতাস এবং গ্যাস পাইপের প্রতীক, যা শীঘ্রই বসানো হবে। এর মাঝখানে যে সব কালো কালো গর্ত রয়েছে তা শহরটির রাস্তায় ক্রমশ বাড়তে থাকা টুকরো টুকরো গর্তের প্রতীক। এর মাঝখানে একটি ব্যবহৃত জাপানী গাড়ীতে মৃত এক বাঘ এবং মাছ ক্রমশ পশ্চিমের দিকে পালাচ্ছে।

এটি যে একটি অবাস্তব কিছু নিয়ে এক চর্চা, কেউ কেউ এই দিকে নজর দিয়েছে; ব্যবহারকারী জাইরক দেখাচ্ছে [রুশ ভাষায়] যে, নিজস্ব কোন পতাকা না থাকার পাশাপাশি, ভ্লাদিভস্টক শহরের নিজস্ব সাবওয়ে “, ওয়াটার পার্ক (জল উদ্যান) এবং কার্লিং নামক খেলায় নিজস্ব দল নেই। ”

ঘটনাক্রমে এই সৃষ্টিশীল কাজের চর্চা, ভ্লাদিভস্টক-এর নেট নাগরিকদের আত্ম-পরিচয় সম্বন্ধে অনেক কিছু বলেছে। নীচের রাজনৈতিক বিবৃতির (পতাকার) মধ্যে দিয়ে এই লেখাটা শেষ করব, যা রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে তৈরি করা হয়েছে:

ভ্লাদিভস্টকের পতাকা, নির্মাতা লাইভ জার্নাল ব্যবহারকারী চেলিয়াম

Exit mobile version