গল্পগুলো আরও জানুন মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ. মাস জানুয়ারি, 2011
মিশর: বিক্ষোভ চলতে থাকার প্রেক্ষাপটে টুইটার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে
মিশর ইন্টারনেটের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধ শুরু করেছে, এবং আজ বিপ্লব দিবস উপলক্ষে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী যে এলাকায় জড়ো হয়েছে, সরকার সেখানকার মোবাইল ফোন সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিবাদকারীদের স্রোতকে নিয়ন্ত্রণ এবং আন্দোলনকে গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা।
ইরান: ইসলামি বিপ্লব পূর্ব যুগে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উৎসব উদযাপন
এখানে একটি ভিডিও ফ্লিম রয়েছে যা ইরানের বিপ্লব পূর্ব যুগে একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদযাপনের দৃশ্য তুলে ধরছে। এখানে আপনারা দেখতে পাবেন, মেয়েরা তাদের পুরুষ সহপাঠীর সাথে ঘোমটা ছাড়াই তা উদযাপন করছে।
মিশর: বিক্ষুব্ধ এক দিনের পরে, নেমে আসা রাত
মিশরে রাতের আকাশ যত বিস্তৃত হচ্ছে, ততই কায়রো এবং দেশটির বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ চলছেই। বিক্ষোভের মতই পুলিশের আক্রমণ বেড়ে চলছে। কিন্তু সেই সাথে স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের দয়ালু মনোভাবও ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে। কিন্তু আগামীকাল পর্যন্ত বিক্ষোভ প্রদর্শন চালানো সম্ভব হবে কি না, তা এখনো দেখার বাকি রয়েছে।
মিশর: ছবিতে ২৫ জানুয়ারির বিক্ষোভ
একটি ছবি হাজার টুইটের চেয়ে বেশি কথা বলে, বিশেষ করে যখন মিশরে দেশটির আজকের চলমান বিক্ষোভের তথ্য যাতে প্রকাশ না হয়, তার জন্য টুইটার বন্ধ করে রাখা হয়।
মিশর: ভিডিওতে ২৫ জানুয়ারির বিক্ষোভ
২৫ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, মিশরের রাজধানী কায়রোর রাস্তায় রাস্তায় এবং অন্য অনেক শহরে এক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনাক্রমে ওই একই দিনটি ছিল “পুলিশ দিবস” এবং জাতীয় ছুটির দিন। এই বিক্ষোভ ছিল রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ হোসনি মুবারকের ৩০ বছরের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে। অনেকে পর্যবেক্ষক উল্লেখ করেছে যে মূল ধারার সংবাদ মাধ্যমগুলো এই বিক্ষোভের তেমন একটা সংবাদ প্রচার করেনি, তবে নাগরিক সংবাদিকদের তোলা ভিডিও ইউ টিউবে জমা হয়েছে।
তিউনিশিয়া: আলজেরিয়ার নাগরিকরা তিউনিশিয়ার জনতার সাহসিকতাকে অভিবাদন জানাচ্ছে
সকল আলজেরিয় নাগরিক তিউনিশিয়ার জনতার প্রতিরোধ আন্দোলনকে অভিবাদন জানাচ্ছে, যারা স্বৈরশাসক জিনে এল আবেদিন বেন আলিকে [ইংরেজী ভাষায়] তার ২৩ বছরের অপ্রতিরোধ্য শাসনের পর ক্ষমতা থেকে অপসারিত করেছে। ফোরাম, ব্লগ এবং ফেসবুকের সকল আলোচনা সভায় আলজেরিয়ার নাগরিকরা তিউনিশীয় জনতাকে অভিবাদন জানানোর আর কোন উপযুক্ত ভাষায় খুঁজে পাচ্ছে না, এবং তারা প্রশ্ন করছে: এরপর কার পালা?
মরোক্কো: সামাজিক প্রতিবাদ চলছেই
মরোক্কোর ব্লগ আলওয়ানদিদা (আরবী ভাষায়) দেশটির “সামাজিক” প্রতিবাদ আন্দোলনের উপর আরো বড় আকারে নজর প্রদান করছে। এখানে সে এক ভিডিও পোস্ট করেছে, যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা দেশটির গৃহায়ন সমস্যার বিরুদ্ধে কথা বলছে।
আরব বিশ্ব: অন্যের অনুকরণে একই ভাবে স্বেচ্ছায় জীবন ত্যাগের ঘটনাকে উৎসাহ প্রদান করা উচিত নয়
তিউনিশিয়ার নাগরিক মোহম্মেদ বোয়াজিজি বেকারত্বের প্রতিবাদে গায়ে আগুন জ্বালিয়ে যে প্রতিবাদের সূচনা করছিল, এক মাসেরও কম সময়ে সেই আন্দোলন, দেশটির শাসক জিনে আলি আবিদিনের ২৩ বছরের শাসনের পতন ঘটায়। এর পর থেকে মৌরিতানিয়া, আলজেরিয়া ও মিশরে বেকারত্ব, জীবনযাত্রার ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি এবং অন্যান্য অন্যায়ের প্রতিবাদে ১০ জন নাগরিক স্বেচ্ছায় প্রাণত্যাগ করে।
আরব বিশ্ব: বর্ণবাদ এবং ক্রীতদাসের মাথা নামক ক্যান্ডি বিষয়ক বিতর্ক
আমরা আরবরা কি বর্ণবাদী চরিত্রের অধিকারী? এটা বলা খুবই কঠিন। কেউ হয়ত যুক্তি প্রদান করতে পারে যে, আমাদের ধর্ম বর্ণবাদের বিপক্ষে এবং এখনকার জনগণ কারো গায়ের রঙের কারণে তাকে আলাদা করে না। তবে অন্যদিকে, আমাদের সামাজিক জীবনে কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় রয়েছে, যা হয়ত প্রমাণ করে যে, হ্যাঁ, আমরা বর্ণবাদী। অনেক সময় স্বাভাবিক ভাবে মনে হয়, কালো মানুষদের নিয়ে রসিকতা করার বিষয়টি আমাদের সমাজে খুব সাধারণে এক ঘটনা [আরবী ভাষায়]। চলচ্চিত্রে, এমনকি, কখনো আমরা যাকে চকোলেট-বলি সেই ক্যান্ডিকে, আমরা তার রঙের কারণে “ক্রীতদাসের মাথা” বলে অভিহিত করে থাকি।
আরব বিশ্ব: আরব গটস ট্যালেন্টস অনুষ্ঠানকে আভিনন্দন!
‘আরব গট ট্যালেন্টস’ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছে। শুরুতেই এটি টুইটার জনতার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, যারা এই অনুষ্ঠান নিয়ে উৎসাহ এবং সমালোচনার স্তুপ তৈরি করেছে। এই অনুষ্ঠানটি টুইটারে দ্রুত এক আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়। এখানে মিশ্র কিছু প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হল।