গল্পগুলো আরও জানুন ইজরায়েল মাস নভেম্বর, 2012
গাজা সংঘাত সম্পর্কে ইজরায়েলী মিডিয়া কভারেজের সমালোচনা
ইজরায়েল এবং গাজা জঙ্গিদের মধ্যেকার সর্বশেষ যুদ্ধটি সারাক্ষণ কাভার করা হয়েছে ইজরায়েলে। সংবাদমাধ্যমের আউটলেটগুলো আক্রমণের জন্যে মূলতঃ সরকারের বর্ণনা এবং যৌক্তিকতাকে মেনে নিয়েছে। বামপন্থী ইজরায়েলী ব্লগার এবং নেটাগরিকরা অভিযান চলাকালে সরকারের সমালোচনা করা ছাড়াও ঘটনার পক্ষপাতদুষ্ট কভারেজ বিবেচনা করে তারা এগুলোকে আক্রমণ করেছে।
হামাস/ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কি ঘটবে?
দাবানলের মত অনলাইনে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে যে, গাজায় সপ্তাহব্যাপী ধরে চলা সহংসিতা নিরসনে আজ রাতে [২০ নভেম্বর, ২০১২] কায়রোতে হামাস এবং ইজরায়েলের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
গাজায় সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে ইজরায়েলীদের বিক্ষোভ
তকাল তেল আবিবের হাবিমা স্কোয়ারে একটি ফেসবুক গোষ্ঠী শত শত ইজরায়েলীকে একসঙ্গে সংগঠিত করেছিল। গোষ্ঠীটি জনগণকে আহবান জানায় "নির্বাচনের যুদ্ধ প্রত্যাখ্যান কর! রাজনৈতিক চাতূরীর নামে মরতে বা মারতে চাই না।"
গাজা সম্পর্কে আরব লীগ: “ব্লা ব্লা … ব্লা ব্লা ব্লা “
গাজা নিয়ে আলোচনা করার জন্যে আরব লীগ তার মিশরের কায়রোস্থ সদর দপ্তরে সভা করছে – এবং নেটাগরিকরা তাদের শ্বাস ধরে রাখতে অথবা একটি শক্ত প্রতিক্রিয়া আশা করতে পারছে না। সুলতান আলকাসেমী টুইট করেছেন: "ইজরায়েলের গাজা আগ্রাসন নিয়ে আরব লীগের সভা থেকে সরাসরি আপডেট: আমরা সহ্য করবো না ব্লা ব্লা! বাজে বাজে কথা সহ্য করা হবে না! আমরা অবশ্যই সমুন্নত রাখবো ব্লা ব্লা ব্লা।"
ইজরায়েলী নেটনাগরিকরা রমনি’র পরাজয় উদযাপন করছে
ইজরায়েলী নেটাগরিকরা ঘনিষ্ঠভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন অনুসরণ করেছে। ইজরায়েলী সামাজিক মিডিয়া এবং ব্লগোস্ফিয়ারে জনগণকে বামভাবাপন্ন মনে হয়েছে। আর তাই অধিকাংশ আশা করেছে যেন ওবামা পুনঃনির্বাচিত হয়।
ইজরায়েল কী গাজায় স্থল আক্রমণের পরিকল্পনা করছে?
একটি ইজরায়েলী স্থল আগ্রাসনের সম্ভাবনার খবর বেরুনোর পর গাজার অধিবাসীরা টানা গোলাবর্ষণের আরো এক দিন নিজেদের আটকে রেখেছে। গতকালের মতোই গাজার ফিলিস্তিনি ব্লগাররা সারাদিন সামাজিক মিডিয়ায় অনুসরণকারীদের আপডেট জানিয়েছেন।
হংকং: গাজার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে গাজায় ইজরায়েলী বিমান আক্রমণে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং গাজার ভুক্তভোগীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আগামী রবিবার (১৮ই নভেম্বর, ২০১২) একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আয়োজন করেছে হংকং-এর শান্তি কর্মীরা।
ইজরায়েল: “অ্যাশডোডকে যুদ্ধক্ষেত্রের মতো মনে হচ্ছে”
সমঝোতার পর গাজা থেকে রকেট আক্রমণ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় নিহত হন হামাসের সামরিক প্রধান আহমাদ আল জাবারি। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ গাজার বিদ্রোহীরা তুমুল রকেট আক্রমণ শুরু করে। এর একটা গোলা গিয়ে পড়ে দক্ষিণ ইজরায়েলের শহর কিরয়াত মালাচিতে। এতে একই পরিবারের তিনজন প্রাণ হারান। এর জবাবে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীও গাজায় আক্রমণ করে। সাধারণ নাগরিকসহ মারা যায় ১৩ জন, আহত হয় একশরও বেশি মানুষ। দক্ষিণ ইজরায়েলের যেসব ইজরায়েলি বসবাস করেন, তারা সবসময়-ই রকেট হামলার মধ্যে আছেন। তারা রকেট হামলার মধ্যে তাদের দিনযাপনের অভিজ্ঞতার অনুভবগুলো অনলাইনে তুলে ধরেছেন।
“গাজায় বৃষ্টির মত বোমা পড়ছে”
গাজাবাসীরা এক বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন যখন ইজরায়েল ফিলিস্তিনি অংশে ক্রমাগত বোমা ফেলে গেছে। এক বিমান হামলায় হামাস সামরিক নেতা আহমেদ আল জুবেরীর মৃত্যুর পর ইজরায়েল এবং গাজার মধ্যে বন্দুকের গুলি বিনিময় শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে - যার জের এখনও চলছে।