বাংলাদেশ: মেটা ক্ষমতাসীন দল ও থিংক ট্যাঙ্ক এর ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট ও পেজ অনির্ভরযোগ্য আচরণের অভিযোগে সরিয়েছে

Image by the author. Used with permission.

লেখকের তোলা ছবি। অনুমতিসহ ব্যবহৃত।

বাংলাদেশ মোবাইল ফোনের উচ্চ ব্যবহারযুক্ত একটি জনবহুল দেশ হলেও দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা এখনো কঠিন। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) ২০২৩ সালে ৪৪.৫ শতাংশ ইন্টারনেট অনুপ্রবেশ অনুমান করলেও সরকার মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকভিত্তিক একটি উচ্চতর পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুতই বাড়ছে

রাজনৈতিক দলসহ অনেক গোষ্ঠী এই বৃহৎ অনলাইন জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্যবস্তু করে। অর্থ, ক্ষমতা ও মতাদর্শের জন্যে একত্রিত অনলাইন ব্যবহারকারীদের বৃহৎ গোষ্ঠীগুলির উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রভাবের কর্মকাণ্ডগুলি প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারে।

প্রযুক্তি নীতি চিন্তাবিদ টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে “বাংলাদেশে কীভাবে ফেসবুক একটি রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে” শিরোনামের একটি সমীক্ষা প্রকাশ করে। সমীক্ষাটি দেখিয়েছে কীভাবে বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ (এএল) এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), স্বতন্ত্র কৌশল ব্যবহার করে জনমতকে প্রভাবিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছেছে। গবেষণাটি মাসিক ভিত্তিতে মেটা-মালিকানাধীন একটি মঞ্চ বাংলাদেশে অবিশ্বাস্যভাবে জনপ্রিয়, দেশের ৫৫ শতাংশেরও বেশি সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারকারী ফেসবুক ফিডগুলি স্ক্রোল করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছিল।

নির্বাচন ও বিভ্রান্তি: নাগরিকদের ডিজিটাল অধিকারের প্রতি হুমকিজনক একটি বিপজ্জনক মিশ্রণ

বৈশ্বিক নির্বাচনের এই যুগান্তকারী বছরের প্রথমে ৭ জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গবেষক ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম অনুসারে বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় ভুল তথ্য ছড়াতে সামাজিক  গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিবেদনে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের লক্ষ্য করে ডিপফেক ও সস্তা বানোয়াট ভিডিওসহ বেশ কিছু কৃত্রিম গণমাধ্যমও তুলে ধরা হয়েছে। বেশ কয়েকজন নারী নেত্রীর এআই উৎপাদিত রগরগে ভিডিও ও ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে, সরকারপন্থী সংবাদ প্রতিষ্ঠান ও প্রভাবশালীরা বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উদ্যোগ প্রস্তাবিত সস্তা সরঞ্জা্মাদি দিয়ে তৈরি এআই-উৎপাদিত বিভ্রান্তি প্রচারের ইঙ্গিত দেওয়া হলেও সম্ভবত প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী দলগুলির নির্বাচন বয়কটের কারণে অনলাইন রাজনৈতিক বিভ্রান্তির পরিমাণ বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাসের তুলনায় কম ছিল।

ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক শিবিরের সামাজিক গণমাধ্যমে সমন্বিত প্রভাবক কার্যক্রম

গত ২৯ মে মেটা তার ত্রৈমাসিক প্রতিকূল হুমকি প্রতিবেদন ২০২৪ প্রকাশ করে বাংলাদেশে “সমন্বিত অপ্রমাণিক আচরণ” ও নির্বাচন বয়কট করা স্বত্ত্বেও বিরোধীদলীয় বিএনপি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো ৫০টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ৯৮টি পৃষ্ঠা অপসারণ করার কথা স্বীকার করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র নেতাকর্মীরা এসব অ্যাকাউন্টের লক্ষ্যবস্তু। মেটা আরো জানিয়েছে এই প্রচারণার পিছনের লোকজন তাদের পরিচয় ও সমন্বয় গোপনের চেষ্টা করলেও তারা আ’লীগ ও এর গবেষণা শাখা গবেষণা ও তথ্য কেন্দ্র (সিআরআই) এর সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের লিঙ্ক খুঁজে পেয়েছে

প্রভাবক কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত নেটওয়ার্কগুলি প্রায়শই বিদেশী কোনো দেশ থেকে কাজ করলেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তার নেটওয়ার্ক পরিচালিত হয়। মেটা জানিয়েছে এই পৃষ্ঠাগুলি কাল্পনিক পরিচয় ব্যবহার বা বৈধ সংবাদ প্রতিষ্ঠানের নাম নকল করেছে। এমনকি কিছু পৃষ্ঠা বিএনপিবিরোধী বিষয়বস্তু পোস্ট করতে বিএনপির নাম ব্যবহার করেছে। মেটা আরো উল্লেখ করেছে অ্যাকাউন্ট ও পৃষ্ঠাগুলির এই নেটওয়ার্ক ভিন্ন-মঞ্চ ও ফেসবুকের বাইরে ইউটিউব, এক্স (আগের টুইটার), টিকটক, টেলিগ্রাম এবং তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটসহ একাধিক মঞ্চে উপস্থিতিসহ কাজ করেছে।

অসদাচরণের স্পষ্ট প্রমাণ সত্ত্বেও মেটা মঞ্চ মুছে ফেলা কিছু অ্যাকাউন্ট একই নামে এক্সে এখনো কাজ করছে এবং মঞ্চটি এই হ্যান্ডেলগুলির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

মেটা সিআরআই-এর একজন সমন্বয়কারী তন্ময় আহমেদকেও এই নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত বলে চিহ্নিত করেছে। আহমেদের বিরুদ্ধে এর আগে মিথ্যা অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ ছিল। সুইডেন ভিত্তিক একটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্ল্যাটফর্ম নেত্র নিউজের ২০২২ সালে, একটি প্রতিবেদন অনুসারে, একই অভিযোগে তাকে একটি আন্তর্জাতিক ফেলোশিপ যুব রাজনৈতিকদের কনরাড অ্যাডেনাউয়ার স্কুল (কেএএসওয়াইপি), থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।

এই বছরের শুরুতে বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় মঞ্চ টিকটক তার সর্বশেষ স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে দেশে গোপন প্রভাবক কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করতে ২,৩৫৮টি অ্যাকাউন্ট সরানোর ঘোষণা দিয়েছে। তবে এসব কর্মকাণ্ডের অন্তরালের কোনো নাম প্রকাশ করেনি। টিকটকের মতে, বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত নেটওয়ার্ক ও অন্তরালের ব্যক্তিরা স্থানীয় দর্শকদের লক্ষ্য করে এবং নির্বাচনী বক্তৃতার কারসাজি করার লক্ষ্যে বাংলায় কৃত্রিমভাবে দলীয় আখ্যান প্রচারের জন্যে অনির্ভরযোগ্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে। ঘুরেফিরে লোক দেখানো বিভিন্ন অবতার ব্যবহার করে কাল্পনিক ব্যক্তিরা এই অ্যাকাউন্টগুলি চালায়।

সমালোচকদের উপর সমন্বিত আক্রমণ: একটি সাধারণ ঘটনা

অতীতে ফেসবুক ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারের ঘটনাও ঘটেছে। মেটা (তখন ফেসবুক) ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দুটি বাংলাদেশি হ্যাকার গ্রুপ – ডনস টিম (ডিফেন্স অব নেশন নামেও পরিচিত) এবং অপরাধ গবেষণা ও বিশ্লেষণ ফাউন্ডেশনকে (সিআরএএফ) নিষিদ্ধ করেল। মঞ্চটি বলেছে এই গ্রুপগুলির বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে, অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করে এবং আক্রমণাত্মক, উস্কানিমূলক ও ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে ফেসবুক নেটওয়ার্ক অপব্যবহারের প্রমাণ রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের লক্ষ্য ছিল বিদেশে বসবাসকারী ভিন্নমতাবলম্বীসহ স্থানীয় নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা।

একই বছরের মে মাসে নেত্র নিউজ জানায়, কীভাবে বাংলাদেশি সরকার-সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বিভিন্ন গ্রুপ ব্যবহার করে সমালোচকদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছে। একই সময়ে আরেকটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে একটি হ্যাকার গ্রুপ মিথ্যা কপিরাইট দাবি ব্যবহার করে বর্তমান সরকারের সমালোচনাকারী একটি বাংলাদেশী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান আমার দেশ অনলাইনকে সরিয়ে দিতে সাহায্য করে

একইভাবে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ও পৃষ্ঠা ফেসবুক সরিয়ে দেয়। সেই বছরের ফেসবুক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে বলা হয় বিভ্রান্তিকারী অভিনেতারা ক্ষমতাসীন দলের প্রচারণা চালাতে বিভিন্ন বিশ্বাসযোগ্য গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট ও পৃষ্ঠা তৈরি করতে এই পৃষ্ঠাগুলি ব্যবহার করেছিল।

ভুয়া বিশেষজ্ঞরা বিভ্রান্তি ছড়ায়

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের একটি অনুসন্ধানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে রচিত বাংলাদেশ সরকারের নীতির প্রশংসাসূচক অসংখ্য নিবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার কথা জানা যায়। তবে প্রায়শই এই লেখকদের সন্দেহজনক শংসাপত্র ও বানোয়াট ছবি থাকে এবং কিছু কিছু একেবারেই থাকে না। এই নিবন্ধগুলির কিছু কিছু ফরেন পলিসি ও চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার মতো নামী প্রতিষ্ঠানে প্রকাশিত বা উদ্ধৃতও হয়।

আইনি সুরক্ষা বিপরীত ফল দিয়েছে

বাংলাদেশের কার্যকরভাবে এসব সমস্যা মোকাবেলা করার ক্ষমতা নেই। এমনকি বিদ্যমান আইনও প্রায়শই পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে পারে না এবং কখনো কখনো বিপরীত প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করলে তা সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। তারা এই আইনটি সাংবাদিকদের হয়রানি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করতে অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা করে এবং পরে ভয়টি বাস্তব হয়। বাংলাদেশি চিন্তাবিদ সুশাসন পাঠ কেন্দ্রের (সিজিএস) সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে, অক্টোবর ২০১৮ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৩ এর মধ্যে ৪৫১ জন সাংবাদিকসহ ২১,৮৬৭ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) অধীনে ৭,০০১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ব্যাপক সমালোচনার পর ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ প্রবর্তন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে প্রতিস্থাপনের দাবি করলেও সুশীল সমাজের সংগঠনগুলির যুক্তিতে আইন দু’টির মধ্যে কোন মৌলিক পার্থক্য নেই। তাদের দাবি অনেকটা তার পূর্বসূরির মতো সাইবার নিরাপত্তা আইন সীমাবদ্ধ ও অগণতান্ত্রিক এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে চলেছে।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট স্বাধীনতার উপর প্রভাব

বাংলাদেশের ডিজিটাল অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষা শোচনীয় এবং ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হচ্ছে। মার্কিন-ভিত্তিক চিন্তাবিদ স্বাধীনতা সদনের প্রতিবেদন ইন্টারনেট স্বাধীনতা ২০২৩ বাংলাদেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতাকে “আংশিক মুক্ত” হিসেবে সূচিত করে ১০০ এর মধ্যে ৪১ নম্বর দিয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে কমে গিয়ে একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা নির্দেশ করছে।

ধারা১৯ এর বৈশ্বিক প্রতিবেদন ২০২৪-এ আগের বছরের তুলনায় সামান্য উন্নতি দেখিয়ে বাংলাদেশ ১২৮তম স্থানে রাখলেও তা এটিকে এখনো “সঙ্কটাপন্ন” একটি দেশ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করে।

গ্লোবাল ভয়েসেসের সাথে একটি ফোন সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন:

এই ধরনের ঘটনা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক, বিশেষ করে যখন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল [এই আচরণের] পিছনে থাকে। মনে হচ্ছে অবৈধকরণ ও প্রচারণারর মতো কৌশলের মাধ্যমে ভিন্নমতের দমন এখন অফলাইন থেকে অনলাইন পরিমণ্ডলে বিস্তৃত হচ্ছে। তবে ফেসবুকের মতো মঞ্চের দায়িত্বকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; ফেসবুকের মতো বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির প্রায়শই নীরব থাকা কর্তৃত্ববাদী শাসনের কার্যকারিতাকে কার্যতঃ বৈধতা দিচ্ছে।

কিছুদিন গণমাধ্যমতে সমন্বিত প্রভাবক কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানকারী মামুন মন্তব্য করেছেন, “এই ধরনের কর্ম মূলত সমাজ এবং এর জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে ভেঙ্গে দেয়।”

বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মতো বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য ডিজিটাল রূপান্তরে বিচরণ করছে। জটিল এই সন্ধিক্ষণে রাষ্ট্রীয় ও অ-রাষ্ট্রীয় উভয়পক্ষের হস্তক্ষেপ গণতান্ত্রিক চর্চা ও নাগরিকদের ডিজিটাল অধিকার রক্ষার বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .