ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: পেছনের মানুষ ও প্রেক্ষাপট

The illustration shows the Pakistani flag on the left side and the Indian flag on the right side overlapping an abstract map of Kashmir.

অলঙ্করন: গ্লোবাল ভয়েসেস

এই গল্পটি গ্লোবাল ভয়েসেসের নাগরিক গণমাধ্যম মানমন্দিরের সংবাদপুস্তিকা আন্ডারটোনসের অংশ। আন্ডারটোনসের গ্রাহক হোন

গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের মানমন্দিরের কভারেজের অংশ ভারত ও পাকিস্তান এবং গ্লোবাল ভয়েসেস ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলের অবহেলিত বিষয়গুলি নিয়ে প্রতিবেদন করে আসছে। বিগত সংস্করণগুলিতে আমরা মূলধারায় খুবই কম শোনা ভারতের পবিত্র নদী নিয়ে রাজনৈতিক লড়াই বা পাকিস্তানি গণমাধ্যম ও এর বাইরে ক্রমবর্ধমান বিষাক্ত পুরুষতান্ত্রিকতার আখ্যানের মতো গল্পে মনোনিবেশ করেছি। এই সপ্তাহের আখ্যান দুটি আক্রমণ ও এর প্রেক্ষাপটে মানুষের অবস্থান তুলে ধরেছে।

একটি বিতর্কিত অঞ্চল 

ভারতীয় স্বাধীনতা আইন ১৯৪৭ ব্রিটিশ ভারতের বিভাজন ভারত ও পাকিস্তানকে (পশ্চিম পাকিস্তান – বর্তমান পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তান – ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ) দুটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে মনোনীত করে। আইনটি মুসলমান, হিন্দু ও শিখ জনগোষ্ঠীকে পৃথক করতে গিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য জোরপূর্বক অভিবাসন ঘটায়।

ব্রিটিশ ভারতের এই বিভাজনে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চল যেকোনো দেশের সাথে যুক্ত হতে পারলেও স্বাধীনতা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে কাশ্মীরের রাজা মহারাজা হরি সিংহের ভারতে যোগদানের সিদ্ধান্ত ঐ বছর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতময় বিরোধের জন্ম দেয়।

ভারত-পাকিস্তান ১৯৪৯ সালের জুলাইতে করাচি চুক্তির মাধ্যমে একটি যুদ্ধবিরতি রেখা স্থাপনে সম্মত হয়, যা ১৯৪৮ সালের ১৩ আগস্ট জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের প্রথম অংশে বর্ণিত শত্রুতা বন্ধের পক্ষে সমর্থন করে। উদ্যোগটি বেশ কয়েক বছর উত্তেজনা প্রশমিত করলেও ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৮৯ ও ১৯৯৯ সালে এই ভূখণ্ডের জন্যে দুই দেশ আবারো লড়াই করে

ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিতে থাকা পাকিস্তান ও ভারত ২০০৩ সাল থেকে মাঝে মাঝে বেশ কয়েকবার এই চুক্তি লঙ্ঘন করে

ভারত সরকার ৫ আগস্ট, ২০১৯ সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে কঠোর নিরাপত্তা ও যোগাযোগ বন্ধ করে এটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে। সর্বোচ্চ আদালত ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই পদক্ষেপ বহাল রাখে। সেসময় প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের পরিস্থিতি প্রভাবিত “প্রান্তিক সম্প্রদায়” হিসেবে বিবেচিত বিভিন্ন উন্নয়ন সুবিধা প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতি দেন

মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ২০২৪ সালের জুলাই ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পাঁচ বছর পর নির্বিচারে আটক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অব্যাহত নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছে। একই বছরের সেপ্টেম্বরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর ২০১৯ সালের পর থেকে এই অঞ্চলটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে দাবির বিপরীতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও বিধিনিষেধে সৃষ্ট ভয়ের পরিবেশের কথা উল্লেখ করেছে।

আখ্যান: কাশ্মীরিরা শত্রু নয়

পর্যটন শহর পহেলগামে ২২ এপ্রিল জঙ্গিরা বেশিরভাগ হিন্দু ২৬ ব্যক্তিকে হত্যা করলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একের পর এক প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের সূত্রপাত করে, যা উত্তেজনা বাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ দুটির মধ্যে পূর্ণ মাত্রার সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি করে।

এই ঘটনার পর কাশ্মীরিরা ব্যাপক প্রতিশোধ ও সহিংসতার শিকার হয়। জঙ্গি আস্তানা ধ্বংসের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্থানীয়দের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত থেকে শুরু করে ভারতজুড়ে কাশ্মীরি বিক্রেতাদের উপর আক্রমণ, এমনকি বিভিন্ন হিন্দু ডানপন্থী গোষ্ঠীর প্রতিশোধমূলক হামলার একাধিক ঘটনার পর কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ছেড়ে পালাতে হয়।

কাশ্মীর উপত্যকার বাসিন্দা ও জম্মু অঞ্চলে কাশ্মীরি ভাষাভাষী কাশ্মীরি জনগণ মূলত মুসলমান হলেও উপত্যকা থেকে চলে এসে বর্তমানে জম্মু বা ভারতের অন্যান্য অংশে বসবাসকারী  কাশ্মীরি অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ও রয়েছে।

কাশ্মীরিদের প্রতি ঘৃণা বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় এই আখ্যান কাঠামোর সমর্থকরা ভারতীয় ঐক্য ও সহাবস্থানের পক্ষে কথা বলে পহেলগাম হামলার নিন্দা করছে। এছাড়াও কাশ্মীরে ভারত সরকারের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের সুযোগ নেওয়া ইসলামপন্থী জঙ্গিদের মোকাবেলা করতে এই আখ্যানটি ব্যবহার করা হয়েছে।

আখ্যানটি যেভাবে অনলাইনে ভাগাভাগি করা হয়েছে

একজন কাশ্মীরি নাগরিকের সাথে রিপাবলিক টিভির রাস্তার সাক্ষাৎকার থেকে সম্পাদিত এই সাবটাইটেলযুক্ত ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে লেখক পহেলগাম হামলার সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা সাংবাদিকদের চেষ্টার বিরুদ্ধে সাক্ষাৎকার প্রদানকারীর কাশ্মীরি জনগণের পক্ষাবলম্বনের প্রশংসা করেছেন।

পোস্টের লেখক সাক্ষাৎকারগ্রহীতাকে ভারতে বিজেপি সরকার  ও তার বর্ণনার অনুগত মূলধারার গণমাধ্যম আউটলেটগুলিকে বোঝাতে জনপ্রিয় “গোদি গণমাধ্যম প্রতিবেদক”  অভিহিত করেছেন। মুষ্টিমেয় শক্তিশালী গোষ্ঠীর মাধ্যমে গণমাধ্যম দখলের কারণে এই ঘটনাটি মূলত ভারতীয় সাংবাদিকতার, বিশেষ করে সম্প্রচার বৈচিত্র্যের মেরুকরণকারী, গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থার জন্যে দায়ী।

আইটেমটি প্রকাশকারী অ্যাকাউন্টটির টুইটারে ১৭০,০০০ অনুসারী এবং এর বায়োতে “সংবিধানের পক্ষে | গণতন্ত্রের পক্ষে | ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে 🔥” লেখা আছে। এটি উর্দু দৈনিক সংবাদপত্র ইনকিলাব বা এমনকি ভারতীয় ইনকিলাব পার্টির সাথেও সম্পর্কিত নয়।

আইটেমটি ১১,৫১,৮০৮ প্ছন্দ ও ১৮.৯০০ মন্তব্য পেয়েছে। এটি উল্লেখযোগ্য প্রচার, সাক্ষাৎকারদাতার কাশ্মীরি জনগণের পক্ষাবলম্বনের প্রশংসা তথা  ভারত সরকার ও এর প্রচারণা আখ্যান সমর্থক মূলধারার গণমাধ্যম আউটলেটগুলির ভূমিকা সমালোচনা্র জন্যে আমাদের নাগরিক প্রভাব স্কোরে +২ স্থান পেয়েছে।

এখানে আইটেমটির সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ দেখুন।

আখ্যান: ভারত কাশ্মীরের ক্ষেত্রে “ইসরায়েল মডেল” অনুকরণ করছে

এই আখ্যান কাঠামোর সমর্থকরা মূলত উপনিবেশবাদ-বিরোধী কর্মী ও ফিলিস্তিনিপন্থী প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা একইধরনের ইসলামভীতির বক্তৃতা ও উগ্র-ডানপন্থী কর্তৃত্ববাদী নীতি ও উপনিবেশবাদী সম্প্রসারণবাদের জন্যে সামরিকীকরণ, প্রচারণা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রতি মোহগ্রস্ত ভারত ও ইজরায়েলে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী ও ইহুদিবাদী জাতিগত জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে সাম্প্রতিক জোটের দিকে ইঙ্গিত করছে।

হামাস-নেতৃত্বাধীন ইজরায়েলে আক্রমণের পর জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকার সংস্থাহলোকাস্ট পণ্ডিতদের কাছে গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূল অভিযানে পরিণত গাজা অবরোধ ও আক্রমণের ১৯ মাস হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির রাজনীতিবিদডানপন্থী প্রচারকরা কাশ্মীর মোকাবেলায় ক্রমবর্ধমান “ইজরায়েলের মতো সমাধান” বা “ইজরায়েল মডেল” প্রচারের প্রবণতাটি ২২ এপ্রিল, ২০২৫ পহেলগামে হিন্দু পর্যটকদের লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলাটি সামাজিক গণমাধ্যমে সম্পূর্ণ মুসলমান-বিরোধী উস্কানিতে পরিণত করেছে

ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পহেলগাম হামলার প্রতিক্রিয়ায় ৬ মে, ২০২৫ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিন্দুর শুরু করে। ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত এই অভিযান ও ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন।

অনলাইনে আখ্যানটি যেভাবে জোরদার করা হচ্ছে

বাহরাইনে জন্মগ্রহণকারী কানাডীয় নারীবাদী, আদিবাসী অধিকা ও পুঁজিবাদ-বিরোধী পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত কর্মী হর্ষ ওয়ালিয়া পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন সিন্দুর শুরু করার একদিন পর হিন্দুত্বকে ইহুদিবাদের সাথে তুলনা দিয়ে উভয়ের মধ্যে জাতীয়তাবাদ ও মুসলমান-বিরোধী মনোভাবসহ সাধারণ উপাদান তালিকাভুক্ত করে এক্সে এই পোস্টটি ভাগাভাগি করেছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মতো একই পথ অনুসরণ করছে বোঝাতে তিনি লিখেছেন, “হিন্দুত্ব ও ইহুদিবাদ সহিংসতার মতাদর্শ।“

হর্ষ ওয়ালিয়া কট্টর অভিবাসী ন্যায়বিচার আন্দোলন “কেউ অবৈধ নয়”-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা, “সী্মান্ত ও শাসন: বিশ্বায়ন, অভিবাসন  পুঁজিবাদ ও বর্ণবাদী জাতীয়তাবাদের উত্থান” লেখাসহএসব বিষয়ে আরো কয়েকটি বইয়ের সহ-লেখক।

আইটেমটি ৫ উদ্ধৃতি পোস্ট, ১৪ মন্তব্য, ২৮১ পুনঃপোস্ট, ৭৫৯ পছন্দ এবং ৮৮ বুকমার্ক পেয়েছে। ভারত ও ইজরায়েলি সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তাদের দখলকৃত অঞ্চলের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টার নিন্দা করায় এটি আমাদের নাগরিক প্রভাব স্কোরে +১ স্থান পেয়েছে।

এখানে আইটেমটির সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ দেখুন।

আরেকটি ক্ষেত্রে এই ছকটি দেখা গেছে। কানাডীয় সাংবাদিক সানা সাইদ ভারতার সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মন্তব্য করেছেন, আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে গাজা আক্রমণের জন্যে ইজরায়েলকে দেওয়া দায়মুক্তি ফলে ভবিষ্যতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর উপর বারবার প্রভাব ফেলবে। অনাহারে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্যে ইজরায়েলের কোনো প্রতিক্রিয়া ও পরিণতি না থাকায় পাকিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে জল-ঘাটতিপূর্ণ দেশগুলি অন্যতম জেনেও “ভারত সম্পূর্ণরূপে জল চুক্তি বাতিল করেছে”, লিখেছেন সাঈদ। জম্মু ও কাশ্মীরের আইনসভা ২০০৩ সাল থেকে চুক্তিটি সংশোধন বা বাতিলের দাবি করে আসলেও ভারত ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে অন্তত আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত করার পর থেকে চুক্তিটি পুনর্বিবেচনার ইচ্ছে পোষণ করে আসছে। চুক্তিটির অনিশ্চিত ভবিষ্যত জলবিদ্যুতের জন্যে ভঙ্গুর সিন্ধু নদী অববাহিকার জলনির্ভর ২৮.৬ কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে।

আইটেমটি ৩৫৩ উদ্ধৃতি টুইট, ৮৫৯ মন্তব্য, ৪.১ হাজার পুনঃপোস্ট, ১৪ হাজার পছন্দ ও ১.২ হাজার বুকমার্ক পেয়েছে। যথেষ্ট দর্শক, আন্তর্জাতিক আইনের বর্তমান অবস্থা ও সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বিভিন্ন রাষ্ট্র পরিচালিত অবৈধ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়ার অভাব কীভাবে পরোক্ষভাবে সেই বেআইনি চর্চার বৈধতা দেওয়ার প্রতিফলন করায় এটি আমাদের নাগরিক প্রভাব স্কোরে +২ স্থান পেয়েছে।

এখানে আইটেমটির সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ দেখুন।

মার্কিন চাপ ও চার দিনের যুদ্ধের পর ১০ মে, ২০২৫ ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও চুক্তির কয়েক ঘন্টা পরেই সীমান্তবর্তী নগর ও শহরগুলিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, উভয়পক্ষই পরস্পরকে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযুক্ত করে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .