- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

বিশ্বজুড়ে তরুণদের নিজের ভাষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অভিজ্ঞতা অর্জন

বিষয়বস্তু: পশ্চিম ইউরোপ, সাব সাহারান আফ্রিকা, কেনিয়া, তান্জানিয়া, মাল্টা, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, নাগরিক মাধ্যম, প্রযুক্তি, যুবা, দ্যা ব্রিজ (সেতুবন্ধন), জিভি এডভোকেসী

অলংকরণের সৌজন্যে জিওভানা ফ্লেক

সোলেদাদ ম্যাগনোন, উমি সাইদ, জর্জ ভেলা, সান্দ্রা রুহিজি

ডিজিটাল প্রযুক্তি কীভাবে বিশ্বব্যাপী তরুণদের প্রভাবিত করছে? কোন উপায়ে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর লাভ-ক্ষতিগুলি অনুভব এবং কল্পনা করে? কীভাবে আমরা এমন ডিজিটাল ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি যা সত্যিকার অর্থে তরুণ প্রজন্মকে সেবা ও সম্মান করে? এগুলি এমন প্রশ্ন যা বাবা-মা, আইন প্রণেতা এবং বিশ্বজুড়ে সুশীল সমাজের দলগুলি প্রতিদিন লড়াই করছে। কিন্তু প্রায়শই তরুণদের নিজেদের সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বরগুলি আলোচনা থেকে বাদ পড়ে যায়।

গত বেশ কয়েক বছর ধরে আমি ডিজিটাল শিক্ষার প্রতি নিবেদিত একটি অলাভজনক উদ্যোগ জেএএকেএলএসি [1] এর মাধ্যমে তরুণদের সাথে জড়িত হয়ে এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি যা শিখেছি তা এখানে দেওয়া হলো: 

ডিজিটাল প্রতিবেশ নানা উপায়ে শিশু ও যুব সম্প্রদায়ের জীবন ও ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করলেও স্থানীয় ও বৈশ্বিক ডিজিটাল আলোচ্যগুলি প্রধান চালক হিসেবে প্রাপ্তবয়স্কদের আগ্রহ ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে বিশেষাধিকার দেয়। সারা বিশ্বের তরুণদের সাথে কথোপকথন আমাদের স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করেছে। স্থানীয় ও বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে প্রযোজ্য প্রচারণার জন্যে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে প্রস্তুত করার জন্যে তাদের কৌশলগুলি থেকেও আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি।

এই নিবন্ধটির জন্যে আমরা মাল্টা, কেনিয়া ও তানজানিয়া থেকে যথাক্রমে জর্জ ভেলা, উমি সাইদ ও সান্দ্রা রুহিজিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বিষয়ে তাদের মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে কথা বলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা সামাজিকভাবে যৌন ও প্রজনন শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য [2], কৃষক নারীর ক্ষমতায়ন [3] এবং সম্প্রদায়ের অগ্রগতির জন্যে প্রযুক্তির ব্যবহারে শিশু পরামর্শে [4]র বিষয়ে জড়িত। তাদের সবাইকে মিলে এই নিবন্ধটি লিখতে বলার সময় আমরা আরো ভাল ডিজিটাল সমাজের জন্যে প্রধান মতামত, উদ্বেগ ও ধারণা নিয়ে আলোচনার কিছু সূত্রপাত ভাগাভাগি করেছি।

সোলেদাদ ম্যাগনোন: কীভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তি, ইন্টারনেট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আপনার নিজের, আপনার দেশ বা সম্প্রদায়ের সাথে প্রাসঙ্গিক? আপনি কোন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্যে অপেক্ষা করছেন এবং কেন এইগুলি প্রাসঙ্গিক?

উমি সাইদ: ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্রুত গতিতে বিকশিত হচ্ছে, প্রতিদিন আরো উন্নত হচ্ছে। দ্রুত ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে সঙ্গতি রেখে ঘটে, নথি ও ডেটা পরিচালনা নির্ভুল এবং মানুষের শ্রম সহজ করে বলে এগুলি প্রাসঙ্গিক।

উদাহরণস্বরূপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল প্রযুক্তির একীকরণের ফলে ডিভাইসে সংরক্ষিত নথিগুলি অনলাইনে প্রবেশাধিকারযোগ্য হবে বলে তরুণরা দ্রুত স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবে। এটি কলঙ্কের ন্যূনতম বা কোন ঝুঁকি ছাড়াই তরুণদেরকে যেকোনো স্থান থেকে বা যেখানে তারা চায় সেখান থেকে পরিষেবাগুলি পেতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ লকডাউনের কারণে বেশিরভাগ জায়গায় মিথস্ক্রিয়া না থাকায় কোভিড-১৯ মহামারীর সময় তরুণদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবা খোঁজা কঠিন ছিল। প্রযুক্তি ব্যক্তিকে তার অবস্থানের স্থান থেকেই গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলি পেতে সাহায্য করেছে। কেনিয়ার অলাভজনক সংস্থা এলভিসিটি স্বাস্থ্যের একেরসাথেএক ওয়েবসাইট [2] তরুণদের লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা, মানসিক স্বাস্থ্য, ঋতুস্রাব, প্রেম ও এইচআইভির মতো বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান পেতে সক্ষম করেছে৷ ওয়েবসাইটটিতে অনলাইন ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট ছাড়া বিনামূল্যে ফোনে লিখন বার্তা, চ্যাটরোবট এবং কলের মতো সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ওয়েবসাইটটি তরুণদের বার্তা অথবা কল যেকোন পদ্ধতিতে একজন সনদপ্রাপ্ত পরামর্শদাতার সাথে যোগাযোগের সুযোগ প্রদান করেছে।

যুব সম্প্রদায়ের অন্যান্য সুবিধার মধ্যে স্কুলগুলিতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় নম্বর প্রদান বা এমনকি একটি সরাসরি অধিবেশনে দক্ষতা প্রশিক্ষণের জন্যে প্রযুক্তিগুলিকে কিছু ভারী কাজ করার জন্যে প্রোগ্রাম করা হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজের চাপ কমিয়ে দিতে পারে। উপরন্তু, অনলাইনে ভোট দেওয়ার মতো আরো প্রকাশ্য কর্মকাণ্ডে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রবর্তন করা হলে তা আরো বেশি লোককে অংশগ্রহণে করতে উৎসাহিত করবে। সরকার প্রদত্ত পরিষেবাগুলি আরো জনবান্ধব করার জন্যে উন্নত করা যাবে।

জর্জ ভেলা: নির্বাচনের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বিশ্বাস করা তো দূরের কথা, নির্বাচনকে ডিজিটাইজ করার ব্যাপারে আমি বেশ রক্ষণশীল। অনলাইনে ভোট দেওয়া আরো সুবিধাজনক হলেও এটি অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে। মাল্টাবাসী হিসেবে আমাদের গত নির্বাচনে ৮৫ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিকে বিপজ্জনকভাবে কম হিসেবে দেখা হলেও আমি মনে করি বন্ধ বাক্সগুলি গণনাকক্ষে নিয়ে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রকৃত ব্যালট গণনা করতে দেখলে লোকেরা ব্যবস্থাটিকে আরো বেশি বিশ্বাস করে। কেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা প্রান্ত-থেকে-প্রান্ত সঙ্কেতায়ন বিশ্বাস করতে হবে আপনি কীভাবে সাধারণ ব্যক্তির কাছে ব্যাখ্যা করবেন? একটি নির্বাচনকে নষ্ট করতে আপনাকে শারীরিকভাবে এটি নষ্ট করতে হবে না – আপনাকে শুধু ফলাফলের উপর যথেষ্ট সন্দেহ পোষণ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ গভীর নকল এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কণ্ঠগুলির বেশ বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠা আমাকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। এটি কেবল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত আইন প্রণয়নে বেশি দেরি করে ফেলার ঝুঁকি এড়াতে আইন প্রণেতা ও নীতিনির্ধারকদের কতোটা দ্রুত কাজ করা উচিৎ তা দেখায়।

সান্দ্রা রুহিজি:ডিজিটাল প্রযুক্তি আমার দেশ এবং সারা বিশ্বে অনেক বড় বড় উদ্ভাবন ঘটিয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে প্রযুক্তি চিকিৎসকদের ভাইরাস শনাক্ত এবং ক্যান্সার ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করতে সাহায্য করে। আমার দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি নিরাপদ অর্থ সঞ্চয়ের একটি উপায় তৈরি, সঞ্চয়ের ব্যালেন্স পরীক্ষা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা পরীক্ষা করার মতো মানুষের অনেক সামাজিক সমস্যা সমাধানের দিকে নিয়ে গেছে। কোভিড-১৯ এর পর থেকে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, এখন এমনকি বাচ্চাদেরও অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার দক্ষতা তৈরি হয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্যে একটি ভালো লক্ষণ। ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রবৃদ্ধি ছাড়াও প্রযুক্তিটি কীভাবে আরো ভালভাবে ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে এখনো একটি বড় ফাঁক রয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ প্রযুক্তি ও বাস্তবতার ব্যবহারে ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যর্থতার কারণে এই পরিবর্তনগুলি যুবক ও শিশুদের মধ্যে অনেক মানসিক প্রভাব ফেলেছে। এছাড়াও এখনো সমাজে পরিবর্তন আনার জন্যে শহর থেকে দূরে বসবাসরত অনেক যুবককে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দিয়ে আশ্চর্যজনক উদ্ভাবনের সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন আছে।

সোলেদাদ ম্যাগনোন: কীভাবে আমরা আরো ভাল ডিজিটাল ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি? কোন উপায়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি এতে অবদান রাখতে পারে?

উমি সাইদ: সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ লোকেরা প্রযুক্তিকে তরুণদের ভবিষ্যতকে বিভ্রান্ত করার একটি হাতিয়ার বলে মনে করায় বেশিরভাগ সময় শিশু ও যুবকরা প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ রক্ষণশীল প্রাপ্তবয়স্করা স্মার্টফোনের মতো ডিজিটাল প্রযুক্তিগুলিকে একজন তরুণের সময় ও উৎপাদনশীলতা নষ্ট করার  সরঞ্জাম হিসেবে দেখে। আমাদের সব পিতামাতা ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের ডিজিটাল প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না থাকাই এর কারণ। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে এই ডিজিটাল প্রযুক্তিগুলির এসব সীমাবদ্ধতাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আরো শক্তি যে রয়েছে সেটা দেখার ও বোঝার জন্যে তরুণদের একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।

জর্জ ভেলা: নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে আমার বিরোধিতা সত্ত্বেও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে হারে বাড়ছে তা নিয়ে আমি বেশ উত্তেজিত। জিপিটি-৩ এর মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভাষা নমুনা এবং চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটরোবট আমার কর্মপ্রবাহে একটি আশ্চর্যজনক সংযোজন। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এগুলিকে আমার শিক্ষাগত পাঠক্রমের ধারণা তৈরি করতে এবং আমার দীর্ঘ লেখার কিছু কাজকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করার জন্যে ব্যবহার করেছি। অন্যদিকে আমি এগুলিকে আমার কাজ করা কোডের ত্রুটিগুলি ঠিক করতে এবং এমনকি ঠান্ডা যুদ্ধ ভিত্তিক নিজের অ্যাডভেঞ্চারের মতো একটি খেলা বেছে নেওয়ার মতো ব্যক্তিগত প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করেছি। সত্যিকার অর্থেই আমি মনে করি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনা বর্তমান থেকে অনেক বেশি এবং ভবিষ্যতের অগ্রগতি দেখার জন্যে অধীর আগ্রিহী। ইন্টারনেটের প্রথম দিনগুলিতে ন্যাপস্টার [5]কে যেমন মনে হতো তেমনই আমাদের বর্তমান অনুভূতি।এক সময়ে বিনামূল্যে সঙ্গীত ডাউনলোড করা নিয়ে চারপাশে উত্তপ্ত আলোচনা হলেও আমরা এখন স্পটিফাই দিয়ে যেভাবে সঙ্গীত ব্যবহার করি সেই পরিবর্তনের মতো। শুধু প্রযুক্তির জন্যে নয় মানবতার জন্যেও এটি একটি নতুন যুগের সূচনা।

সান্দ্রা রুহিজি: কিয়ানা ফ্যাক্টরির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমি তানজানিয়ার নারী কৃষকদের চৌকস জলবায়ু কৃষি গ্রহণ করে আয় বাড়িয়ে তাদের ক্ষমতায়নের জন্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। আমার বেশিরভাগ এইচটিএমএল, সিএসএস এবং সামান্য জাভা ব্যবহার করে কোডিং করার মতো প্রযুক্তিতে মৌলিক দক্ষতা রয়েছে। আমি প্রশিক্ষণ প্রদান করি এবং কৃষি, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তির মতো বিভিন্ন বিষয়ে অন্যদের সাথে দক্ষতাও ভাগভাগি করি। টেকসই অর্থনীত নিয়ে তরুণ মেয়েদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজের প্রচারণার জন্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং সামাজিক গণমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এটি আমার সম্প্রদায়ের যুবক ও যুবতীদের সমান বেতন নিশ্চিত করে এবং তাদের কণ্ঠস্বর বিশ্বের সাথে ভাগাভাগি করে।

আমাদের সমাজের বিভিন্ন মাত্রার সাথে বিস্তৃত ও মিলিত হয় বলে জিটাল প্রযুক্তির সুযোগ অফুরন্ত। তবে এর ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তগুলি অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মাত্র কয়েকজনকে উপকৃত করা বড় প্রযুক্তিগত মানদণ্ডের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। আর একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ডিজিটাল প্রতিবেশ গড়ে তোলার বিষয়ে কথোপকথনগুলি পশ্চিমের প্রাপ্তবয়স্কদের দৃষ্টিকোণ দিয়ে প্রভাবিত৷ তরুণরা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এক-তৃতীয়াংশ এবং আমাদের ডিজিটাল যুগের প্রভাবগুলি আমাদের আজীবন সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে যেমনটি আগের প্রজন্মে ছিল না। এই দিক থেকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি শোনা ও তাদের মূল্যবোধ, ইচ্ছা ও প্রয়োজনকে সম্মান করার মতো কৌশল বিকাশের জন্যে তাদের সাথে সহযোগিতা করা জরুরি।