পরাধীনতা পর্যবেক্ষক প্রতিবেদন: হাঙ্গেরি

ছবির সৌজন্যে আমেয়া নাগরাজন

গণমাধ্যম ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের একটা জটিল সম্পর্ক রয়েছে। গ্লোবাল ভয়েসেসের অ্যাডভক্স গবেষণা উদ্যোগ পরাধীনতা পর্যবেক্ষক জালের মতো বিস্তৃত বা ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের ক্রমবর্ধমান ঘটনাকে পরীক্ষা করে। এই অংশটি পরাধীনতা পর্যবেক্ষকের গবেষণা থেকে বেরিয়ে আসা হাঙ্গেরি সম্পর্কিত ধারাবাহিক প্রতিবেদনের নির্বাহী সারাংশ। এখানে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।

স্বাধীন গণমাধ্যম কর্মী, সুশীল সমাজ সংস্থা ও তৃণমূল আন্দোলনসহ সমালোচনামূলক কণ্ঠকে নীরব করা ও ভয় দেখানোর জন্যে হাঙ্গেরির সরকারের প্রচেষ্টার কারণে হাঙ্গেরিতে ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি হলো সমাজকে বিভক্ত ও মেরুকরণ, অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা কেন্দ্রিক ভীতি তৈরি করা এবং ক্ষমতাসীন দল ফিদার বর্ণনা সত্যের একমাত্র উৎস ভোটারদের বিশ্বাস করানোর মতো রাজনৈতিক কৌশলকে এগিয়ে নিতে সরকার ব্যবহৃত সরঞ্জামের একটি সেট। তাদের অনুপ্রেরণা হাঙ্গেরির সরকারের পরিচয়গত রাজনীতি ও জাতি গঠনের কৌশলের মাধ্যমে পরিচালিত।

হাঙ্গেরীয় সমাজের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কীভাবে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে এবং ক্ষমতাসীন দল কীভাবে তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক লক্ষ্যগুলির জন্যে এই বৈশিষ্ট্যগুলিকে কাজে লাগাতে পারে তা প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে। ফিদা ক্ষমতায় আসার পর থেকে সুশীল সমাজ, বিরোধী কর্মী, স্বাধীন সংবাদপত্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরকার কীভাবে দেশের গণতন্ত্র ক্ষুন্ন করছে সে সম্পর্কে নিয়মিত নথিভুক্ত ও সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে। এর পরিমাপগুলির মধ্যে রয়েছে সুশীল সমাজের ওপর হামলা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে দুর্বলকরণ। তবুও ফিদা নেতৃত্বাধীন সরকার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় টিকে ছিল।

ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ফিদা নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্তৃত্ববাদী প্রবণতাকে এগিয়ে নিতে প্রয়োগকৃত সবচেয়ে প্রভাবশালী হাতিয়ার ছিল না; সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর মাত্রা বেড়েছে। হাঙ্গেরিতে ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের কার্যক্রম ব্যাখ্যা করা ঘটনাবলীকে তিন ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে: সমালোচনামূলক ডিজিটাল অবকাঠামোর উপর নিয়ন্ত্রণ অর্জন, ভিন্নমতের কণ্ঠস্বরকে নীরব করা ও ভয় দেখানো এবং জনগণের অধিকার খর্ব করতে আইনের ব্যবহার। কীভাবে এই পদ্ধতিগুলি বাস্তব জীবনের ক্ষেত্রে প্রকাশ পায় এবং ব্যক্তি ও সম্মিলিত মানবাধিকারের ক্ষতি করে সেটা প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে।

হাঙ্গেরীয় সরকার প্রধানত আইনী পদ্ধতির মাধ্যমে ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদকে এগিয়ে নিয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সরকারের কাছে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে যা দিয়ে এটি অর্থবহ জনতদারকি ও পরামর্শ ছাড়াই সংবিধান পরিবর্তন ও আইন প্রণয়ন করেছে। এটি সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া জাল খবরকে অপরাধী করার জন্যে প্রবিধান গ্রহণ করেছে, এর সমকামবিরোধী আইন অনলাইন বিষয়বস্তু সেন্সর করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ের মতো সেন্সর ও নিষিদ্ধ হওয়ার ভয়ে ফেসবুককে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে।

পেগাসাস সফ্টওয়্যারের মতো বাণিজ্যিক নজরদারি গোয়েন্দা সরঞ্জামাদির ব্যবহার ছিল দেশের ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদ চর্চায় একটি নতুন সংযোজন। দেশের নজরদারি আইনে শক্তিশালী সুরক্ষার অভাব ও দেশের ডেটা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতার অভাবের কারণে এটি সম্ভব হয়েছিল। হাঙ্গেরির গোপন পরিষেবাগুলির সীমাহীন ডেটা সংগ্রহের ক্ষমতা রয়েছে, নজরদারির ক্ষেত্রে কোনো কঠোর শর্ত নেই এবং নজরদারি তত্ত্বাবধান করার কোনো স্বাধীন সংস্থা নেই৷ পেগাসাস কেলেঙ্কারিটি সরকারের এই সীমাহীন ক্ষমতার ব্যবহার প্রকাশ করেছে।

এখানে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।

পরাধীনতা পর্যবেক্ষক

গণমাধ্যম ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের একটা জটিল সম্পর্ক রয়েছে। গ্লোবাল ভয়েসেসের অ্যাডভক্স গবেষণা উদ্যোগ পরাধীনতা পর্যবেক্ষক জালের মতো বিস্তৃত বা ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের ক্রমবর্ধমান ঘটনাকে পরীক্ষা করে।

হাঙ্গেরি প্রতিবেদনের একটি পিডিএফ ডাউনলোড করুন

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .