থাইল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে সুশীল সমাজ গোষ্ঠীগুলি মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছে

Thailand election agenda

সুশীল সমাজের গোষ্ঠীগুলি থাইল্যান্ডে মানবাধিকার নীতির উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেছে। ছবির কৃতজ্ঞতা: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থাইল্যান্ড, অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত

আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের মানবাধিকার বিষয়সূচি সম্পর্কে জড়িত করে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন সুশীল সমাজ গোষ্ঠী বিতর্ক ও অনলাইন প্রচারাভিযানসহ বিভিন্ন সমাবেশের আয়োজন করেছে

গোষ্ঠীগুলো বেসামরিক সরকারের উপর সামরিক বাহিনীর অব্যাহত শক্তিশালী প্রভাব তুলে ধরে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান-ও-চা ২০১৪ সালে একটি অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া প্রাক্তন সেনাপ্রধান। তার দল ২০১৭ সালের সংবিধানের ভিত্তিতে ২০১৯ সালে জয়লাভ করে সেনা-নিয়ন্ত্রিত সরকারকে সিনেটের ২৫০ সদস্য নিয়োগের ক্ষমতা দিয়েছে।

ভোটাররা ১৪ মে তারিখে ৫০০ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার পর অন্তত ৩৭৬ জন বিধায়কের ভোটের ভিত্তিতে সংসদ ও সিনেট পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেবে। প্রয়ুত ২০১৯ সালের নির্বাচনে সিনেট থেকে ২৫০ ভোট পেয়েছিলেন। সংস্কারের দাবি ও নতুন নেতাদের আহ্বান সত্ত্বেও তিনি পুনরায় নির্বাচন চাইছেন।

মানবাধিকার পর্যবেক্ষকের এশিয়া প্রচারণা পরিচালক জন সিফটন সামরিক-সমর্থিত সরকার পরিকল্পিত নির্বাচনী ব্যবস্থার ত্রুটিগুলি নির্দেশ করেছেন

একটি গভীর ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থার অধীনে ভয়ের পরিবেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক বৈধতা থাকবে না।

“ভয়ের পরিবেশ” বলতে প্রয়ুত সরকারের সরকারের সমালোচকদের মোকাবিলা করার দমনমূলক নীতিকে বোঝায়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড ১৮ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফরের সময় স্থানীয় অংশীজনদের উদ্বেগের বিষয়ে কথা বলেন

আমি আমার সফরের সময় বিভিন্ন মানবাধিকার উদ্বেগ উত্থাপন করেছি, যার মধ্যে বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ এবং বিক্ষোভকারী ও মানবাধিকার রক্ষাকারীদের নির্বিচারে আটক রয়েছে। আমি নির্যাতন ও গুম বিরোধী আইন গ্রহণকে স্বাগত জানালেও অক্টোবর পর্যন্ত এর বাস্তবায়ন বিলম্বিত করার সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করছি।

ব্যাংককে এখন আশ্চর্যজনক মুহূর্ত: @অ্যামনেস্টিথাইল্যান্ড আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সকল রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে মানবাধিকার সুরক্ষার উপর একটি প্রকাশ্য বিতর্কের আয়োজন করেছে। একটি অধিকার ভিত্তিক বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্যে #থাইল্যান্ডের জনগণের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

মানবাধিকারের জন্যে থাই আইনজীবীরা রাজনৈতিক নিপীড়নের অবসান ঘটানোর উপর জোর দিয়ে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার জন্যে পরবর্তী সরকারের আলাদা করে সংস্কারগুলি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছে।

এই বিচারগুলি বন্ধ না করা না হলে গভীরে প্রোথিত থাইল্যান্ডের এই রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করা কঠিন হবে। রাজনৈতিক বিচারের অবসান সংঘাত প্রশমণ ও জনগণের কাছে ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধারের প্রাথমিক সমাধানের অংশ।

অভ্যুত্থানের পরে অভ্যুত্থানকারী সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্তদের আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে মানবাধিকারের জন্যে থাই আইনজীবি প্রতিষ্ঠিত হয়। আজ এটি রাজনৈতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কিত মামলাগুলিকেও সহায়তা করছে৷ আমরা ২০২৩ সালের নির্বাচনকে একটি … হিসেবে দেখছি

গ্রিনপিস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার (থাইল্যান্ড) পরিচালক তারা বুকামশ্রী উন্মুক্ত গণতন্ত্র ও একটি সুস্থ পরিবেশের জন্যে লড়াইয়ের মধ্যে যোগসূত্রের ওপর জোর দিয়েছেন

গ্রিনপিস অবশ্যই সামাজিক ন্যায়বিচার এবং বিভিন্ন ধারণাকে স্বাগত জানানো এবং সক্রিয় ও অর্থপূর্ণভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি নির্ধারণে অংশ নেওয়ার জন্যে জনগণকে স্থান দেওয়া উন্মুক্ত গণতন্ত্রের উপর নির্মিত সুস্থ পরিবেশে অবদান রাখা রাজনীতিতে বিশ্বাস করে

মিরর ফাউন্ডেশনের এখনি পরিবর্তনের সময় প্রকল্পের প্রধান আথিফান ওয়াংওয়াই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণের উন্নতির জন্যে প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ করেছেন

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা জাতীয় প্রশাসনের জন্যে ভাল লোক বাছাই করতে তাদের ভোট দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা চায় সকল রাজনৈতিক দল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার মান উন্নীত করার এবং প্রতিবন্ধী বান্ধব ব্যবস্থা তৈরির নীতিমালা নিয়ে আসবে। এই ধরনের নীতিমালা সমাজকর্মের মনোভাব থেকে উদ্ভূত হয় না। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করতে ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাহায্যে জনগণকে উৎসাহিত করতে তাদের বেতন বৃদ্ধি করা উচিত।

এই বছরের শুরুর দিকে এনগেজমিডিয়া, এশিয়া কেন্দ্র এবং চিয়াং মাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জননীতি পাঠ একটি ডিজিটাল অধিকার আলোচনার প্রস্তাব সম্বলিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি আলোচনা বহাল রাখার অঙ্গীকারে স্বাক্ষর করেছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .