· মার্চ, 2011

গল্পগুলো আরও জানুন বাক স্বাধীনতা মাস মার্চ, 2011

সিরিয়া: মিশরীয়-মার্কিন টুইটারকারী গুপ্তচর হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছে

মিশরীয়-মার্কিন টুইটার ব্যবহারকারী মুহাম্মেদ রাদোয়ানকে (@বাতুত্তা) সিরিয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সেদেশের টেলিভিশনে তাকে এক গুপ্তচর হিসেবে প্রদর্শন করা হয়েছে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, সে “ গোপন এক ভ্রমণে ইজরায়েল গিয়েছিল এবং সে বাইরের রাষ্ট্র থেকে সিরিয়ার অভ্যন্তরের ছবি এবং ভিডিও প্রদানের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করেছে"। ধারণা করা হচ্ছে তার গ্রেফতারের ঘটনায়, পুরো মিশরীয় সাইবার জগৎ-এর বাসিন্দারা আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবে।

ইরান: সিরিয়ার বিক্ষোভকারীরা বলছে, “ইরান নয়, হেজবুল্লাহও নয়!”

বেশ কয়েকজন ইরানী ব্লগার সিরিয়ায় অনুষ্ঠিত বুধবারের বিক্ষোভে সিরিয়ার প্রতিবাদকারীদের প্রদান করা স্লোগানের প্রতি প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেছে, যেখানে জনতা আওয়াজ তোলে, “ইরান নয়, হেজবুল্লাহও নয়!” সিরিয়া হচ্ছে ইরানের মিত্র রাষ্ট্র এবং একই সাথে লেবাননের হেজবুল্লাহ নামক জঙ্গি দলটির সাথে ইরানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

মিশর: বিদ্রোহ শেষ হয়নি ওদিকে সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের উপর আক্রমণ করছে

এক মাস আগে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল এবং এক মাস পর কায়রোর তাহরির স্কোয়ার আবার রক্তাক্ত সংঘর্ষের স্থানে পরিণত হয় যখন মিশরীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য লাগাতার বিক্ষোভ দমনে এগিয়ে আসে। স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের বের করে দেয়ার দুই সপ্তাহ পরে, মিশর এখনও একটা দ্বন্ধ যুদ্ধে আছে - বিশেষ করে বিক্ষোভকারীদের দ্রুত গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবি আর একটা নাছোড়বান্দা সেনাবাহিনী নিয়ে যারা ক্ষমতা ছাড়তে চাচ্ছে না।

ইয়েমেন: ‘সানায় শুক্রবারের হত্যাযজ্ঞ’

রাষ্ট্রপতি আলি আব্দুল্লাহ সালেহর দীর্ঘ দিনের শাসন অবসানের লক্ষ্যে চলে আসা আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনী সেনাবাহিনী আবারো গুলি চালিয়েছে। এতে প্রায় ৪০ জন নিহত হয় এবং কমপক্ষে ২০০ জন আহত হয়। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সালেহ বিরোধীদলকে দোষারোপ করেন এবং জরুরি অবস্থা জারী করেন।

আজারবাইজান: আরো প্রতিবাদ, আরো গ্রেফতার…

আজারবাইজানের বাকুতে গতকালের (১১ই মার্চ) তরুণদের সক্রিয় প্রতিবাদের পর বিরোধীদল মুসাভাত দল আজ বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। গণতন্ত্রের পক্ষে মিশর, তিউনিসিয়ার মত এত ব্যাপক মাত্রায় এখানে বিক্ষোভ না হলেও মাত্র কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভে অংশ নেয়। এ বিক্ষোভ ছিল তীব্র।

সৌদি আরব: “এই দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ”

সৌদি আরবের কাউন্সিল অফ সিনিয়র ক্লেরিক নামে পরিচিত ঊধ্বর্তন ধর্মীয় নেতাদের সংগঠন গণবিক্ষোভের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে এক বিবৃতি প্রদান করেছে। এই ঘোষণা সৌদি টুইপসে এক প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।