- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

পরাধীনতা পর্যবেক্ষক প্রতিবেদন: ভেনিজুয়েলা

বিষয়বস্তু: ল্যাটিন আমেরিকা, ভেনেজুয়েলা, আইন, নাগরিক মাধ্যম, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা, প্রতিবাদ, প্রযুক্তি, বাক স্বাধীনতা, রাজনীতি, সরকার, সেন্সরশিপ, জিভি এডভোকেসী, Unfreedom Monitor

ছবির সৌজন্যে অমেয়া নাগরাজন

গণমাধ্যম ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের একটা জটিল সম্পর্ক রয়েছে। গ্লোবাল ভয়েসেসের অ্যাডভক্স গবেষণা উদ্যোগ পরাধীনতা পর্যবেক্ষক [1] জালের মতো বিস্তৃত বা ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের ক্রমবর্ধমান ঘটনাকে পরীক্ষা করে। এই অংশটি পরাধীনতা পর্যবেক্ষকের গবেষণা থেকে বেরিয়ে আসা ভেনিজুয়েলা সম্পর্কিত ধারাবাহিক প্রতিবেদনের নির্বাহী সারাংশ। এখানে [2] সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।

প্রচলিত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কঠোর সেন্সর ও আইনি কৌশল এবং ক্ষমতার বিচ্ছিন্নতাকে কার্যত অস্তিত্বহীনভাবে হ্রাস করার মাধ্যমে ২০০৭ সাল থেকে ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ব্যাহত করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল ও সামাজিক গণমাধ্যমের ভূমিকা হলো প্রিন্ট ও সম্প্রচার গণমাধ্যমে সরকারের আধিপত্যকে কাটিয়ে উঠতে এবং ভেনিজুয়েলার সরকার প্রতিষ্ঠিত সেন্সর এড়ানোর মৌলিক উপাদান।

তবে দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যে ডিজিটাল সরঞ্জামগুলির ব্যবহারের অনুষঙ্গ হয়েছে নাগরিকদের দমন করতে ডিজিটাল যোগাযোগের সরঞ্জামাদি ব্যবহারের ঘটনাটি। এটি “নেটওয়ার্কযুক্ত কর্তৃত্ববাদের [3]” প্রভাব। সরকারের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা, ইন্টারনেট অবরোধ এবং মাদুরোর সরকারকে তদন্তকারী বা মানবিক জরুরি অবস্থা সম্পর্কে কথা বলা সাংবাদিক ও সক্রিয় কর্মীদের বিচারিক নিপীড়নে ডিজিটাল গণমাধ্যমের ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্যে প্রবেশাধিকার নিশ্চয়তা পূরণ করা হয়েছে। ইন্টারনেট অবরোধ ও ডিজিটাল গণমাধ্যমের সেন্সর সাংবাদিক ও মানবাধিকার সুরক্ষকদের প্রভাবিত করা ছাড়াও মতামত ও প্রকাশ্য আলোচনাকে নিয়ন্ত্রণ ও নীরব করে, মুক্ত ও বৈচিত্র্যময় চিন্তাধারার প্রসার, এবং ভেনিজুয়েলার শাসকগোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রতিবেদন করা বিরোধী রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার সুরক্ষক, মানবিক কর্মী,সক্রিয় কর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সাধারণভাবে নাগরিকদের কাজকে বাধা দেয়।

আইনি ন্যায্যতা ছাড়াই নজরদারি, নাগরিকদের নির্বিচারে পর্যবেক্ষণ ও  নির্বাচনী ফলাফল পরিবর্তনের জন্যে প্রযুক্তির ব্যবহার ভেনিজুয়েলার রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটকেও বদলে দিয়ে ভিন্নমতের কণ্ঠের নিপীড়ন ও অপরাধীকরণ কেন্দ্রিক একটি নজরদারি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

ভেনেজুয়েলায় ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের মূল লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের এবং ভিন্নমতাবলম্বী কণ্ঠের উপর দমন-নিপীড়ন, মাদুরোর সরকারের সমর্থনকে ন্যায্য প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন রকম অন্যায্য ও মিথ্যা তথ্য প্রচার বিতরণ এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এই ধরনের সমর্থনের সংখ্যাকে বাড়িয়ে বলার জন্য। এই অর্থে মাদুরোর সমালোচক ও সমর্থকদের মধ্যে পার্থক্য করতেও শনাক্তকরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে।

শ্যাভেজ ও মাদুরোর স্বৈরাচারী চর্চার বিরুদ্ধে যথেষ্ট রাজনৈতিক ও নাগরিক সমন্বয় থাকা সত্ত্বেও ২০০০ এর দশকের গোড়ার দিক থেকে ভেনিজুয়েলার ভিন্নমতাবলম্বী কণ্ঠস্বরকে মূলত উপেক্ষা করা হয়েছে। অবশ্যই লক্ষ করা দরকার নিরাপত্তা সংস্থা ও আইনী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশে রাজনৈতিক ও নাগরিক উভয় কাঠামোই সমানভাবে কলঙ্কিত, অপরাধীকৃত এবং নির্যাতিত।

এখানে [2] সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।

পরাধীনতা পর্যবেক্ষক

গণমাধ্যম ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের একটা জটিল সম্পর্ক রয়েছে। গ্লোবাল ভয়েসেসের অ্যাডভক্স [4] গবেষণা উদ্যোগ পরাধীনতা পর্যবেক্ষক জালের মতো বিস্তৃত বা ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের ক্রমবর্ধমান ঘটনাকে পরীক্ষা করে।

ভেনিজুয়েলা প্রতিবেদনের একটি পিডিএফ ডাউনলোড করুন [2]