প্রশান্তমহাসাগরীয় গণমাধ্যম গ্রুপগুলির কাজের প্রধান চ্যালেঞ্জ কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা, বিধিনিষেধ ও সীমিত সম্পদ

Pacific Freedom Forum

প্রশান্তমহাসাগরীয় স্বাধীনতা ফোরামের নেতারা প্রশান্তমহাসাগরীয় দ্বীপমালা গণমাধ্যম স্বাধীনতা সুচক ও ২০২৩ প্রতিবেদনের একটি কপি ধরে রেখেছে। অনুমতি্সহ ছবি ব্যবহৃত।

প্রশান্তমহাসাগরীয় গ্রুপগুলি এই অঞ্চলের সাংবাদিকদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরতে ৩ মে বিশ্ব প্রেস স্বাধীনতা দিবস (ডাব্লিউপিএফডি) উপলক্ষ্যে বিবৃতি প্রকাশ করে একটি ফোরাম গঠন করে একটি গণমাধ্যম শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেছে।

এই বছরের ডাব্লিউপিএফডি থিম “সাহসী নতুন বিশ্বে প্রতিবেদন – প্রেস স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের উপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব” হিসেবে প্রশান্তমহাসাগরীয় স্বাধীনতা ফোরাম বৈশ্বিক অংশীদারদের কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তার দ্বিমুখী প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াইরত এই অঞ্চলের গণমাধ্যম আউটলেটগুলিকে সমর্থনের অনুরোধ করছে

আত্ম-নজরদারির বাস্তব ও গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য প্রচারণা আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ফাটল তৈরি ও বিভক্ত করে।

এই সাহসী নতুন বিশ্বে গণমাধ্যমে সাহসী সাংবাদিক, সাহসী সরকার ও সাহসী বন্ধু প্রয়োজন। আমাদের অনুরোধ অপ্রতুল সংবাদমাধ্যমের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার মানহানি ও মুখ বন্ধ করার আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বৈশ্বিক ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমর্থকদের আইনি সহায়তা বজায় থাকবে।

প্রশান্তমহাসাগরীয় দ্বীপমালা সংবাদ সমিতির সভাপতি কালাফি মোয়ালা কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তার গণমাধ্যম দৃশ্যপট প্রভাবিত করা মোকাবেলা করার প্রয়োজনীয়তা প্রতিধ্বনিত করেছেন

কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটি ভুল তথ্য ছড়ানো, কণ্ঠস্বর বন্ধ এবং শক্তিশালী প্রযুক্তি সংস্থাকে জনগণ কী দেখতে ও শুনতে পাবে তার নিয়ন্ত্রক বানাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

বৈশ্বিক মঞ্চগুলির সাথে আমাদের ছোট ছোট সংবাদকক্ষের প্রতিযোগিতা গণমাধ্যম দৃশ্যপটকে পুনর্গঠন করছে।

কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তাকে আমাদের অঞ্চলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, উন্মুক্ততা বা বৈচিত্র্যকে দুর্বল করতে দেওয়া উচিত নয়।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জে এই অঞ্চলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের গণমাধ্যম সমিতি সলোমন দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পাদক, সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের জড়ো করেছে

পাপুয়া নিউ গিনিতে (পিএনজি) গণমাধ্যম পর্ষদ দেশে গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে ২০০ জনেরও বেশি সাংবাদিক, বিষয়বস্তু স্রষ্টা, সরকারি কর্মকর্তা ও শিল্প নেতাএকটি গণমাধ্যম শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেছে। পিএনজি গণমাধ্যম পর্ষদের সভাপতি নেভিল চোই তার বক্তব্যে বিরোধীদলীয় একজন নেতার সাক্ষাৎকার গ্রহণের অভিযোগে ৩ মে কাজ থেকে তিন সপ্তাহের জন্যে বরখাস্তকৃত একজন বিশিষ্ট রেডিও উপস্থাপক কুলিগান তান্দার ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করেন।

আমরা একটি ভাল অনুষ্ঠানের জন্যে এখনো রেডিও উপস্থাপকদের সমস্যায় পড়তে ও সংবাদ সংস্থাগুলির কর্মীদের শাস্তি পেতে দেখছি।

এগুলি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এই জিনিসগুলি এখনো ঘটতে থাকার মানে আমাদের নিজেদের জবাবদিহি নেই। সংবাদ সংস্থা ও ব্যবস্থাপনাকে এগিয়ে এসে বলতে হবে হ্যাঁ আমরা আত্ম-নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব বুঝি এবং আমরা একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড ও গণমাধ্যম পর্ষদের নৈতিকতার সাথে একাত্ম।

সামোয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যম সামোয়া অবজারভার একটি সম্পাদকীয়তে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে

সত্যের সন্ধানে বিশ্বের অন্যান্য সাংবাদিকদের মতো সামোয়া অবজারভারের সাংবাদিকরাও আইনি, অনলাইন, সরকারি, এমনকি শারীরিক হুমকির সম্মুখীন হয়। কেন আমরা এই তথ্য আপনার কাছে পৌঁছে দিচ্ছি? কারণ আমরা চাই এই দেশের জনগণ এটা জানুক।

আমাদের প্রশংসা করা হোক বা না হোক আমরা এই দেশের জনগণকে অবহিত রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করি। সরকারি প্রভাবহীন স্বাধীন, মুক্ত গণমাধ্যম জনগণকে জেনেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে, নেতাদের জবাবদিহি করতে ও বিভিন্ন মতামত শুনতে দেয়।

সীমান্তবিহীন প্রতিবেদক (আরএসএফ) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ফিজি ২০২৩ সালে ৮৯ থেকে ৪৯ ধাপ উপরে উঠে ২০২৫ সালে ৪০ নম্বরে পৌঁছানোতে ফিজির সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার অসাধারণ উন্নতির প্রশংসা করেছে ফিজি টাইমস।

আমাদের এখনকার চ্যালেঞ্জ হলো জনগণ যাতে স্পষ্ট দায়িত্বশীলতার সাথে যাতে তাদের মনের কথা বলতে ও নিজেদের প্রকাশ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করা।

আমরা ইতোমধ্যে সেটা দেখতে ও বুঝতে পারছি।

জনগণ তাদের প্রভাবিত করা বিষয়গুলি উত্থাপন করছে। তারা সম্পর্কিত হতে পারা ও দৃঢ়ভাবে অনুভব করতে পারার মতো বিষয়গুলি উত্থাপন করছে।

এটাই পথ। তারা ক্ষমতার জবাবদিহিতা করছে। তারা আমাদের জাতির শাসনব্যবস্থায় সহায়তা করছে। তারা পরিবর্তন আনতে বাধ্য করছে। তারা আমাদের নেতাদের বসতে এবং লক্ষ্য করতে বাধ্য করছে!

জনগণের মতামত যে তাদের মতামতের চেয়ে ভিন্ন হতে পারে সেটা উপলব্ধি করা এখন ক্ষমতাধরদের দায়িত্ব। এই সবকিছুর সাথে ফিজিতে উন্নয়ন ও উন্নত জীবনের দরকার রয়েছে।

ফিজির উন্নত র‌্যাঙ্কিং সত্ত্বেও প্রশান্ত মহাসাগরের কোনো দেশই আরএসএফ প্রেস স্বাধীনতা সূচকে শীর্ষ ১৫-তে স্থান পায়নি।

প্রশান্তমহাসাগরীয় দ্বীপ টাইমসের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে, মার্শাল দ্বীপমালা জার্নাল পত্রিকার সম্পাদক গিফ জনসন মাইক্রোনেশীয় উপ-অঞ্চলে গণমাধ্যমের প্রধান চ্যালেঞ্জের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেছেন:

গণমাধ্যম বিরোধের অত্যন্ত ব্যক্তিগতকৃত প্রকৃতি হলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রায়শই কোনো রাজনীতিবিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে – ন্যায্যভাবে হোক বা না হোক – আক্রান্ত বোধ করলে প্রতিবন্ধক সীমাবদ্ধ আইন প্রস্তাব করতে চান। এসব প্রস্তাবের বেশিরভাগই গণমাধ্যম কীভাবে কাজ করে তা ভুল বোঝে। হাস্যকরভাবে এগুলি সামাজিক মঞ্চের বদলে প্রচলিত গণমাধ্যমকেই প্রভাবিত করে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .