- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

পরাধীনতা পর্যবেক্ষক প্রতিবেদন: ক্যামেরুন

বিষয়বস্তু: সাব সাহারান আফ্রিকা, ক্যামেরুন, আইন, নাগরিক মাধ্যম, নির্বাচন, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা, প্রতিবাদ, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ, রাজনীতি, সরকার, সেন্সরশিপ, জিভি এডভোকেসী, Unfreedom Monitor

ছবির সৌজন্যে অমেয়া নাগরাজন

গণমাধ্যম ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের একটা জটিল সম্পর্ক রয়েছে। গ্লোবাল ভয়েসেসের অ্যাডভক্স গবেষণা উদ্যোগ পরাধীনতা পর্যবেক্ষক [1] জালের মতো বিস্তৃত বা ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের ক্রমবর্ধমান ঘটনাকে পরীক্ষা করে। পরাধীনতা পর্যবেক্ষকের গবেষণা থেকে বেরিয়ে আসা প্রতিবেদনের ধারাবাহিক থেকে ক্যামেরুনের ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ ও সেন্সর সম্পর্কে এই লেখাটি চয়িত। এখানে [2] সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।

ক্যামেরুন ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদ আক্রান্ত একটি দেশ। ক্যামেরুন সরকার ইন্টারনেট ও অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার সীমিত করার পাশাপাশি নাগরিকদের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ করতে ডিজিটাল সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করছে।

ক্যামেরুনের গণতন্ত্র ও জনজীবনের উপর প্রযুক্তির বড় প্রভাব রয়েছে। স্মার্টফোন ও সামাজিক গণমাধ্যমের ব্যাপক ব্যবহার রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মীদের আরো কার্যকরভাবে সংগঠিত করতে এবং তাদের বার্তাগুলিকে আগের চেয়ে আরো বেশি মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম করলেও, এটি মিথ্যা- এবং অপতথ্য ছড়ানোর সুযোগও খুলে দিয়েছে যা জাতিগত মেরুকরণ ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা বৃদ্ধি করতে পারে। ইন্টারনেট ঘৃণামূলক বক্তব্যের জন্যে আরো বেশি সামাজিক বিভাজনের দিকে ধাবিত একটি মঞ্চও সরবরাহ করেছে।

সামাজিক গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণের অভাব নাগরিকদের পক্ষে সত্য বোঝা ও সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন করে ব্যক্তিদের মিথ্যা তথ্য ভাগাভাগি ও ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানো সহজ করে তুলেছে। কেন্ডি গিকুন্ডা [3]র মতে ইংরেজিভাষী ক্যামেরুনবাসীদের একত্রিত করতে সামাজিক গণমাধ্যমের ব্যবহার হিংসা ও অবিচারকে অপব্যবহার ও উন্মোচনের একটি হাতিয়ার হয়ে ওঠে। ক্যামেরুনে ঘৃণামূলক বক্তব্য রাজনৈতিক ও বস্তুগত উদ্দেশ্য (যেমন, মতামত মেরুকরণ, বিরোধীদের দানবীয় করা, হতাশা ও ঘৃণার অনুভূতি বাড়িয়ে তোলা, এবং হিংসাত্মক পদক্ষেপের আহ্বান) অর্জনের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে (গিকুন্ডা)।

এছাড়াও ভুয়া খবরের ব্যাপকতা ও অনলাইন হয়রানি নারীদের প্রকাশ্য আলোচনায় অংশগ্রহণ কঠিনতর করে তুলেছে। এটি জনজীবন ও রাজনীতিতে নারীর প্রতিনিধিত্বকে আঘাত করেছে।

সরকার ইন্টারনেটসহ ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সীমিত ও নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কিছু আইন ও প্রবিধান বাস্তবায়ন করেছে। ক্যামেরুনের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট [4] মিনপোস্টেল সাইবার নিরাপত্তা ও সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত আইন অনুসারে কেউ মিথ্যা খবর প্রকাশ করলে তার জেল ও জরিমানা হবে। মিথ্যা খবর প্রকাশ জরিমানা ও দণ্ডনীয় বলে এমটিএন এবং অরেঞ্জের মতো মোবাইল ফোন ও ডেটা পরিষেবা প্রদানকারী ব্যবহার করে সরকারের জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এজেন্সির (এএনটিআইসি) পাঠানো বার্তাটি সতর্কবাণীর মতো শোনায়।

রাষ্ট্রের নজরদারি একটি প্রকাশ্য গোপনীয়তা — সরকার ভিন্নমতাবলম্বীদের চিহ্নিত ও লক্ষ্যবস্তু, কার্যকলাপ নিরীক্ষণ, এমনকি অনলাইনে মত প্রকাশের জন্যে জনগণকে গ্রেপ্তার ও কারারুদ্ধ করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। ইংরেজিভাষী অঞ্চলে ২০১৭ সালে ইন্টারনেট বন্ধ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় ইন্টারনেট সীমিতকরণ ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের স্পষ্ট হাতিয়ার।

এছাড়াও সরকার অনলাইন মত প্রকাশের জন্যে সাংবাদিক, ব্লগার ও অন্যান্য নাগরিকদের গ্রেপ্তার, আটক বা এমনকি মৃত্যুর মুখোমুখীসহ মত প্রকাশের স্বাধীনতা দমন করার জন্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সরকার তার নিজস্ব বার্তা প্রচার ও বিরোধী মতামত সেন্সর, সংখ্যালঘু গোষ্ঠী নিপীড়ন করতে এবং নির্দিষ্ট জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোকদের লক্ষ্য করে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।

সরকার জনশান্তি ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদানকারী, দেশের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা ও ভাবমূর্তির অভিভাবক, নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার মতো যুক্তি ব্যবহার করে তার সুরক্ষক ভূমিকার মাধ্যমে  ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদকে শক্তিশালী করে বলে মনে হয়। ইংরেজিভাষী অঞ্চলে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ইন্টারনেট বিঘ্নের ধারাবাহিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ [5] হলেও বিপরীতক্রমে, অধিকার গোষ্ঠী, সুশীল সমাজ ও সক্রিয় কর্মীরা স্বাধীনতা ও অধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে সরকারি পদক্ষেপের নিন্দা করে।

এখানে [2] সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।

পরাধীনতা পর্যবেক্ষক

গণমাধ্যম ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের একটা জটিল সম্পর্ক রয়েছে। গ্লোবাল ভয়েসেসের অ্যাডভক্স [1] গবেষণা উদ্যোগ পরাধীনতা পর্যবেক্ষক জালের মতো বিস্তৃত বা ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের ক্রমবর্ধমান ঘটনাকে পরীক্ষা করে।

ক্যামেরুন প্রতিবেদনের একটি পিডিএফ ডাউনলোড করুন [2]