গল্পগুলো আরও জানুন আরবী মাস জানুয়ারি, 2011
মিশর: তথ্য যাতে বাইরে না যায় তার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তথ্য বাইরে চলে যাচ্ছে
মিশরীয় সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে এবং সকল মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, বিশেষ করে যাতে বিক্ষোভ সংক্রান্ত তথ্য বাইরে যেতে না পারে। তবে লোকজন বুদ্ধি খাটিয়ে তথ্য বাইরে পাঠানোর উপায় বের করে ফেলেছে।
মিশর: ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া
গত কয়েকদিন ধরে যেমন মিশরীয় প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভকে সংগঠিত এবং তথ্য আদান প্রদানের জন্য সামাজিক প্রচার মাধ্যমের উপাদান সমূহ ব্যবহার করে আসছে, ঠিক তেমনি এসব উপাদানে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে তাদের অজস্র বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আজ রাতে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়, যখন সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
মিশর: নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নাগরিকদের তোলা ভিডিও প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে
মিশরে চলতে থাকা বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার কারণে মিশরের নাগরিকদের পক্ষে সেখানে আসলে কি ঘটছে তা বাকি বিশ্বকে জানানো কঠিন হয়ে পড়েছে, তারপরেও কয়েকজন নাগরিক তাদের ভিডিও প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে।
মিশর: বিপ্লবের দিনকে টুইট বার্তায় জানানো
ছোট সমাবেশের রিপোর্ট থেকে মিশরের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর মিছিল সম্পর্কে প্রতিক্রিয়াতে টুইটার রয়েছে সরব। ২৫শে জানুয়ারীর এই দেশব্যাপী ‘বিপ্লবের দিন’ পুলিশ দিবসের সাথে একই দিনে পড়েছে আর বিভিন্ন ক্ষেত্রের আর বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ একত্র হয়েছে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের ৩০ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার জন্য।
মিশর: বিক্ষুব্ধ এক দিনের পরে, নেমে আসা রাত
মিশরে রাতের আকাশ যত বিস্তৃত হচ্ছে, ততই কায়রো এবং দেশটির বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ চলছেই। বিক্ষোভের মতই পুলিশের আক্রমণ বেড়ে চলছে। কিন্তু সেই সাথে স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের দয়ালু মনোভাবও ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে। কিন্তু আগামীকাল পর্যন্ত বিক্ষোভ প্রদর্শন চালানো সম্ভব হবে কি না, তা এখনো দেখার বাকি রয়েছে।
মরোক্কো: সামাজিক প্রতিবাদ চলছেই
মরোক্কোর ব্লগ আলওয়ানদিদা (আরবী ভাষায়) দেশটির “সামাজিক” প্রতিবাদ আন্দোলনের উপর আরো বড় আকারে নজর প্রদান করছে। এখানে সে এক ভিডিও পোস্ট করেছে, যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা দেশটির গৃহায়ন সমস্যার বিরুদ্ধে কথা বলছে।
আরব বিশ্ব: অন্যের অনুকরণে একই ভাবে স্বেচ্ছায় জীবন ত্যাগের ঘটনাকে উৎসাহ প্রদান করা উচিত নয়
তিউনিশিয়ার নাগরিক মোহম্মেদ বোয়াজিজি বেকারত্বের প্রতিবাদে গায়ে আগুন জ্বালিয়ে যে প্রতিবাদের সূচনা করছিল, এক মাসেরও কম সময়ে সেই আন্দোলন, দেশটির শাসক জিনে আলি আবিদিনের ২৩ বছরের শাসনের পতন ঘটায়। এর পর থেকে মৌরিতানিয়া, আলজেরিয়া ও মিশরে বেকারত্ব, জীবনযাত্রার ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি এবং অন্যান্য অন্যায়ের প্রতিবাদে ১০ জন নাগরিক স্বেচ্ছায় প্রাণত্যাগ করে।
আরব বিশ্ব: বর্ণবাদ এবং ক্রীতদাসের মাথা নামক ক্যান্ডি বিষয়ক বিতর্ক
আমরা আরবরা কি বর্ণবাদী চরিত্রের অধিকারী? এটা বলা খুবই কঠিন। কেউ হয়ত যুক্তি প্রদান করতে পারে যে, আমাদের ধর্ম বর্ণবাদের বিপক্ষে এবং এখনকার জনগণ কারো গায়ের রঙের কারণে তাকে আলাদা করে না। তবে অন্যদিকে, আমাদের সামাজিক জীবনে কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় রয়েছে, যা হয়ত প্রমাণ করে যে, হ্যাঁ, আমরা বর্ণবাদী। অনেক সময় স্বাভাবিক ভাবে মনে হয়, কালো মানুষদের নিয়ে রসিকতা করার বিষয়টি আমাদের সমাজে খুব সাধারণে এক ঘটনা [আরবী ভাষায়]। চলচ্চিত্রে, এমনকি, কখনো আমরা যাকে চকোলেট-বলি সেই ক্যান্ডিকে, আমরা তার রঙের কারণে “ক্রীতদাসের মাথা” বলে অভিহিত করে থাকি।
আরব বিশ্ব: আরব গটস ট্যালেন্টস অনুষ্ঠানকে আভিনন্দন!
‘আরব গট ট্যালেন্টস’ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছে। শুরুতেই এটি টুইটার জনতার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, যারা এই অনুষ্ঠান নিয়ে উৎসাহ এবং সমালোচনার স্তুপ তৈরি করেছে। এই অনুষ্ঠানটি টুইটারে দ্রুত এক আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়। এখানে মিশ্র কিছু প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হল।
তিউনিশিয়া: ব্লগার এবং প্রাক্তন রাজনৈতিক বন্দীর মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তি
সালিম আমামাউ একজন ব্লগার, একটিভিস্ট এবং গ্লোবাল ভয়েসেস-এর লেখক, তিনি তিউনিশিয়ার অন্তবর্তীকালীন ঐক্যমতের সরকারে ক্রীড়া এবং যুব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। এই ঘটনায় সামাজিক প্রচার মাধ্যমে অনেক প্রতিক্রিয়া প্রদান করছেন।