অক্টোবর ২০২৩-এ আল-আকসা বন্যা অভিযান শুরুর পর থেকে সামাজিক গণমাধ্যম দানবরা সক্রিয়ভাবে ফিলিস্তিনিদের আখ্যান দমন করছে। তারা পূর্ব নোটিশ বা স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়াই সাংবাদিকদের ও গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম কেন্দ্রের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করাসহ বেশ কয়েকটি কৌশল ব্যবহার করে।
প্রযুক্তি দানব মেটা, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক ১৩ অক্টোবর গাজা শাসনকারী রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলনের (হামাস) “প্রশংসা ও মূল সমর্থন” অপসারণের পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে।
একইভাবে এক্স (আগের টুইটার) “হিংসাত্মক ও ঘৃণ্য” অনলাইন বিষয়বস্তু রোধ করতে “হামাস-অনুষঙ্গী” দাবি করে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছে।
টিকটকও সহিংসতা, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ভুল তথ্য ও সন্ত্রাসের বিষয়ে তাদের নীতি লঙ্ঘনের জন্যে ৭ অক্টোবর থেকে ২.৪ কোটি বৈশ্বিক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার কথা ঘোষণা করেছে।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক তাদের ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়বস্তু সরানোর ৯২ শতাংশ অনুরোধের সাড়া দিয়েছে বলে ২ নভেম্বর ইসরায়েলি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছে।
তবুও ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের অসংখ্য সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাদের ফিলিস্তিনপন্থী বিষয়বস্তু হামাস সমর্থক না হওয়া স্বত্ত্বেও সেন্সরের অভিযোগ করেছে।
We just had a video removed immediately upon publication on @instagram. The platform claimed it contained “praise or support” of “people and organizations we define as dangerous.” The video did nothing of the sort.
It was a video report – from our journalists – about increased… pic.twitter.com/F7FBWalrz1
— Mondoweiss (@Mondoweiss) October 28, 2023
প্রকাশের সাথে সাথেই @ইনস্টাগ্রাম আমাদের একটি ভিডিও সরিয়ে দিয়েছে। মঞ্চটি এতে বিপজ্জনক সংজ্ঞায়িত “মানুষ ও সংস্থার “প্রশংসা বা সমর্থন” রয়েছে বলে দাবি করেছে। ভিডিওটি এমন কিছুই ছিল না।
এটি ছিল আমাদের সাংবাদিকদের কাছ থেকে পাওয়া একটি ভিডিও প্রতিবেদন বেড়ে যাওয়া … বিষয়ে
এরকম একটি উদাহরণ ফিলিস্তিনি ফটোসাংবাদিক মোতাজ আজাইজার ৭ অক্টোবর থেকে গাজার যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ইসরায়েলি কার্পেট বোমা হামলার বাস্তব ছবি ও ভিডিও নথিভুক্তির ক্ষেত্রে ঘটেছে।
মেটা ১২ অক্টোবর তিনি তার পার্শ্ববর্তী এলাকা – দেইর আল-বালাহ শরণার্থী শিবিরে দুখজনকভাবে প্রধানত নারী ও শিশুসহ তার পরিবারের অন্তত ১৫ জন সদস্যকে হত্যা করা একটি ইসরায়েলি বোমা হামলা পরবর্তী দৃশ্যের একটি ভিডিও পোস্ট করলে তার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে।
ভিডিওটিতে আজাইজা একটি যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্য প্রকাশের আগে: একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবন, একটি রক্তের দাগ, ও প্রতিবেশী একটি শিশুর প্রাণহীন দেহ ধারণ করে প্রাথমিকভাবে ক্যামেরাটিকে দৃশ্যত ব্যথিত নিজের দিকে পরিচালিত করেন।
ব্যবহারকারীর প্রতিক্রিয়া অনুসরণ করে ইনস্টাগ্রাম একদিন পরে আজাইজার অ্যাকাউন্ট পুনঃস্থাপিত করে।
ফিলিস্তিনে নজর নামের ৭০ লক্ষেরও বেশি অনুসরণকারী সম্বলিত একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট প্রতিদিন অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলের নির্যাতনের প্রতিবেদন করে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও অ্যাকাউন্টটি কঠোর সেন্সরের সম্মুখীন হওয়ায় তাদের যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ধ্বংস, তীব্র বোমাবর্ষণ ও লক্ষ্যবস্তু করা গাজার বেসামরিক নাগরিকদের কভারের ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ব্যাপকভাবে প্রচারিত ও ইনস্টাগ্রামে হাজার হাজার পুনঃপোস্ট হওয়া ফিলিস্তিনে নজরের পোস্টগুলি সেন্সরের মারাত্মক প্রভাবকে তুলে ধরে। একটি বিবৃতিতে অ্যাকাউন্টটির মালিক ব্যাখ্যা করেছেন চলমান প্রতিবেদন ও প্রযুক্তিগত উভয় সমস্যার কারণে পৃষ্ঠাটি সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। মেটা প্রাথমিকভাবে ‘একটি সম্ভাব্য হ্যাকিং প্রচেষ্টার সাথে সম্পর্কিত নিরাপত্তা উদ্বেগ‘ উল্লেখ করলেও এর মালিকদের সাথে যোগাযোগ ও সক্রিয় কর্মীদের প্রতিক্রিয়ার পরে অ্যাকাউন্টটি পুনঃস্থাপিত করে।
ত্রুটিকে দায়ী করে পক্ষপাতদুষ্ট সঞ্চালনা ও নীতির অতিরিক্ত প্রয়োগ আড়াল
যুদ্ধ শুরুর তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহারকারীদের না জানিয়েই ফিলিস্তিনপন্থী বিষয়বস্তুর দৃশ্যমানতা সীমাবদ্ধ করা একধরনের সেন্সর – ছায়া-নিষেধাজ্ঞা বেড়েছে।
After posting an Instagram story about the war in Gaza yesterday, my account was shadowbanned. Many colleagues and journalists friends have reported the same. It’s an extraordinary threat to the flow of information and credible journalism about an unprecedented war…
— Azmat Khan (@AzmatZahra) October 15, 2023
গতকাল গাজা যুদ্ধ নিয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম গল্প পোস্টের পরে আমার অ্যাকাউন্টটি ছায়া-নিষিদ্ধ হয়। অনেক সহকর্মী ও সাংবাদিক বন্ধুরা একই অভিযোগ করেছে। এটি একটি অভূতপূর্ব যুদ্ধ সম্পর্কে তথ্যের প্রবাহ ও বিশ্বাসযোগ্য সাংবাদিকতার জন্যে একটি অসাধারণ হুমকি…
ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা ফিলিস্তিনপন্থী পোস্ট ও গল্পগুলির দৃশ্যমানতা ও পছন্দের উল্লেখযোগ্য হ্রাসের অভিযোগ করেছে।
কিছু ব্যবহারকারী সরাসরি ভিডিও হোস্টের সমস্যায় পড়ে। মঞ্চটির বিষয়বস্তু নীতি লঙ্ঘনের অজুহাতে “ফিলিস্তিনমুক্তকর” ও “আমিফিলিস্তিনেরসাথে”-এর মতো হ্যাশট্যাগ সম্বলিত পোস্টগুলি প্রায়ই লুকানো বা সরানো হয়।
গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ইনস্টাগ্রাম সম্প্রতি বেশ কিছু ফিলিস্তিনি ব্যবহারকারীর জীবনীতে “সন্ত্রাসী” শব্দটি যুক্ত করেছে। এই কর্মটি ফিলিস্তিনি ও আরবি বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক ও অ্যালগরিদমের পক্ষপাত নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বহুভাষিক প্রোফাইলসহ ইংরেজিতে ‘ফিলিস্তিনি,’ ফিলিস্তিনি পতাকার ইমোজি, বা আরবি শব্দ ‘আলহামদুলিল্লাহ’ (‘ঈশ্বরের প্রশংসা’) বৈশিষ্ট্যযুক্ত ব্যবহারকারীরা একটি সমস্যার অভিযোগ করেছে। ফিলিস্তিনি পতাকা বরাবর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ রেন্ডার করা ‘অনুবাদ দেখুন’ ক্লিক করলে ‘ঈশ্বরের প্রশংসা, ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীরা তাদের স্বাধীনতার জন্যে লড়াই করছে’ এমন অনুবাদ বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।
আবারো মেটা সমস্যাটিকে “ত্রুটি” অভিহিত করে এটি সমাধানের দাবি করেছে।
গার্ডিয়ান পত্রিকার একটি প্রতিবেদন ৩ নভেম্বর মঞ্চটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যালগরিদমের একটি অবিরাম পক্ষপাতিত্ব উন্মোচন করেছে। ব্যবহারকারীর চিন্তাভাবনাকে ব্যক্তিগত ও অ্যানিমেটেড স্টিকারে রূপান্তরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রম্পট ব্যবহারকারী বৈশিষ্ট্য হোয়াটসঅ্যাপ ছবি প্রস্তুতকারক “ফিলিস্তিন” বা “ফিলিস্তিনি” শব্দের জন্যে একটি বন্দুক বা বন্দুকধারী একটি ছেলের বৈশিষ্ট্যযুক্ত করেছে। বিপরীতে “ইসরায়েলি ছেলে”র ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ কার্টুন ও “ইসরায়েলি সেনাবাহিনী” বন্দুকমুক্ত সৈন্যদের চিত্রিত করেছে।
ফিলিস্তিনপন্থী বিষয়বস্তুর ত্রুটি হিসেবে ক্রমাগতভাবে এসব ঘটনাকে খারিজ করা সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারকারী ও ডিজিটাল অধিকার সমর্থকরা মঞ্চটির ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠ নীরব করার ট্র্যাক রেকর্ডের কারণে আর বিশ্বাস করে না। এটি শেখ জারাহ বিক্ষোভের সময় ২০২১ সালে ইনস্টাগ্রামে ফিলিস্তিনি অ্যাকাউন্টগুলির পদ্ধতিগত সেন্সর এবং ২০২৩ সালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পশ্চিম তীরে জেনিনে মারাত্মক অভিযানের সময় স্পষ্ট হয়।
28 journalists killed in G-Zambia. Two journalists had their families killed.
No other reporters can enter.
They’re trying to hide the crimes and I can’t even write “g-z-“ because cyber-censorship.
Madness.
— Mariam Barghouti مريم البرغوثي (@MariamBarghouti) October 26, 2023
জি-জাম্বিয়াতে ২৮ সাংবাদিক নিহত হয়েছে। দুই সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যরা নিহত হয়েছে।
অন্য কোনো সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারছে না।
তাদের অপরাধ আড়ালের চেষ্টা ও সাইবার সেন্সরের কারণে আমি “জি-জেড” পর্যন্ত লিখতে পারছি না।
পাগলামি।
উদ্বেগজনকভাবে মেটা ফিলিস্তিনিদের প্রতি ঘৃণামূলক বক্তব্য ও সহিংসতার প্ররোচনাকে উপেক্ষা করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণকে মহিমান্বিত, ধ্বংসযজ্ঞকে ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সমর্থনের উল্লেখযোগ্য পোস্টের প্রতিবেদন করেছে। এই অমানবিক ও বর্ণবাদী ভাষা ব্যবহার করা পোস্টগুলি প্রায়শই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে।
উপরন্তু ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের ডিজিটাল অধিকার সংস্থা সামাজিক গণমাধ্যম এগিয়ে নেওয়ার আরব কেন্দ্র (৭আম্লেহ) হিব্রু ভাষায় ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উস্কানিমূলক বিষয়বস্তুর ৬,৯৯,৯৫৮টি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। অন্তত ৩০ শতাংশ ঘৃণাত্মক বিষয়বস্তুর মধ্যে মিথ্যা সংবাদ, সহিংসতা বা উস্কানি প্রচার অন্তর্ভূক্ত। দুর্ভাগ্যবশত মেটা এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করেছে। এটি যুদ্ধের সময়ে আরবি বনাম হিব্রু বিষয়বস্তুতে সামাজিক গণমাধ্যম মঞ্চগুলির নীতিমালায় দ্বৈতমান প্রয়োগকে তুলে ধরে।
মেটার বিপজ্জনক সংস্থা ও ব্যক্তি নীতি প্রাথমিকভাবে মুসলমান, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশীয় সত্তাকে লক্ষ্যবস্তু করা একটি গোপন কালোতালিকা বজায় রাখে। এটি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্যভাবে অত্যধিক প্রয়োগ ও আরবি বিষয়বস্তুতে অবদান রাখে।
প্রযুক্তি দানবদের সম্পূর্ণ অদৃশ্যায়নের মধ্যে গাজাকে বিচ্ছিন্নকরণে ভূমিকা
গাজায় অবিরাম বোমাবর্ষণের মধ্যে ফিলিস্তিনিরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে প্রবেশ করতে না পেরে একটি গভীরতর যোগাযোগ অদৃশ্যায়নের মুখোমুখি। একইসাথে, ইসরায়েল পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, চিকিৎসা সরবরাহ ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে মানবিক সংকট ঘোরতর করে গাজার ভয়ানক পরিস্থিতিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
No news from Gaza doesn't mean the bombing stopped. Israel cut off internet and all telecommunication services 9 hours ago. People in Gaza are still being bombed from land, air, and sea while they're cut off from the world!
— #CeasefireNow فِداء (@fidaazaanin) November 1, 2023
গাজা থেকে কোনো খবর না পাওয়ার মানে বোমা হামলা বন্ধ নয়। ইসরাইল ৯ ঘণ্টা আগে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও গাজার জনগণের উপর এখনো স্থল, আকাশ ও সমুদ্র থেকে বোমাবর্ষণ চলছে।
প্রায় ২৩ লক্ষ ফিলিস্তিনি ও প্রয়োজনীয় জরুরি পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে ৩৬ ঘন্টা ধরে স্থায়ী ও মুঠো ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবাসহ টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলি বন্ধ ছিল। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন, জাতিসংঘের ইন্টারনেট শাসন সংস্থা গাজায় যোগাযোগ অদৃশ্যায়নের নিন্দা করে নেটওয়ার্কে প্রবেশ পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে। আজ অবধি গাজা ৭ অক্টোবর থেকে মোট তিনটি টেলিযোগাযোগ অদৃশ্যায়নের শিকার হয়েছে।
Transcript:
“All connections are down here in the Gaza Strip; no networks are available. Those who are lucky who have foreigner sim cards can actually have some internet for like just few minutes. Situation is deteriorating; we don’t know what’s coming next.
(1/3) https://t.co/GMeLCcykw1— Al-Ghader/River (@JustA_RandomFan) October 28, 2023
প্রতিলিপি:
“গাজা ভূখণ্ডে সকল সংযোগ বন্ধ; কোন নেটওয়ার্ক নেই। বিদেশী সিম কার্ড থাকা ভাগ্যবানদের কাছে আসলে মাত্র কয়েক মিনিটের কিছু ইন্টারনেট থাকতে পারে। পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে; সামনে কী আছে আমরা জানি না।
(১/৩)
The internet is completely down in #Gaza once again. We can't communicate or check on our loved ones. Even emergency services and civil defense are unreachable. We only see missile flashes and hear the sound of shells, and we don't know what's happening. pic.twitter.com/IGnKn0hsVm
— Ahmed From #Gaza (@madhoun95) November 1, 2023
আবারো #গাজায় ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ। আমরা আমাদের প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ করতে বা খোঁজ রাখতে পারছি না। এমনকি জরুরি পরিষেবা ও নাওরিক নিরাপত্তা পৌঁছাতে পারছে না। আমরা শুধু ক্ষেপণাস্ত্রের ঝলকানি দেখি আর শেলের শব্দ শুনতে পাই, আমরা জানি না কী ঘটছে।
সামাজিক গণমাধ্যম মঞ্চের অসম, পক্ষপাতদুষ্ট, ও সীমাবদ্ধ বিষয়বস্তুর সঞ্চালন ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনভাবে প্রকাশের ক্ষমতা, লঙ্ঘন নথিবদ্ধ এবং গাজার ভেতর ও বাইরে যোগাযোগ সীমিত করে ইচ্ছাকৃতভাবে নীরব করে। এটি গাজার বিশেষ করে যুদ্ধের সময় মঞ্চটির মানুষকে সংযুক্ত করার দাবিকৃত ভূমিকার বিপরীতে পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তুলছে।
এই উদ্বেগগুলিকে উপেক্ষা করা মঞ্চগুলির যুদ্ধাপরাধ ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনে জড়িত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে – যা গাজা্র বেসামরিক জীবনকে একটি অসামাঞ্জস্যপূর্ণ মূল্য পরিশোধ ও ভয়াবহ মানবিক সংকটের দিকে পরিচালিত করে৷
There are concerning reports that content posted by Palestinians and advocates of Palestinian rights are being subject to potentially discriminatory content moderation by social media platforms. pic.twitter.com/iZgEVNCXpR
— Amnesty International (@amnesty) October 31, 2023
ফিলিস্তিনি ও তাদের অধিকার সমর্থকদের পোস্ট করা বিষয়বস্তু সামাজিক গণমাধ্যমের মঞ্চগুলিতে সম্ভাব্য বৈষম্যমূলক বিষয়বস্তু সঞ্চালনের আওতায় থাকার অভিযোগ রয়েছে৷