গল্পগুলো আরও জানুন মানবাধিকার মাস জানুয়ারি, 2011
আর্মেনিয়া: পুলিশ ইমোসকে লক্ষ্যবস্তু করেছে
যদিও আর্মেনিয়া তুলনামূলক রক্ষণশীল এবং ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির এক দেশ, তারপরে সেখানে সংবাদে প্রকাশ যে পুলিশ, ইমোসকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। ইমোস হচ্ছে গতানুগতিক বিষন্নতায় ভুগতে থাকা বিশেষ গোষ্ঠী বা সাব-কালচার, বিশেষ করে কিশোর কিশোরীদের দলের সাথে যুক্ত সঙ্গীতের ধারা। এই ঘটনা অনেক খোলা মনের ব্লগার এবং ফেসবুক ব্যবহারকারীর ভেতরে শঙ্কা এবং ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা: সংশোধনমূলক ধর্ষণ এক ধরনের ঘৃণাযুক্ত অপরাধ
সংশোধনমূলক ধর্ষণ অপরাধমূলক একটা ব্যাপার, যেখানে পুরুষরা সমকামী নারীদের ধর্ষণ করেন তাদের যৌন পছন্দ ঠিক করার অভিপ্রায়ে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বের প্রথম দেশ যেখানে যৌনতার উপরে ভিত্তি করে বৈষম্য নিষিদ্ধ, তবুও সে দেশে সংশোধনমূলক ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে।
সৌদি আরব: তিউনিশিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সৌদি আরবে আশ্রয় গ্রহণ করেছে
যখন এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে যে, পালিয়ে যাওয়া তিউনিশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিনে এল আবেদিন বেন আলি সৌদি আরব এসে পৌঁছেছে, সৌদি টুইটার ব্যবহারকারীরা এই বিষয়ে তাদের চিন্তা প্রকাশ করার জন্য এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে।
তিউনিশিয়া: ইউটিউবে গণ-জাগরণের দৃশ্য তুলে ধরা
২০০৭ সাল থেকে তিউনিশিয়ায় ভিডিও দেখার বিশেষ সাইট ইউটিউব বন্ধ করে রাখা হয়েছে, কিন্তু এই ঘটনা বাকি বিশ্বের মানুষকে তিউনিশিয়ার নাগরিকদের রাস্তার প্রতিদিনের সব ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানানোর ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। তিউনিশিয়ার এই গণ-জাগরণ চতুর্থ সপ্তাহে পা দিয়েছে। সাইবার এক্টিভিস্টরা প্রতিদিন আরো অনেক ভিডিও পোস্ট করছে এবং সবখানে ছড়িয়ে দিচ্ছে, যারা চাইছে বিশ্ব দেখুক, সরকারের দ্বারা তারা কি পরিমাণ অত্যাচারিত হচ্ছে।
তিউনিশিয়া: অভ্যূত্থানের গুঞ্জন কেবলই গুজব
১২ জানুয়ারী বুধবার সকাল বেলা টুইটারে তিউনিশিয়ায় এক অভ্যূত্থানের সংবাদ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। পরে এই সংবাদের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এটি একটি গুজব মাত্র-যা তিউনিশিয়ার শুভাকাঙ্ক্ষীরা ছড়িয়েছিল। এই সব ব্যক্তিরা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে শাসক বেন আলির শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে।
তিউনিশিয়া: দয়া করে বিশ্বকে জানান যে কাসেরিন মারা যাচ্ছে!
বাকী বিশ্বকে তিউনিশিয়ায় চলতে থাকা হত্যাযজ্ঞের ঘটনা তুলে ধরার জন্য তিউনিশিয়ার নেট নাগরিকরা দিন রাত ধরে কাজ করে যাচ্ছে। যার শুরু সিদি বোউজিদ নামের শহরের এক যুবকের বেকারত্বের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে। গত মাসে ২৬ বছর বয়স্ক তিউনিশিয়ার এই নাগরিক প্রতিবাদ স্বরূপ নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, যে ঘটনায় পুরো দেশ জ্বলে উঠে। ঘটনাটি সারা দেশ জুড়ে এক প্রতিবাদের সৃষ্টি করে। আজ এই ঘটনা উপলক্ষ্যে আসা কয়েকটি প্রতিবাদ নীচে প্রদান করা হল।
চিলি: থেরাপিউটিক গর্ভপাত নিয়ে ব্লগাররা আলোচনা করেছে
চিলির ব্লগাররা থেরাপিউটিক গর্ভপাতকে আইনসিদ্ধ করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে। ১৯৮৯ সালের আগাষ্টো পিনোচেটের মিলিটারী স্বৈর শাসন আমল থেকে এই ব্যবস্থা নিষিদ্ধ ছিল। এই প্রস্তাবে যদি মা কোন বিরূপ ভ্রুণ ধারন করে কিংবা তার জীবন হুমকির সম্মুখীন হয় তাহলে থেরাপিউটিক গর্ভপাত করায় সম্মতি প্রদান করা হবে।
সৌদি আরব: টুইটারে মানবাধিকার কর্মীকে চুপ থাকতে বলা হয়েছে
সৌদি মানবাধিকার কর্মী, যারা তাদের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য টু্ইটারের মত মাইক্রো ব্লগিং সাইট ব্যবহার করছে, তাদের বলা হচ্ছে, তারা যেন তাদের মুখ বন্ধ রাখে। এই কথাটি বলেছেন সৌদি উপদেষ্টা (শূরা) পরিষদের এক সদস্য। বিষয়টি ক্ষোভ, হাস্যরস এবং বিদ্রুপের মুখোমুখি হয়েছে।
আইভরি কোষ্ট: সবচেয়ে জনাধিক্য কারাগারে নির্যাতনের দৃশ্য
আইভরিয়ান অনলাইন কমিউনিটির মাঝে একটি ভিডিও সম্প্রতি আলোড়ন তুলেছে। এতে দেখা যায় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা “মেইজঁ দা অ্যারোষ্ট এ দ্যা কারেকসিওন” কারাগারে (এমএসিএ) বন্দীদের পেটাচ্ছে।
তিউনিশিয়া: সিদি বোউজিদের ঘটনার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় আইনজীবীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে
সিদি বোউজিদের ঘটনায় তিউনিশিয়ার আইনজীবীরা তার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে- যার মূল্য তাদেরকে প্রদান করতে হচ্ছে। আইনজীবীরা সিদি বোউজিদে যা ঘটেছে তার নিন্দা এবং তিউনিশিয়ার সামাজিক পরিস্থিতির প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করছিল। এই কারণে সরকার তাদের ‘শাস্তি’ দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিদিন আইনজীবীদের, অপহরণ, গ্রেফতার অথবা তাদের উপর হামলার কাহিনী সামাজিক প্রচার মাধ্যমগুলোতে প্রকাশ হচ্ছে।