- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ত্রিনিদাদ ও টোবাগো প্রবাল প্রাচীর সুরক্ষার জন্যে অংশীদারিত্ব চায়

বিষয়বস্তু: ক্যারিবিয়ান, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, নাগরিক মাধ্যম, পরিবেশ
[1]

টোবাগোর একটি প্রবাল প্রাচীর। ফ্লিকারে জেনি কনরাডের ছবি [1] (সৃজনী সাধারণ অবাণিজ্যিক অনুমতি ২.০ [2])।

গ্লেন্ডন গ্লাসগো

এই গল্পটি প্রথম ক্যারি-বোয়স পরিবেশ সংবাদ নেটওয়ার্কে [3] প্রকাশিত হয়। নিবন্ধটির একটি সংস্করণ বিষয়বস্তু ভাগাভাগি করে নেওয়ার একটি চুক্তির অংশ হিসেবে নীচে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে।

সম্প্রতি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সমুদ্র বিষয়ক প্রতিষ্ঠান [4] (আইএমএ) জলবায়ু পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত মাছ ধরা ও দূষণের মতো মানব ক্রিয়াকলাপের মুখে ধারণাতীত স্তরের অবক্ষয়ের সম্মুখীন প্রবাল প্রাচীর ও সমুদ্রের ঘাসের শয্যা পুনর্বাসনে সক্ষমতা তৈরি করতে সরকারি, বেসরকারি খাত এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক সংস্থাগুলির সাথে অংশীদারিত্ব করেছে। ধারণাটি ছিল বন্যজীব রক্ষা ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কতটা সহযোগিতা উৎসাহজনক ফলাফল আনতে পারে তা আবিষ্কার করা।

বসবাসের জল খুব গরম হয়ে গেলে প্রবালগুলি চাপে পড়ে সাদা হতে [5] শুরু করে রোগের ঝুঁকিতে পড়ে মারা যায়। সময়ের সাথে সাথে প্রবাল সাদা হয়ে গেলে প্রাচীরে বসবাসরত মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর সংখ্যা কমে যেতে থাকে।

আইএমএ শীঘ্রই আবিষ্কার করে প্রবাল প্রাচীরগুলি সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের মঙ্গল বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে এই ধরনের অংশীদারিত্বগুলি বন্যজীব সংরক্ষণের প্রচার, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র ও সেখানকার বাসিন্দাদের মঙ্গল সুরক্ষিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ৷

এই ধরনের সহযোগিতাগুলির সমুদ্রের রক্ষণাবেক্ষণকে শক্তিশালী বিশেষ করে টোবাগোর সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার ও সমুদ্রের টেকসই সহনশীলতা নির্মাণ সমন্বয় করে ক্ষতি এড়ানোর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও এই বাস্তুতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রজাতির মিলন ও খাদ্য যোগানের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে প্রাচীরগুলি অল্প বয়স্ক মাছের বৃদ্ধি ও পরিপক্ক হওয়ার একটি নিরাপদ স্থান প্রদান করে। ধরে নেওয়া যায় তারা সামুদ্রিক প্রজাতির জন্যে বাসস্থান, খাদ্য ও সুরক্ষা প্রদানের পাশাপাশি তারা সামগ্রিকভাবে মহাসাগরগুলির সুরক্ষার জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাদের ক্রমাগত ধ্বংস অগণিত সামুদ্রিক জীবকে বাস্তুচ্যুত ও পানির নিচের বাস্তুতন্ত্রের সূক্ষ্ম ভারসাম্যকে ব্যাহত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ নাগরিকরাও তাদের কার্বন পদচিহ্ন হ্রাস, সঠিকভাবে বর্জ্য নিষ্পত্তি এবং টেকসই মাছ ধরার চর্চা করে প্রবাল প্রাচীর সুরক্ষায় অবদান রাখতে পারে। যথেষ্ট সংরক্ষণের প্রচেষ্টা ও সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা তৈরির মাধ্যমে প্রবাল প্রাচীরগুলির ক্রমাগত উন্নতি লাভ ও আগামী প্রজন্মের জন্যে সমুদ্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে তারাও তাদের বিস্ময় অনুভব করতে পারে।