মূলত টিজিআই সাইট ও প্রথম আলোতে ১৭ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত প্রযুক্তির বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের আপন দাসের পোস্টটির একটি সম্পাদিত সংস্করণ অনুমতি নিয়ে এখানে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করানো মাসব্যাপী ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে সহিংসতা ছাড়াও ভুল ও বিভ্রান্তি বৃদ্ধি পায়। দেশের সাবেক ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবেই মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেলেও এই সময়কালে এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও প্রচারণা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই প্রযুক্তির বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান (টিজিআই) বিশ্লেষণটি মূল নিদর্শন, সমন্বিত কার্যকলাপের মাত্রা এবং উৎস ও তাদের পেছনের প্রণোদনা খুঁজে পেতে ছয়টি সত্য-পরীক্ষা সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে ১৭৯টি খণ্ডিত ভুল- ও বিভ্রান্তির একটি নমুনা পরীক্ষা করে। তিনটি সামাজিক গণমাধ্যম মঞ্চে – ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্সে (আগের টুইটারে) - মিথ্যা সংবাদ পর্যালোচনা করা হয়। বাংলাদেশে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার বেশ কিছু স্বীকৃত বাস্তবতা-পরীক্ষক (এএফপি, ফ্যাক্টওয়াচ ও বুম) থাকলেও ইউটিউব ও এক্সের একই ধরনের কোনো বাস্তবতা-পরীক্ষণ প্রোগ্রাম নেই।
আরো পড়ুন: শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটানো বাংলাদেশের যুব-নেতৃত্বাধীন আন্দোলন ২.০ সংস্কার চায়
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ পরবর্তী অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতার ধারাবাহিকতার ফল লক্ষ্যবস্তু হামলা, হত্যা এবং বাড়িঘর ও উপাসনালয় ভাঙচুরের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বহন করতে হয়েছে। সারাদেশে অন্তত ৫২টি জেলায় ২০৫টি হামলায় অগ্নিসংযোগকারী ও সশস্ত্র ভাংচুরকারীদের লক্ষ্যবস্তু ছিল আহমদিয়া মসজিদ, হিন্দু মন্দির ও গির্জা। পুলিশের ধর্মঘট চলাকালে দেশের রাজধানী ঢাকাতে ৬-১১ আগস্ট পর্যন্ত সশস্ত্র ডাকাতির তীব্রতা বেড়ে যায়। প্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি জায়গায় আলেম, ছাত্র ও বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সংখ্যালঘু মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সামনে জড়ো হয়ে সম্প্রদায়গুলিকে প্রতিবেশীসুলভ পাহারা দিতে শুরু করে।
প্রবাসী বাংলাদেশীরা ছিল উদ্দিষ্ট শ্রোতা
বাংলাদেশ ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্র-পরিচালিত দেশব্যাপী সম্পূর্ণ ইন্টারনেট বন্ধের পাশাপাশি প্রধান সামাজিক গণমাধ্যম ও বার্তা মঞ্চ অবরোধের মাধ্যমে কার্যত একটি ডি গণমাধ্যম শুন্যতার শিকার হয়। ফিক্সড-লাইন ইন্টারনেট ২৩ জুলাই চালু করে দেওয়া হলেও ২৮ জুলাই পর্যন্ত মোবাইল ডেটা ফোরজি থেকে টুজি-তে নামিয়ে আনা হয়েছিল এবং সামাজিক গণমাধ্যম ও বার্তা মঞ্চগুলি বেশ কয়েক দিন অবরুদ্ধ ছিল। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা ভিপিএনের মাধ্যমে অবরুদ্ধ মঞ্চগুলিতে প্রবেশ করলেও তার সরেজমিন পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক বিভ্রান্তিতে ছিল, যা মূলত বিভ্রান্তি বাড়ানোর জন্যেই করা হয়েছিল।
ফেসবুক ২৩ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকা সত্ত্বেও মেটা বিজ্ঞাপন লাইব্রেরি থেকে ব্যবহৃত ডেটা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে গণমাধ্যম প্রতিবেদনে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি বর্বরতা দেখানো সত্ত্বেও ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় সহিংসতার জন্যে বিরোধীদের ও “তৃতীয়পক্ষ”কে দোষারোপ করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ১,৯৮৬টি বিজ্ঞাপনে কমপক্ষে ৩৩,৯৯২ মার্কিন ডলার (প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা) ব্যয় করা হয় যার ৯৭ শতাংশই ছিল সরকার সমর্থক। বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া বেশিরভাগ পৃষ্ঠার প্রশাসকের বিজ্ঞাপন চালাতে ভিপিএন ব্যবহার নিশ্চিত করা গেছে।
৭০ শতাংশেরও বেশি বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ মিথ্যা চিহ্নিত
টিজিআই ১৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে ছয়টি বাস্তবতা যাচাই সংস্থার ১৭৯টি উন্মোচিত বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করেছে। উন্মোচিত বিষয়বস্তুর মধ্যে ১২৬টি (৭০.৪ শতাংশ) মিথ্যা, ৪১টি (২২.৯ শতাংশ) অনুপস্থিত প্রসঙ্গ, ১০টি (৫.৬ শতাংশ) পরিবর্তিত এবং ২টি (১.১ শতাংশ) আংশিক মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত। একটি মিথ্যা চিহ্ন সম্পূর্ণ অ-বাস্তব, বা গুজব, আর অনুপস্থিত প্রসঙ্গ, পরিবর্তিত বা আংশিক মিথ্যা সাধারণত তারিখ, সংখ্যা, বা ঘটনার অনুপস্থিত তথ্য অথবা সত্য ও মিথ্যা ব্যাখ্যা মিশ্রিত কিছু বিষয়বস্তুকে নির্দেশ করে। পরিবর্তিত বিষয়বস্তু মৌলিক সম্পাদনা বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করে চিত্রিত বিষয়ের সাথে সম্পর্কহীন বিষয়বস্তু ব্যবহার করে পরিবর্তিত জাল, বা কারসাজি করা ভিডিও, অডিও বা ভিজ্যুয়াল বিষয়বস্তুকে বুঝায়।
স্বল্প-শিক্ষিত ব্যবহারকারীদের ভাগাভাগি করা বেশিরভাগ ভুল- ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ফটো, ভিডিও ও ফটো কার্ড ব্যবহার করে করা।
অধিকাংশ মিথ্যা আখ্যান ছিল ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলন বিরোধী
বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ ও সামাজিক আন্দোলনের সময় ব্যাপক আন্দোলন ও গণমাধ্যম সংবেদনশীলতা পুষ্ট মৃত্যু ও ধর্ষণের গুজব সাধারণ ব্যাপার, যা বিক্ষোভ ও উপলব্ধির গতিশীলতাকে যথেষ্ট প্রভাবিত করতে পারে। আমাদের বিশ্লেষণে, আমরা শিক্ষার্থী বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু ও ধর্ষণ নিয়ে ৩৬টি গুজব পেয়েছি। উদাহরণস্বরূপ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ২৭ জন ছাত্রীর ধর্ষণ, ১০০ জনের লাশ পাওয়া এবং সংসদ ভবনে গণকবর পাওয়ার অভিযোগ।
বেশিরভাগ গুজব বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর দাবি করলেও, কিছু ছাত্রলীগ (আওয়ামী লীগের ছাত্র শাখা), রাজনীতিবিদ ও পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদও শোনা যায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মৃত্যু দাবি করা বেশ কিছু খবরও ছিল।
উল্লেখ্য, দেশের বৃহত্তম জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর লোগো সম্বলিত ছাত্র আন্দোলনে ১,৭০০ জন নিহতের একটি ফটোকার্ড মিথ্যাভাবে ভাইরাল হয়। বিশিষ্ট গণমাধ্যম সংস্থার লোগো ব্যবহার বাংলাদেশে জনমনে বিভ্রান্তি বাড়ানো ও ছড়ানোর একটি সাধারণ কৌশল।
আমাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে মিথ্যাভাবে প্রথম আলো, সময় টিভি, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি, যমুনা টিভি, চ্যানেল ২৪, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও মূলধারার জনপ্রিয় অন্যান্য গণমাধ্যমের লোগোযুক্ত ফটো কার্ড ব্যবহার করে অন্তত ১৬ শতাংশ বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ ছাড়াও ব্যক্তি বিক্ষোভকারীদের অসম্মান কৌশলগতভাবে আন্দোলনের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও মূল বিষয়গুলি থেকে মনোযোগ সরানোর একটি কৌশল হিসেবে দেখা হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ: অস্ত্র, মাদক ও অর্থসহ শিক্ষার্থী আটক, অস্ত্র নিয়ে নিষিদ্ধ জামাত-শিবিরের আন্দোলনে যোগদান ও বিক্ষোভকারীদের যৌন হয়রানির দাবি।
এছাড়াও, ৫ আগস্ট শাসকগোষ্ঠীর পতনের পরে একটি সমন্বিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচারাভিযান আন্দোলনের সময় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের (এখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা) প্রত্যেককে বিকাশের মাধ্যমে ৫,০০০ টাকা প্রদান দাবি করে।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সম্পর্কে সমন্বিত ভুল তথ্য
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর ব্যাপক সহিংসতা এবং উপাসনালয় ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনার ফলে শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সদস্যসহ অন্তত ২৩২ জন নিহত হলেও বাংলাদেশের সামাজিক গণমাধ্যমের পৃষ্ঠা এবং ভারতীয় ডানপন্থী মূলধারা ও সামাজিক গণমাধ্যমের আতঙ্ক ছড়ানো এবং আক্রমণের ধরন বা এর মাত্রা অতিরঞ্জনের একটি সমন্বিত প্রচেষ্টাও হয়েছে। এই বিষয়বস্তুতে হিন্দু সংখ্যালঘুদের প্রতি নৈরাজ্য ও সহিংস মৃত্যুদৃশ্য চিত্রিত করতে অতীতের কোনো ভিন্ন ঘটনার পুরানো ভিডিও, অথবা মৌলিক সম্পাদনা সরঞ্জাম ব্যবহার করে বর্তমান কোনো ভিডিও বা ছবি সংশোধন করা হয়। কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: হিন্দু নারীদের অপহরণের গুজব, হিন্দু নারীদের বেঁধে মুসলমান নারীদের নির্যাতন করা, কোনো হিন্দু ক্রিকেটারের বাড়িতে আগুন দেওয়া এবং অন্ধ্র প্রদেশের কোনো নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পুরানো ভিডিওকে বাংলাদেশের সহিংসতা বলে দাবি করা৷
মূলত প্রবাসী বাংলাদেশি, ভারতীয় এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে #বাংলাদেশীহিন্দুবাঁচাও হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে এই বিষয়বস্তুটি ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্সে বারবার ও সমন্বিতভাবে পোস্ট করা হয়েছে। শাসন পরিবর্তনের পর আখ্যানটি বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিত্রিত করার লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বিষয়বস্তুগুলি প্রকৃত ও বট উভয় অ্যাকাউন্টের নেটওয়ার্কে ভাগাভাগি করা হয়েছে।
টিজিআই ৫ থেকে ১০ অগাস্টের মধ্যে এক্সে ১০০টিরও বেশি উন্মোচিত দাবি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ানো বিদেশী বিভ্রান্তির মূল ধরন হিসেবে সেগুলি মূলত ভারতে নিজেদের অবস্থান চিহ্নিতকারী অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্ভূত বলে সনাক্ত করেছে। নীচের সারণিগুলি বিষয়বস্তুর পরিমাণ ও সম্পৃক্তাতার মেট্রিক্সের উপর ভিত্তি করে বিদেশী বিভ্রান্তির বিচ্ছিন্নতা তুলে ধরে।
আগস্টের শুরুতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সময় ও অব্যবহিত পূর্বে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী হামলার ইতিহাস থাকায়, বর্তমান বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার বিশেষ লক্ষ্য হিন্দু, আহমদিয়া এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মীয় উপদলগুলি আওয়ামী লীগ-পরবর্তী সময়ে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অনিরাপদ।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে অন্যান্য ডানপন্থী দলগুলির তুলনায় ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের প্রচার করে বলে আওয়ামী লীগকে প্রায়শই মধ্য-বাম দল বিবে্চিত। আওয়ামী লীগ সরকার পড়ে যাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের নির্যাতিত হওয়ার ভয় ছড়িয়ে পড়ে। উদাহরণস্বরূপ: “বাংলাদেশ থেকে এক কোটিরও বেশি উদ্বাস্তু শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে,” ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির শুভেন্দু অধিকারীর মতো ভারতীয় রাজনীতিবিদদের বক্তব্য অপ্রমাণযোগ্য তথ্য ছড়িয়ে আরো ভয় দেখাচ্ছে।
ভারতীয় মূলধারার ডানপন্থী গণমাধ্যমের বিভ্রান্তিকর তথ্য বিস্তার
সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের, উপর আক্রমণের বিষয়ে মিথ্যা দাবিগুলিও বাংলাদেশের ডানপন্থী মূলধারার গণমাধ্যমে ভাগাভাগি করা হয়। রিপাবলিক বাংলা, জি ২৪ আওয়ারসের মতো বেশ কয়েকটি ভারতীয় মূলধারার গণমাধ্যম পুরনো ভিডিও ফুটেজ চালিয়ে বা সেগুলিকে উপর্যুপরি দেখিয়ে বর্তমান ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনকে “উগ্রতার দিকে অগ্রসর” হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে। ইউটিউবে ৪৮.৫ লক্ষ গ্রাহক সম্বলিত রিপাবলিক বাংলার একটি সংবাদ প্রদর্শনীতে উপস্থাপক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ দাবি করেছেন, “এটি কোনো ছাত্র বিক্ষোভ, স্বাধীনতা সংগ্রাম বা বিপ্লব নয়। বাংলাদেশ আফগানিস্তান হওয়ার প্রথম ধাপ শেষ করেছে মাত্র।
হিন্দুদের উপর হামলার ছবি তৈরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহৃত হয়েছে
এক্স ও ফেসবুকে জ্বলন্ত মন্দির ও অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ দেখানো বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উৎপাদিত ছবি ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের বিশ্লেষণে এক্সে ৩৪,৬০০ বার দেখা গ্রাফিক্সে সুপারইম্পোজড “সকলের নজর বাংলাদেশী হিন্দুদের উপর” ক্যাপশন বিশিষ্ট একটি নির্দিষ্ট চিত্র এবং আরেকটি সংস্করণে একইভাবে লেখা আছে “হিন্দু বাঁচাও“ পাওয়া গেছে। সাধারণ চরিত্রের দুটোই রঙের ধরন, চিত্রিত দেহের অনুপাতের অভাব ইত্যাদি বিচিত্র মাধ্যমের অস্বাভাবিক টুল,ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
ALL EYES ON BANGLADESHI HINDUS 🕉 pic.twitter.com/x5ectEfdUn
— REAL JEW (@THEREALJEW613) August 6, 2024
সকলের নজর বাংলাদেশী হিন্দুদের উপর
ইতোমধ্যে একটি অস্থির পরিস্থিতিতে বিশেষ করে বাংলাদেশে সহজে সনাক্তকরণ ও ফরেনসিক সক্ষমতার অভাব জাতিগত উত্তেজনা বাড়ানোর জন্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক ছবি ও বিষয়বস্তু তৈরির সহজলভ্যতা তথ্য বাস্তুতন্ত্রকে আরো অস্পষ্ট করে তুলেছে।
টিজিআই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কিছু দাবিকে জাল, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে।