মেক্সিকো:#রেডমেক্সিকো নামক হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে হানাহানি নিয়ে টুইট করা

মেক্সিকোর জনগণ সে দেশে চলতে থাকা দিনের পর দিন মাদক দ্রব্য নিয়ে হানাহানির ঘটনা দেখতে দেখতে এবং শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। মেক্সিকোর প্রতিদিনের হানাহানি নিয়ে আলোচনার জন্য টুইটারে #মেক্সিকোরোজা (“লাল মেক্সিকো”) নামক হ্যাশট্যাগ ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

এই সপ্তাহে কয়েকজন টুইটারকারী ১৫ টি ধড়বিহীন লাশের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছে। এই সব লাশগুলোকে গুয়েরেরো অঞ্চলে পাওয়া যায়, যেখানে বিখ্যাত আকাপুলকো সমুদ্রতট অবস্থিত।

এই বিষয়ের উপর কয়েকটি টুইট এখানে প্রদর্শন করা হল:

সবসময় ভাবা যে একসাথে মিলে খাওয়া “দারুণ ব্যাপার” এবং কোন কিছুই ঘটেনা… এটার#রেডমেক্সিকো সকল ভোক্তার কারণে ঘটেছে।

মনে হচ্ছে আকাপুলকো গুয়েরেরো একটি ভয়ঙ্কর ছবির লোকেশন, তারা গাছপালায় ঢাকা এক স্থানে, মাথা আলাদা করে দেওয়া ১৫ টি লাশ পাওয়া গেছে#রেডমেক্সিকো// ওহ ঈশ্বর!!!

#প্রিয়তিনজনরাজা, আমি আপনাদের জিজ্ঞেস করতে চাই যে, আমরা মেক্সিকানরা এইসব দেখে অভ্যস্ত হতে চাই না।#রেডমেক্সিকো।

আমি আমার দেশে এই রকম হানাহানি চাই না! আমি চাই না, লোকজন এ রকম ভয়ের মধ্যে বাস করুক#আকাপুলকো#রেডমেক্সিকো

আকাপুলকোয় কয়েকজন ব্যক্তি মাথা কেটে ফেলার সংবাদ দুঃখজনক। হানাহানি চলছেই#রেডমেক্সিকো।

খুব তিক্ত বিষয় হচ্ছে, এটা এই ধরণের হত্যাকাণ্ডের মধ্যে সর্ববৃহৎ গণহত্যা (মাথা আলাদা করে ফেলা)। ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে ইয়ুকাতান এলাকায় এ রকম ১২টি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল।

মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি ফিলিপে কালডেরন নিশ্চিত করেছে যে ২০১০ সাল ছিল তার শাসনামলের সবচেয়ে হানাহানিপূর্ণ বছর। ২০০৬ সালে তিনি ক্ষমতায় আরোহণ করেন। মেক্সিকোর নাগরিকরা আশা করছে যে ২০১১ সাল ভিন্ন কিছু বয়ে আনবে।

Exit mobile version