আরবদেশঃ সিরিয়াতে গায়িকাদের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং সব বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী আরব

সিরিয়াতে বেশ কিছু গায়িকাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে নৈতিক অবক্ষয়ের সীমা রেখা টানার জন্য। আর অন্য দিকে আরবদেরকে বিভিন্ন বিমানবন্দরে এমন কি নিজেদের বাড়ীতেও সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আরব ব্লগে হওয়া এ দুটি বিষয়ে কথপোকথন এখানে তুলে ধরা হল:

সিরিয়াঃ কিছু গায়িকার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা

টিউনিসিয়ার সাবজিরো ব্লু ব্লগ সিরিয়াতে বিখ্যাত গায়িকাদের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একটি গল্প বলেছেন:

সিরিয়ান গায়কদের মুখপাত্র সাব্বাহ ওবায়েদ জোর দিয়ে বলেছেন যে লেবানিজ পপ গায়িকা হাইফা ওয়াবিকে সিরিয়াতে গান গাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। তিনি বলেন যে এই নিষেধাজ্ঞা কোন রাজনৈতিক কারনে না যেমন আরব মিডিয়া বলছে। বরং সে আরব গায়িকাদের একটা নিষিদ্ধ তালিকার অংশ বলেই যেখানে গায়িকা এলিসা আর রুবির নামও রয়েছে। ওবায়েদ বলেছেন যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেই নৈতিক অবক্ষয় রোধ করার জন্য যা গানের বদলে নগ্নতা প্রদর্শন করে।

আমি জানি না যে তার কথা না মিডিয়ার কথা সত্যি। কিন্তু আমি একমত যে আরব গানের পরিবেশ নৈতিকতা বিবর্জিত আর খুবই নিম্নমানের হয়ে গেছে। আমি আশা করব যে সব আরব দেশ আর বিভিন্ন উৎসবগুলো এর বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেবে।

মিশর: বিমানবন্দরে আরব সন্ত্রাসী

আহমেদ ঘারবিয়া ব্যাখ্যা করেছেন কি ভাবে আরবদেরকে দেশ-বিদেশের বিমানবন্দরে এমনকি বাড়ীতেও সন্ত্রাসী হিসাবে দেখা হয় :

বিমানবন্দরে নিরাপত্তা কর্মীদের কাজ দেখা এখন আমার প্রিয় সময় কাটানোর উপায়। আমাকে অনেক সময় বিমানমন্দরে কাটাতে হয়েছে।

:তোমার সব জিনিষ ওই ট্রেতে রাখো।
:বেল্ট পরে আছো?
:বোতল আর কাচ এক পর্যায়ের পর আর নিতে দেয়া হবে না।
:তোমার ব্যাগে কি ল্যাপটপ আছে? ওটা বের করতে হবে যাতে আলাদা ভাবে ওটা স্ক্যান করা যায়।
:এখন তুমি দরজা দিয়ে যেতে পারো।
:তোমার বোর্ডিং পাস আর পাসপোর্ট দেখাও। এটা কি? বানানো?

আমার অবয়ব দেখে তারা যে ভয় পায় এটি এখন আমি পছন্দ করা শুরু করেছি। মধ্য প্রাচ্য থেকে একা একজন পুরুষ আরব যাত্রী আরব নাম, মুসলমান ধর্ম, কালো চুল, একটিমাত্র ব্যাগ সাথে আর অদ্ভুত দর্শন হাতে লেখা একটি পাসপোর্ট নিয়ে যাচ্ছে।

আমি জিজ্ঞেস করি যে আমার পকেটে খুচরো পয়সা আছে। আমি কি তা ট্রেতে রাখব? আমি শার্ট ইচ্ছে করে বেশি উঠিয়ে দেখাই যে আমি বেল্ট পরে নেই। আমি দরজা দিয়ে নাটকীয় ভাবে যাই – পাখার মতো করে হাত তোলার ভঙ্গি করি যাতে নিরাপত্তা রক্ষিরা আমার দেহ তল্লাশি করতে উৎসাহিত হয়।

পানির বোতল খুলে আস্তে করে পানি খাই। প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে আমি চিন্তা করি যদিও উত্তর আমি জানি। শেষে নিরাপত্তা তল্লাশির পর আমি একটু অপেক্ষা করি দেখার জন্য যে আর সবার সাথে কি ব্যবহার করা হয়।

কাকে আরো বেশি করে চেক করা হয়? কাকে জুতা খুলতে বলা হবে? যারা নিরাপত্তা রক্ষীদের ভয়ের কারন তাদের বৈশিষ্ট কি? আমি তুলনা করি প্রত্যেক দেশে আর বিমানবন্দরে কি করে এই সব বাধার মোকাবেলা করা হয় – অবলোকন করি ধারাবাহিকতা, কর্মচারীদের কাজ আর যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া।

আমি একজন সন্ত্রাসী – তাই অন্তত: ভুমিকাটা আমার উপভোগ করা উচিত। আমাকে সন্ত্রাসী হিসাবে বিদেশে দেখা হত কিন্তু এখন দেশেও দেখা হয়। ভাবছি একটা সাব্যাটিকাল ছুটি নেব।

- আমিরা আল হুসাইনি

Exit mobile version