গল্পগুলো আরও জানুন রাজনীতি মাস মার্চ, 2011
সিরিয়া: মিশরীয়-মার্কিন টুইটারকারী গুপ্তচর হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছে
মিশরীয়-মার্কিন টুইটার ব্যবহারকারী মুহাম্মেদ রাদোয়ানকে (@বাতুত্তা) সিরিয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সেদেশের টেলিভিশনে তাকে এক গুপ্তচর হিসেবে প্রদর্শন করা হয়েছে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, সে “ গোপন এক ভ্রমণে ইজরায়েল গিয়েছিল এবং সে বাইরের রাষ্ট্র থেকে সিরিয়ার অভ্যন্তরের ছবি এবং ভিডিও প্রদানের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করেছে"। ধারণা করা হচ্ছে তার গ্রেফতারের ঘটনায়, পুরো মিশরীয় সাইবার জগৎ-এর বাসিন্দারা আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবে।
সুদান: “কারণ আমি একজন মুক্ত সুদানী, আমি বাইরে যেয়ে না – বলবো”
গত ২১শে মার্চ, ২০১১ তারিখে সুদানের ইয়ুথ মোমেন্ট দিবস চালু হয়। ওমর আল-বাসির-এর সরকারের বিরুদ্ধে নতুন পর্যায়ের বিক্ষোভ সংগঠন করতে সুদানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ফেসবুক ও টুইটারে বিষয়গুলো প্রচার করে।
সিরিয়া: বিক্ষোভকারীরা শাসকদের প্রতীক ধ্বংস করছে
সিরিয়ায়, রাষ্ট্রপতি বাশার আল আসাদ এবং তার পিতা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হাফেজ আল-আসাদের মুখ নিয়মিতভাবে বিলবোর্ড, ভবন সমূহ, এবং তাদের সব ধরনের মূর্তি সব জায়গায় দেখা যায়। এই দেশে আসা বিদেশী ভ্রমণকারী নাগরিকরা প্রায়শই এ ধরনের ছবির ছড়াছড়ি দেখে বিস্মিত হয়, অন্যদিকে সিরিয়ার নাগরিকরা প্রতিদিনের জীবনে এসব দেখ অভ্যস্ত। গতকাল, বেশ কিছু ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে বিক্ষোভকারীরা তাদের শাসকের প্রতীক সমূহ; আসাদ পরিবারের পোস্টার এবং মূর্তি, ধ্বংস করে ফেলছে।
মিশর: বিপ্লবের আগে ও পরে ফুটবল নিয়ে উত্তেজনা
গত কয়েক বছর ধরে ফুটবল ছিল মিশরীয় নাগরিকদের প্রধান আনন্দের উৎস। যাই হোক, মনে হচ্ছে মিশরের সাম্প্রতি যে বিপ্লব অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা সবকিছুর মাঝে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এমনকি সম্প্রতি মিশরের জাতীয় দল এক ফুটবল খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ফুটবল দলের কাছে হেরে গেলেও, এই ঘটনায় অনেকে আনন্দ প্রকাশ করেছে।
ইরান: সিরিয়ার বিক্ষোভকারীরা বলছে, “ইরান নয়, হেজবুল্লাহও নয়!”
বেশ কয়েকজন ইরানী ব্লগার সিরিয়ায় অনুষ্ঠিত বুধবারের বিক্ষোভে সিরিয়ার প্রতিবাদকারীদের প্রদান করা স্লোগানের প্রতি প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেছে, যেখানে জনতা আওয়াজ তোলে, “ইরান নয়, হেজবুল্লাহও নয়!” সিরিয়া হচ্ছে ইরানের মিত্র রাষ্ট্র এবং একই সাথে লেবাননের হেজবুল্লাহ নামক জঙ্গি দলটির সাথে ইরানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
মিশর: বিদ্রোহ শেষ হয়নি ওদিকে সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের উপর আক্রমণ করছে
এক মাস আগে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল এবং এক মাস পর কায়রোর তাহরির স্কোয়ার আবার রক্তাক্ত সংঘর্ষের স্থানে পরিণত হয় যখন মিশরীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য লাগাতার বিক্ষোভ দমনে এগিয়ে আসে। স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের বের করে দেয়ার দুই সপ্তাহ পরে, মিশর এখনও একটা দ্বন্ধ যুদ্ধে আছে - বিশেষ করে বিক্ষোভকারীদের দ্রুত গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবি আর একটা নাছোড়বান্দা সেনাবাহিনী নিয়ে যারা ক্ষমতা ছাড়তে চাচ্ছে না।
জর্ডান: আম্মানের #২৪শে মার্চ প্রতিবাদ শিবির
আম্মানের দাখলিয়েহ গোল চত্তরে (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গোল চত্তর) গত ২৪ মার্চ শত শত গণতন্ত্রপন্থী জর্ডানীয় সমবেত হয় যার বেশিরভাগই ছিল ছাত্র, যুবক। প্রতিবাদকারীদের দাবি সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া ছাড়াও নতুন প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনী আইন, সাধারণ গোয়েন্দা বিভাগের অবলোপন এবং বাদশাহ কর্তৃক নিযুক্ত প্রধানমণ্ত্রী মারুফ আল বাকিত-এর পরিবর্তে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রী।
বাহরাইন: অভিবাসী নাগরিকদের এখানে ভূমিকা পালন করার রয়েছে
উপসাগরীয় সহযোগী সংস্থা (গাল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিল বা জিসিসি)–এর সদস্যভুক্ত অন্যান্য দেশের মত বাহরাইনকেও উচ্চ ও নিম্ন পর্যায়ের কাজের জন্য বিদেশী শ্রমিক, বিশেষত: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শ্রমিকদের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হয়। ২০১০ সালের আদামশুমারী অনুযায়ী বাহরাইনের ১.২ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে বিদেশী অভিবাসী নাগরিকরা সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠ, যাদের অনুপাত ৫১ শতাংশ। এই পোস্টে ভারতীয় অভিবাসী এক ব্লগার তার চিন্তা আমাদের সামনে তুলে ধরছে।
সিরিয়া: সারা দেশে বিক্ষোভ, দারা'আ শহরে ৬ জন নিহত হবার সংবাদ পাওয়া গেছে
সারা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যে গণজাগরণের উত্থান, সিরিয়া তাতে সম্প্রতি যোগদান করেছে। যখন এর আগে ৫ ফ্রেব্রুয়ারি তারিখে ডাকা বিক্ষোভ ব্যর্থ হয়েছিল, তখন ১৫ মার্চে আবার নতুন করে রাস্তায় বিক্ষোভে প্রদর্শন করার আহ্বান জানানো হয়, যা দেশটির বিভিন্ন শহরে শত শত লোককে হাজির করতে সমর্থ হয়, এই সব শহরের মধ্যে দামাস্কাস এবং আলেপ্পোর মত শহর রয়েছে। সংবাদ পাওয়া গেছে, আজ দক্ষিণের শহর দারা’আতে ৬ জন ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
সৌদি আরব: সৌদি নাগরিকদের জন্য বাদশাহ আরো অর্থের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে
আজ জাতির উদ্দেশে বাদশাহ আব্দুল্লার দেওয়া ভাষণে আরও অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দুটো পবিত্র মসজিদের রক্ষক বাদশাহ আব্দুল্লাহ তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে রাজতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার জন্য ধর্মীয় নেতা ,লেখক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের গৃহিত উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান। ঘোষণা এবং আদেশের পরেই দেখা যাচ্ছে যে সৌদি নাগরিকদের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ বিতরণ করা হবে।