সুদানে আইন এড়িয়ে ইন্টারনেট বন্ধ চলছে

জিওভানা ​​ফ্লেকের তৈরি ছবি, অনুমতিসহ ব্যবহৃত।

এই গল্পটি নাগরিক গণমাধ্যম মানমন্দিরের এল সালভাদর, ব্রাজিল, তুরস্ক, সুদান এবং ভারতে শাসন, নিয়ন্ত্রণ ও নীতির জন্যে ব্যবহৃত ডেটা আখ্যান সনাক্ত ও বোঝার প্রকল্প ডেটা ন্যারেটিভসের অংশ। এখানে প্রকল্প সম্পর্কে আরো পড়ুন এবং নীচের পাঠ্যে কভার করা সম্পূর্ণ বিশ্লেষণের জন্যে আমাদের প্রকাশ্য ডেটাসেট দেখুন।

আরবি ভাষী বিভিন্ন দেশ ও সাব-সাহারা আফ্রিকার কৌশলগত সংযোগস্থলে অবস্থিত সুদান পূর্ব ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিকে লোহিত সাগরের সাথে যুক্ত করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানটি এটিকে প্রধান আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের একটি আগ্রহের দেশে পরিণত করেছে। সুদানের বিষয়ে তাদের গভীর সম্পৃক্ততায় সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার মাত্রা কর্তৃপক্ষকে নাগরিকদের যোগাযোগ বন্ধ করতে বাধ্য করেছে।

সুদানের অভ্যুত্থান ২০১৮ বিশেষ করে রাজনৈতিক অস্থিরতা, জাতীয় পরীক্ষাসামরিক অভ্যূত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার সূচনা করেছে। কর্তৃপক্ষ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, তথ্যে প্রবেশাধিকার ও অবাধ সমাবেশের অধিকারসহ বেশ কয়েকটি অধিকার সীমিত করতে এই বন্ধগুলি ব্যবহার করেছে।

তবে অনন্যোপায় হলে কর্তৃপক্ষ তাদের নিজেদের ইন্টারনেট বন্ধ নিজেরাই এড়িয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুদানের কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট ব্যাঘাতের সময় স্টারলিঙ্ক নামের একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছিল।

সুদানের টেলিযোগাযোগ ও সমাজে দ্রুত সহায়তা বাহিনীর প্রভাব

মূলত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যে সুদানের ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি ওমর আল-বশির ২০১৩ সালে আধাসামরিক গোষ্ঠী দ্রুত সহায়তা বাহিনী (আরএসএফ) তৈরি করেন। সুদানের সংসদ ২০১৭ সালে আরএসএফ আইন পাস, তাদের কার্যকলাপকে বৈধ করে তাদের সরকারি সেনাবাহিনী সুদানি সশস্ত্র বাহিনীর (এসএএফ) পরিবর্তে সরাসরি রাষ্ট্রপতির কমান্ডের অধীনে নিয়ে আসে। মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ২০১৫ সালে আরএসএফের মানবাধিকার লঙ্ঘনকে প্রতিফলিত করে তাদের “নির্মম বাহিনী” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে

আরএসএফ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সুদানের প্রধান ইন্টারনেট প্রদানকারী সুদাটেল কোম্পানি পরিচালিত ডেটা কেন্দ্র দখল নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। পরে একটি ব্যাপক ইন্টারনেট বন্ধেপ্রতিবেদনে দেখা যায় খার্তুমে বিভিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীর (আইএসপি) ডেটা কেন্দ্র নিষ্ক্রিয় করার জন্যে আরএসএফ দায়ী। আরএসএফ এসব অভিযোগে কোনো জবাব না দিলেও সুদানের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক টেলিযোগাযোগ ও ডাক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (টিপিআরএ) আরএসএফকে টেলিযোগাযোগ বিভ্রাটের জন্যে দায়ী হিসেবে প্রকাশ্যে অভিযুক্ত করেছে। এসব দাবিকে সমর্থন করে জেইন টেলিযোগাযোগ কোম্পানির প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী নিশ্চিত করেছেন আসলেই আরএসএফ ডেটা কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে।

আমাদের সূত্র @আরএসএফসুদান বাহিনীর #সুদানের খার্তুমের আইএসপিগুলির ডেটা কেন্দ্র দখল নিশ্চিত করেছে। #চালিয়েযাও

টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর নিয়ন্ত্রণ আরএসএফ’কে পরিষেবা পরিচালনাকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের ক্ষমতা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে প্রবেশাধিকার, তথ্যের প্রবাহের উপর নিয়ন্ত্রণ ও টেলিযোগাযোগ ট্র্যাফিকে আঁড়িপাতার ক্ষমতায় ক্ষমতায়ন করতে পারে।

যৌথ বিবৃতিতে ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ হাদ্রিন উদ্যোগ, সুদানি- মার্কিন চিকিৎসক সমিতি (এসএপিএ) এবং আফ্রিকীয় শিঙ অঞ্চলে নারীদের কৌশলগত উদ্যোগে (এসআইএইচএ নেটওয়ার্ক) সহ বেশ কয়েকটি সুশীল সমাজ সংগঠন ব্ল্যাকআউটের জন্যে করে আরএস এফের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে। বিপ্লবে আহতদের স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজনীয়তা ও দৈনন্দিন জীবনকে সমর্থনকারী হাদ্রিন ও এসএপিএ সুদানি বিপ্লবের চিকিৎসা সংগঠন হিসেবে কাজ করে। এই সংস্থাগুলি পুরানো শাসকগোষ্ঠীকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরেও তাদের আসল ম্যান্ডেট বজায় রেখে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছে, যা তাদের পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতাকে স্পষ্ট করে।

দারফুরে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ থেকে বেশ কয়েক মাস ধরে অব্যাহত যোগাযোগ সমস্যা সমাধানে আইএসপিগুলির ব্যর্থতার প্রতিবাদে আরএসএফ টেলিযোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে পশ্চিম সুদানের দারফুর অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ ব্ল্যাকআউটের জন্যে সুদানি সশস্ত্র বাহিনীকে (এসএএফ) অভিযুক্ত করা হয়েছে। তদন্তের পর হাদ্রিন উল্লেখ করেছে এসএএফ নেতৃত্ব সরাসরি যুদ্ধের শুরু থেকে দারফুর ও কর্ডোফানের বিশাল এলাকায় যোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

কিপ ইট অন (চালিয়ে যাও) জোট একটি বিবৃতিতে ইন্টারনেট বন্ধে অধিকারের লঙ্ঘন ও সম্ভাব্য প্রভাব তুলে ধরে এর নিন্দা করেছে। এছাড়াও সুদানের জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়ক ক্লেমেন্টাইন এনকোয়েতা-সালামি টেলিযোগাযোগ বন্ধ গুরুত্বপূর্ণ মানবিক প্রতিক্রিয়ার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত এবং জীবন রক্ষাকারী তথ্যের প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ হয় বলে উল্লেখ করেছেন

আইনি-ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ

অতীতে টেলিযোগাযোগ ও ডাক নিয়ন্ত্রণ আইন (টিপিআরএ) ২০১৮ এবং জরুরী ও জননিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন ১৯৯৭ সহ বেশ কয়েকটি আইনে ইন্টারনেট বন্ধ করা আইনত ন্যায়সঙ্গত ছিল। লক্ষ্যণীয় যে সুদান নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর), অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিইএসসিআর) এবং মানব ও গণ অধিকারের আফ্রিকীয় চুক্তি (এসিএইচপিআর) সহ গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার উপকরণ অনুমোদন করেছে। এই চুক্তিগুলি তথ্য গ্রহণ, প্রদান ও প্রচারের অধিকারকে সমর্থন করে। উপরন্তু, ২০১৯ সালে সুদানের সাংবিধানিক সনদ ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকারের নিশ্চয়তা দেয়।

সুদানি কর্তৃপক্ষ টেলিযোগাযোগ বন্ধের ন্যায্যতা দেওয়ার জন্যে ২০২৪ ইন্টারনেট বন্ধের আগে, এই ধরনের আইন ও বিধান সৃষ্টি করেছিল। টিপিআরএ পরিষেবাদান ও পরিচালনাকারীদের উপর তার ক্ষমতা ব্যবহার করে তাদের এই আদেশগুলি মেনে চলতে বাধ্য করেছে। তবে ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিটি ঘটনা পরিষেবা প্রদানকারী ও তাদের গ্রাহকদের মধ্যে চুক্তির অঙ্গীকারকে চ্যালেঞ্জ করে, যেমনটি ২০২১ সালের অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানের পরে ইন্টারনেট বন্ধের সময় আদালতের রায়ে তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন: ইন্টারনেটে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকারে্র পক্ষে দাঁড়িয়েছে সুদানের আদালত

টিপিআরএ ২০২৩ সালের শেষের দিকে তার সুস্পষ্ট অনুমতি ছাড়া স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ডিভাইস আমদানি নিষিদ্ধ করে। দারফুর অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ ব্ল্যাকআউটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্টারলিংক ব্যবহারের রিপোর্টের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দারফুরে স্যাটেলাইট যোগাযোগের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, আরএসএফের যোগাযোগ বন্ধ করতে সুদান সরকারকে এই অসাধারণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। ওমদুরমান এলাকার এসএএফ নিয়ন্ত্রিত কিছু এলাকায় সরকার স্টারলিংকের মাধ্যমে বিনামূল্যে নাগরিকদের ইন্টারনেট সরবরাহ করতে শুরু করেছে। সুদানি কর্তৃপক্ষের নাগরিকদের তাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকা যোগাযোগ পরিষেবা প্রদানের এটিই প্রথম উদাহরণ।

যেকোনো স্যাটেলাইট পরিষেবা প্রদানকারীর মতো স্টারলিঙ্ক সরকার ও নিয়ন্ত্রকদের সীমিত নিয়ন্ত্রণের কভারেজ দেয় এবং এর তারহীন সংযোগ সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণকে চ্যালেঞ্জ করে। এই বৈশিষ্ট্যটি ভবিষ্যতে তথ্য প্রবাহ সীমাবদ্ধ এলাকায় সংযোগ বজায় রেখে ইন্টারনেট ইন্টারনেট বন্ধ মোকাবেলার একটি কার্যকরী হাতিয়ার ও একটি প্রতিশ্রুতিশীল বিকল্প হিসেবে স্টারলিঙ্কের সম্ভাব্না তুলে ধরে।

আরএসএফ কর্মকাণ্ডের পক্ষ সমর্থন

আরএসএফ সমর্থকদের প্রচারিত একটি আখ্যান হলো খার্তুমের আইএসপিগুলির ডেটা সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধ। বিশেষত মূলত আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকা  দারফুর অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধের দিকে ইঙ্গিত করে তাদের যুক্তি এসএএফের অবিচারের প্রতিক্রিয়ায় এধরনের পদক্ষেপ ন্যায়সঙ্গত। তাদের আরো দাবি ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে তারা দারফুর অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ তুলে ধরছে। স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত থাকতে  ঘণ্টায়  প্রায় ৩০০ টাকা খরচ হয়, যা সুদানিদের আয়ের তুলনায় খুবই ব্যয়বহুল৷

আরএসএফ বাণিজ্যিকভাবে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা দিচ্ছে এবং আলজেনিনাসহ কিছু এলাকায় এক ধরনের করারোপ করেছে বলে জানা গেছে।

এসএএফের খ্যাতি-ধোলাই

ওমদুরমান এলাকায় এসএএফ গৃহীত স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানের উদ্যোগটিকে জনসাধারণের কাছে তার যুদ্ধোত্তর ক্রান্তিকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভাবমূর্তি উন্নত করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এসময়টিতে এসএএফ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের দমনের সাথে যুক্ত বেশ কয়েকটি বন্ধের জন্যে দায়ী। তবে পরিষেবা বন্ধ করে নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সহিংসতা ও মানবাধিকারের ভয়ঙ্কর লঙ্ঘন ঘটানো আরএসএফের উল্টোভাবে যুদ্ধের সময় ইন্টারনেট প্রদানের মাধ্যমে এসএএফের লক্ষ্য হলো নাগরিকদের মধ্যে অনুকম্পা অর্জন করা।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ব্যাপক জনসমর্থনসহ দেশটির সরকারি সামরিক বাহিনী এসএএফ যে সুদানি রাষ্ট্রের বৈধ স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে এই সংকেত দেওয়াও এই সেবাদানের উদ্দেশ্য। একটি ফেসবুক পোস্ট এসএএফের সমাধানের প্রশংসা করে যুক্তি দিয়েছে এসএএফ যে সুদানের “কল্যাণ” এর নিশ্চয়তা প্রদানকারী তা এই কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত।

নিজের কর্মকাণ্ডের পক্ষাবলম্বন ও অন্যকে অভিযুক্ত করে এসএএফ ও আরএসএফের মধ্যে অনলাইন আখ্যানের লড়াই সত্ত্বেও সম্প্রদায়ের ভেতরের কণ্ঠস্বর প্রাক্তন টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল রূপান্তর মন্ত্রী আরএসএফের বিক্ষোভের সময় ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ ব্যবহৃত কৌশলের মতো টেলিযোগাযোগ পরিষেবা বন্ধের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন

সুদানে চলমান ও ভবিষ্যৎ ইন্টারনেট বন্ধের সম্ভাব্য প্রভাব

সুদানে ইন্টারনেট বন্ধের আখ্যানগুলি প্রায়শই এধরনের কর্মকাণ্ডকে ন্যায্যতা দিতে আবেগগত কারসাজি ব্যবহার করে জনগণের ধারণাকে বিকৃত করার জন্যে পরিকল্পিত যা সম্ভাব্যভাবে ইন্টারনেট শাসনের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করে।

একইভাবে, আরএসএফের কর্মকাণ্ডের প্রতিরক্ষামূলক বর্ণনাগুলি এই শক্তিগুলির সামাজিক উপাদানগুলির বিরুদ্ধে ঘৃণা ও ক্রোধের অনুভূতি বাড়িয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলতে পারে। ভবিষ্যতের কথা ভাবলে সুদানে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ বিশেষ করে প্রবিধান ও আইনি দিক থেকে একটি বিস্তৃত পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে পারে। স্টারলিঙ্কের মতো সরকার-বহির্ভূত-নিয়ন্ত্রণ পরিষেবার উত্থান একটি নতুন যুগের প্রতিনিধিত্ব করে যা কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর বিবেচনায় আসা দরকার। তার ওপর, আরএসএফের কর্মকাণ্ড আইএসপিগুলিকে অন্যান্য শহরে নতুন ডেটা কেন্দ্র তৈরিতে প্ররোচিত করেছে, যা দুর্যোগ পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে বিকেন্দ্রীভূত অবকাঠামোর পক্ষে সমর্থনকারী নতুন নীতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

এসব পদক্ষেপ এই অঞ্চলে বিশেষ করে ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান ও শাদের মতো ভূ-আবদ্ধ প্রতিবেশীদের লোহিত সাগরে সুদানের সামুদ্রিক ইন্টারনেট তারের সংযোগ ব্যবহার করতে দিয়ে ব্যবসা ও তথ্য প্রবাহ বজায় রাখার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধোত্তর প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীরা তাদের স্বার্থ সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্যে পরিবর্তনের দাবি – সম্ভবত কর্তৃপক্ষকে বর্তমানে পরিষেবা বন্ধের সুযোগ দেওয়া আইন ও প্রবিধান সংশোধনের অনুরোধ – করতে পারে। এই ক্রমবর্ধমান দৃশ্যপট উন্মুক্ত ও প্রবেশাধিকারযোগ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিরাপত্তা উদ্বেগের ভারসাম্য বজায় রাখা একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .