গল্পগুলো আরও জানুন তিউনিশিয়া মাস জানুয়ারি, 2011
তিউনিশিয়া: আলজেরিয়ার নাগরিকরা তিউনিশিয়ার জনতার সাহসিকতাকে অভিবাদন জানাচ্ছে
সকল আলজেরিয় নাগরিক তিউনিশিয়ার জনতার প্রতিরোধ আন্দোলনকে অভিবাদন জানাচ্ছে, যারা স্বৈরশাসক জিনে এল আবেদিন বেন আলিকে [ইংরেজী ভাষায়] তার ২৩ বছরের অপ্রতিরোধ্য শাসনের পর ক্ষমতা থেকে অপসারিত করেছে। ফোরাম, ব্লগ এবং ফেসবুকের সকল আলোচনা সভায় আলজেরিয়ার নাগরিকরা তিউনিশীয় জনতাকে অভিবাদন জানানোর আর কোন উপযুক্ত ভাষায় খুঁজে পাচ্ছে না, এবং তারা প্রশ্ন করছে: এরপর কার পালা?
তিউনিশিয়া: স্বাধীনতার শহীদদের নিয়ে এনিমেশন
স্বৈরশাসকের হাত থেকে তিউনিশিয়াকে স্বাধীন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের সম্মানে ফাহেম মেদ আলি এক স্বল্পদৈর্ঘ্যের এনিমেশন তৈরি করেছেন।
তিউনিশিয়া: ব্লগার এবং প্রাক্তন রাজনৈতিক বন্দীর মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তি
সালিম আমামাউ একজন ব্লগার, একটিভিস্ট এবং গ্লোবাল ভয়েসেস-এর লেখক, তিনি তিউনিশিয়ার অন্তবর্তীকালীন ঐক্যমতের সরকারে ক্রীড়া এবং যুব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। এই ঘটনায় সামাজিক প্রচার মাধ্যমে অনেক প্রতিক্রিয়া প্রদান করছেন।
তিউনিশিয়া: তালার এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা
তিউনিশিয়ার ব্লগ খায়াল ওয়া লায়াল (ঘোড়া এবং রাত্রি) তালার এক রমণীর লেখা চিঠি পোস্ট করেছে (আরবী ভাষায়)। এই চিঠিতে তারা এই কয়দিন যে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে, তার কিছু বর্ণনা রয়েছে।
সৌদি আরব: তিউনিশিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সৌদি আরবে আশ্রয় গ্রহণ করেছে
যখন এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে যে, পালিয়ে যাওয়া তিউনিশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিনে এল আবেদিন বেন আলি সৌদি আরব এসে পৌঁছেছে, সৌদি টুইটার ব্যবহারকারীরা এই বিষয়ে তাদের চিন্তা প্রকাশ করার জন্য এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে।
ফ্রান্স: প্যারিসে তিউনিশিয়ার গর্বকে তুলে ধরা
আজ, ১৫ জানুয়ারি, এই দিনটিকে বেন আলির ক্ষমতা ত্যাগের ‘পরবর্তী দিন’ এবং মুক্ত তিউনিশিয়া দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিন, ফ্রান্সে বাস করা প্রায় ৬০০,০০০ জন তিউনিশীয় নাগরিক প্যারিসের রাস্তায় সমাবেত হয়েছিল। যদিও স্বদেশে চলতে থাকা সংঘর্ষ, আত্মীয় স্বজন এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রবাসীরা চিন্তিত, কিন্তু তারপরেও এদিন নিশ্চিন্ত মনে তারা আনন্দ, উৎসব পালন করেছে এবং সবাই মিলে একই আবেগে মেতে উঠেছে। এখানে কিছু ছবি প্রকাশ করা হল, যা প্যারিসে তিউনিশিয়ার গর্বকে তুলে ধরছে।
জর্ডান: তিউনিশিয়ার বিক্ষোভ, হয়ত অন্য সব আরব রাষ্ট্রের সরকারগুলোর যন্ত্রণা আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে
যখন তিউনিশিয়ায় হানাহানি চলছে, তখন জর্ডানের নাগরিকরা তিউনিশিয়ার বিক্ষোভকারীদের প্রতি সাড়া এবং সমর্থন প্রদান করছে। জর্ডানের অনেক টুইটারকারী, তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রপতি জিনে এল আবেদিন বেন আলির সমালোচনার উপর মনোযোগ প্রদান করেছেন। অন্যরা ধারণা করছে যে তিউনিশিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা অন্য সব আরব রাষ্ট্রের নাগরিকদের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংস্কারের দাবির প্রতি উৎসাহ যোগাবে।
তিউনিশিয়া: ইউটিউবে গণ-জাগরণের দৃশ্য তুলে ধরা
২০০৭ সাল থেকে তিউনিশিয়ায় ভিডিও দেখার বিশেষ সাইট ইউটিউব বন্ধ করে রাখা হয়েছে, কিন্তু এই ঘটনা বাকি বিশ্বের মানুষকে তিউনিশিয়ার নাগরিকদের রাস্তার প্রতিদিনের সব ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানানোর ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। তিউনিশিয়ার এই গণ-জাগরণ চতুর্থ সপ্তাহে পা দিয়েছে। সাইবার এক্টিভিস্টরা প্রতিদিন আরো অনেক ভিডিও পোস্ট করছে এবং সবখানে ছড়িয়ে দিচ্ছে, যারা চাইছে বিশ্ব দেখুক, সরকারের দ্বারা তারা কি পরিমাণ অত্যাচারিত হচ্ছে।
তিউনিশিয়া: অভ্যূত্থানের গুঞ্জন কেবলই গুজব
১২ জানুয়ারী বুধবার সকাল বেলা টুইটারে তিউনিশিয়ায় এক অভ্যূত্থানের সংবাদ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। পরে এই সংবাদের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এটি একটি গুজব মাত্র-যা তিউনিশিয়ার শুভাকাঙ্ক্ষীরা ছড়িয়েছিল। এই সব ব্যক্তিরা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে শাসক বেন আলির শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে।
তিউনিশিয়া: দয়া করে বিশ্বকে জানান যে কাসেরিন মারা যাচ্ছে!
বাকী বিশ্বকে তিউনিশিয়ায় চলতে থাকা হত্যাযজ্ঞের ঘটনা তুলে ধরার জন্য তিউনিশিয়ার নেট নাগরিকরা দিন রাত ধরে কাজ করে যাচ্ছে। যার শুরু সিদি বোউজিদ নামের শহরের এক যুবকের বেকারত্বের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে। গত মাসে ২৬ বছর বয়স্ক তিউনিশিয়ার এই নাগরিক প্রতিবাদ স্বরূপ নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, যে ঘটনায় পুরো দেশ জ্বলে উঠে। ঘটনাটি সারা দেশ জুড়ে এক প্রতিবাদের সৃষ্টি করে। আজ এই ঘটনা উপলক্ষ্যে আসা কয়েকটি প্রতিবাদ নীচে প্রদান করা হল।