কুয়েতের দুটি জাতীয় দিবস পালন

গত সপ্তাহে কুয়েতে দুটি জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে- একটি ২৫ ফেব্রুয়ারি আর একটি ২৬ ফেব্রুয়ারি। কুয়েতের ব্লগাররা দ্রুত এই দ্বৈত উৎসবের ইতিহাস সম্পর্কে আলোকপাত করেছে।

লিল এলিয়ান তার “নতুন প্রজন্মের জন্য জাতীয় তথ্য” লেখায় বলেছেন:

কুয়েতের স্বাধীনতার আসল দিন কোনটা? জুন ১৯, ১৯৬১ এ ‘ব্রিটিশদের নিরাপত্তা দান চুক্তি’ বাতিল হয়ে যায় আর কুয়েতের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়। চুক্তিটি ২৩ জানুয়ারি ১৮৯৯ এ স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

তাহলে লোকে কেন জাতীয় স্বাধীনতা দিবস ২৫ ফেব্রুয়ারি পালন করে? কারন ১৯৫০ সালের এই দিনে শেখ আব্দুল্লাহ আলসালিম আল সাবাহ আমির হয়েছিলেন (শেখ আব্দুল্লাহ ব্রিটেনের সাথে চুক্তি বাতিল করে সংবিধান ঘোষণা করেছিলেন) আর তখন প্রথম বার নতুন এক (বর্তমানের) জাতীয় সংগীত ব্যবহার করা হয়েছিল।

আর ২৬শে ফেব্রুয়ারির বিশেষত্ব কি কুয়েতের জন্য? ২৬ ফেব্রুয়ারি কুয়েত ইরাকি আগ্রাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল যা অগাস্ট ২, ১৯৯০ তে শুরু হয়েছিল আর সাত মাস ধরে চলেছিল। জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের আওতায় আমেরিকার নেতৃত্বে ৩০টির বেশী দেশ কুয়েতকে স্বাধীন করতে সাহায্য করেছিল।

রেডিয়ান্ট গাই এই দিনের উদযাপনের জন্য একটা স্লাইড শো তৈরি করেছে।

আমি নিচের স্লাইড শো তৈরি করেছি কুয়েতের স্বাধীনতা দিবসের জন্য আমার নিজের তোলা ২০০৬-২০০৮ এ বিভিন্ন স্থানের ছবি দিয়ে।

ফোরজাক৮ একটি ছোট কবিতা লিখেছে:

আমরা এমন ভাবে বলতে পারি যে এই দিনটি সাদামাটা
তবে মনে হবে যে এমন ভাবায় যুক্তির পরিমাণ শূন্য
মাঝে মাঝে তুমি নীপিড়নকারী লোক দিয়ে ঘেরা থাক
যারা তোমাকে পাগল করে দেয় আর দমন করতে পাঠায়
কিন্তু এরকম কিছু পদক্ষেপ তোমাকে শান্ত করতে পারবে না
শেষে গ্লাস অর্ধেক খালি না বরং অর্ধেক ভরা

অবশ্য সবাই এইসব উৎসবে যা হয় তা নিয়ে খুশি না।

ইন্টালেক্সপ্যাটর জানিয়েছে বাইরে যাওয়ার পর তার সাথে কি হয়েছিল:

গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে একটি প্রকল্প শেষ করে গাল্ফ রোডের দিকে যাচ্ছিলাম আর একটা কাজের জন্য। বড় ভুল। গাল্ফ রোডে ঢোকার জন্য বা দিকে যে সব বাধা ছিল তা দেখেই আমার বোঝা উচিত ছিল, কিন্তু আমি যেহেতু ডান দিকে যাচ্ছিলাম,আমি এটা নিয়ে চিন্তাই করি নি।

বড় ভুল। হঠাৎ করে আমি একটা ঘেরাও এর মধ্যে পড়লাম যেখানে দলে দলে কিশোররা গাড়ির দুইদিক দিয়ে হাঁটছে, মুল সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, পাশাপাশি গাড়ি থেকে লোকে একে অপরকে ফোম স্প্রে করছে – মনে হল হঠাৎ করে একটা দু:স্বপ্ন এর মধ্যে পড়েছি।

এম্পিজেএস ফেব্রুয়ারির হালা উৎসবে (এই দিনটি পালনের জন্যে আনন্দ উৎসব) কি করতে হবে তার পরামর্শ দিয়েছে।

এক বছর অপেক্ষা করার পর, আজকে হালা ফেব্রুয়ারি উৎসব চুড়ান্ত উত্তেজনায় পৌঁছেছে। আমি আজকের দিনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি কারন আমি ফোম দিয়ে স্প্রে হই যখন এই বাচ্চাদের সাথে দেখা হয়। আমি প্রতি বছর এই দিনের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি কখন খবরের কাগজ দিয়ে যাবে আর তাতে এরা কি কি অপরাধ করেছে তা জানতে পারব।

ছবি: সামকন্ট্রাস্ট এর ইয়োসেফের সৌজন্যে

Exit mobile version