পরাধীনতা পর্যবেক্ষক প্রতিবেদন: কথা বলা

ছবির সৌজন্যে আমেয়া নাগরাজন

গণমাধ্যম ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের একটা জটিল সম্পর্ক রয়েছে। গ্লোবাল ভয়েসেসের অ্যাডভক্স গবেষণা উদ্যোগ পরাধীনতা পর্যবেক্ষক জালের মতো বিস্তৃত বা ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের ক্রমবর্ধমান ঘটনাকে পরীক্ষা করে। এই অংশটি পরাধীনতা পর্যবেক্ষকের গবেষণা থেকে বেরিয়ে আসা কথা বলা সম্পর্কিত ধারাবাহিক প্রতিবেদনের নির্বাহী সারাংশ। এখানে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একটি দেশের শাসনে রাষ্ট্রকে তার ক্রিয়াকলাপের জন্যে নাগরিক ও গণমাধ্যমের কাছে দায়বদ্ধ ও দায়িত্বশীল রাখে বলে গণতন্ত্রের একটি মৌলিক নীতি। ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদকে এগিয়ে নিতে বাক স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করা একটি মূল পদ্ধতি। রুয়ান্ডার কেস স্টাডি প্রকাশ করে সরকার ভিন্নমতের কণ্ঠস্বরকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্যে নজরদারি প্রযুক্তি ও রাষ্ট্র পরিচালিত দমনাভিযানের মাধ্যমে পরিপূরক দমনমূলক আইন আহ্বান করে। ১৯৯৪ সালের গণহত্যার পূর্ববর্তী ঘটনাগুলি সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় বর্ণনাকে চ্যালেঞ্জ করার বা স্থিতাবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহসী ভিন্নমতের কণ্ঠস্বরের বেশিরভাগকে গ্রেপ্তার করে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাংবাদিক ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা হত্যার শিকার হয়েছেন বা সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মারা গেছেন। এই পরিস্থিতি সাধারণত নাগরিকদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণের সংস্কৃতি ও রাষ্ট্রীয় বর্ণনার প্রতি জবরদস্তি ও সহযোগিতার একটি সাধারণ অনুভূতির দিকে পরিচালিত করেছে।

রুয়ান্ডায় ডিজিটাল নজরদারি প্রযুক্তির আবির্ভাব ও ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর নিরীক্ষণের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক এর ব্যবহার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর একটি শীতল প্রভাব ফেলেছে। রুয়ান্ডাকে ইসরায়েলি এনএসও গোয়েন্দা সরঞ্জাম পেগাসাসের একটি মূল ক্রেতা হিসেবে নির্দেশ করেছে যা রাষ্ট্রপতি পল কাগামের শাসনে রাজনৈতিক বিরোধীদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে এবং বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসার ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্যে ব্যবহার করা হয়। কাগামের শাসন এই দাবিটিকে প্রবলভাবে অস্বীকার করেছে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রতিবেদন অনুসারে পেগাসাস গোয়েন্দা সরঞ্জাম ব্যবহার করে রুয়ান্ডার ভিন্নমতাবলম্বীদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্যে হোয়াটসঅ্যাপে একটি দুর্বলতা ব্যবহার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন সাংবাদিক ও একজন বিরোধী দলের সদস্য (অ্যামনেস্টি, ২০২১)।

বাক স্বাধীনতা, তথ্যে প্রবেশাধিকারের স্বাধীনতা এবং সমিতির স্বাধীনতার মতো আরো অন্যান্য অধিকার আদায়ে ঘনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে বলে অনলাইনে গোপনীয়তা ও ডেটা সুরক্ষার অধিকার অপরিহার্য। তবে সাংবাদিক ও কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্যে সরকারের নজরদারি প্রযুক্তির ব্যবহার গণতন্ত্রের জন্যে ক্ষতিকারক কারণ এই ধরনের নজরদারির লক্ষ্যবস্তুরা তাদের কাজে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। এই প্রতিবেদনটি পরাধীনতা পর্যবেক্ষকের আওতায় রুয়ান্ডা প্রজাতন্ত্রকে কেস স্টাডি হিসেবে ব্যবহার করে এই জাতীয় স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করার জন্যে রাষ্ট্র পরিচালিত হুমকি ও বর্ণনার বিস্তৃতি তুলে ধরে কথা বলার বিষয়গত ক্ষেত্রটি পরীক্ষা করে।

এখানে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।

পরাধীনতা পর্যবেক্ষক

গণমাধ্যম ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের একটা জটিল সম্পর্ক রয়েছে। গ্লোবাল ভয়েসেসের অ্যাডভক্স গবেষণা উদ্যোগ পরাধীনতা পর্যবেক্ষক জালের মতো বিস্তৃত বা ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের ক্রমবর্ধমান ঘটনাকে পরীক্ষা করে।

কথা বলা প্রতিবেদনের একটি পিডিএফ ডাউনলোড করুন

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .