- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

মহামারীর মধ্যে ভারতের ডিজিটাল অভিযোজনে অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিকদের বিচরণ

বিষয়বস্তু: দক্ষিণ এশিয়া, ভারত, অ্যাডভোকেসী, আইন, নজরদারী, নাগরিক মাধ্যম, মানবাধিকার, জিভি এডভোকেসী
Image via EngageMedia. Used with permission. [1]

এনগেজমিডিয়ার মাধ্যমে পাওয়া ছবি। অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।

এই নিবন্ধটি কমনএজের সাথে অংশীদারিত্বে এনগেজমিডিয়ার একটি উদ্যোগ নিয়ন্ত্রণের মহামারী [2] ধারাবাহিকের অংশ, যার লক্ষ্য কোভিড-১৯-এর মধ্যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের উত্থানের বিষয়ে জনসাধারণকে আরো জানানো। বৈষ্ণবী এবং অনীশ মিশ্রে [1]র নিবন্ধটির এই সম্পাদিত সংস্করণটি একটি বিষয়বস্তু অংশীদারিত্বের অধীনে গ্লোবাল ভয়েসেসে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারী ভারতে ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণের গতি অন্তত পাঁচ বছর [3] দ্রুত করে দিলেও ডিজিটালকরণের ঝোঁক ডিজিটাল পরিষেবাগুলিতে যাদের খুব সামান্য প্রবেশাধিকার আছে বা তাও নেই তাদের বাদ দিচ্ছে৷ মহামারী মোকাবেলার অংশ হিসেবে নাগরিকদের বেশিরভাগ মৌলিক পরিষেবাগুলিতে ডিজিটালভাবে প্রবেশে বাধ্য করে ভারত বিশ্বের অন্যতম কঠোর লকডাউন [4] বাস্তবায়ন করেছে। জনসংখ্যার একটি সামান্য অংশ ডিজিটাল বিশ্বে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে প্রস্তুত থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে শোষণের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে শুরুতেই এই ডিজিটাল সংস্থানগুলিতে প্রবেশের জন্যে হুড়োহুড়ি [5] করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।

ভারতে, জনসংখ্যার ৮৪ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেও প্রকৃতপক্ষে মাত্র ৪৩ শতাংশে [6]র ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। এই বৈষমের জন্যে বয়স, অবস্থান, লিঙ্গ, বর্ণ এবং ভাষার মতো অন্যান্য কারণও বিদ্যমান। পুরুষদের তুলনায় ভারতীয় নারীদের মোবাইল ফোনের মালিক হওয়ার সম্ভাবনা ১৫ শতাংশ [7] এবং মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করার সম্ভাবনা ৩৩ শতাংশ কম।

ডিজিটাল বিভাজনটি গ্রামীণ এলাকায় সবচেয়ে দুর্বলদের প্রভাবিত করে। জাতীয় নমুনা জরিপের ৭৫তম রাউন্ড [8] অনুসারে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে শহরাঞ্চলের ৩৭ শতাংশের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় মাত্র ১৩ শতাংশের ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষমতা রয়েছে।

পাঠ পর্যায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে

India's abrupt call for lockdown triggered a mass migration of informal workers across different states, many resorted to walking when there was no transport. Image via Max Pixel. CC0. [9]

ভারতে লকডাউনের আকস্মিক আহ্বান বিভিন্ন রাজ্যে অনানুষ্ঠানিক কর্মীদের ব্যাপক অভিবাসনের সূত্রপাত করে। যানবাহন না থাকায় অনেকেই হেঁটে যেতে হয়েছে। ম্যাক্স পিক্সেলে [9]র মাধ্যমে পাওয়া ছবি। সিসি০ [10]

ভারত সরকার ২০২০ সালের মার্চ মাসে চার ঘন্টার নোটিশে দেশব্যাপী একটি অপরিকল্পিত লকডাউন ঘোষণা করলে দেশের ৯০ শতাংশ কর্মশক্তি – অনানুষ্ঠানিক কর্মীরা – একটি বিশাল সংকটে [11]র মুখোমুখি হয়। প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মী দেশের বিভিন্ন অংশে ১০০ টাকার কম হাতে নিয়ে আটকা পড়ে। অভিবাসী শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা সমর্থনকারী একটি গোষ্ঠী আটকে পড়া শ্রমিক আন্দোলন নেটওয়ার্ক [12] (এসডাব্লিউএএন) এর সহযোগীরা তারা কীভাবে মৌলিক সামাজিক পরিষেবাগুলি পেতে ডিজিটাল গ্রহণের চাপ অনুভব করেছে তা ভাগাভাগি করেছে।

সীমা (২৭) ঝাড়খণ্ডে [13]র সিমডেগার একজন প্রশিক্ষিত নার্সিং সাপোর্ট স্টাফ এবং একজন এসডাব্লিউএএন সহযোগী। তিনি কীভাবে তার সম্প্রদায়ের লোকেদের তাদের ই-শ্রম কার্ডে [14]র (অসংগঠিত খাতসমূহের কর্মীদের জন্যে একটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প) জন্যে অনলাইন নিবন্ধন করতে সহায়তা করতে পেরেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন তিনি বিশ্বাস করেন যে ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণ উপকারী হতে পারে। তবে তিনি বলেছেন যে এই অনলাইন নিবন্ধন পোর্টালগুলির ব্যবহার পদ্ধতি সংক্রান্ত জ্ঞান কিছু নির্দিষ্ট লোকের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

তাত্ত্বিকভাবে লোকেরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প এবং শংসাপত্রের জন্যে নিজেরাই নিবন্ধন করতে পারে। বাস্তবে অনলাইন ব্যবস্থার ব্যবহার একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগসহ ব্যক্তিগত বিক্রেতাসহ মধ্যস্বত্বভোগীদের পুরো একটি চক্র তৈরি করেছে যারা একটি ফি দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া গ্রহণের প্রস্তাব দেয়। এই চক্রটি কীভাবে কয়েকজনের হাতে থাকা তথ্যের একচেটিয়াকরণ করে তা নিয়ে সীমা কথা বলেছেন। উদাহরণস্বরূপ একটি শংসাপত্রের জন্যে নিবন্ধন করতে একজনকে এই ব্যক্তিগত বিক্রেতাদের মাধ্যমে অনলাইন পোর্টালগুলিতে আপলোড করা একটি সনাক্তকরণ নথি এবং ঠিকানার প্রমাণ সরবরাহ করতে হবে। কিন্তু একটি নথির জন্যে শ্রমিকদের একটি অনিশ্চিত অপেক্ষা করতে হয় যা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারে বা নাও পারে। তাদের কাছে তাদের আবেদনের অগ্রগতি অনুসরণ করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় তারা ব্যক্তিগত বিক্রেতাদের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হয়।

সীমা বলেছেন আদর্শ না হলেও ডিজিটালপূর্ব প্রক্রিয়াগুলি তাদেরকে সামাজিক সংযোগ ব্যবহার এবং কর্মকর্তাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে অনুসরণ করার মতো কিছু উপায় হাতে দেয়। তিনি আরো বলেন:

[এখন] আমরা জানি না অনলাইনে কী চলছে, বা আমরা জানি না কীভাবে একটি আবেদন অনুসরণ করতে হয এবং কী ঘটছে তা জানার জন্যে আমাদের অপারেটরদের ভরসায় থাকতে হয়।

ঝাড়খণ্ডের আরেক কর্মী গুলজারও একই উদ্বেগের প্রতিধ্বনি করেন। প্রযুক্তির প্রয়োগ সহায়ক হলেও তিনি মনে করেন গ্রামবাসীদের জন্যে এটি এখন পর্যন্ত খুব একটা কাজে আসেনি। গুলজার একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন: যারা নিজেরাই মোবাইল ব্যাংকিং করতে জানে না তারা মধ্যস্বত্বভোগীদের সাথে এই বিবরণগুলি ভাগাভাগি করতে গিয়ে প্রতারিত হয়, যার ফলে অনেক সময় তাদের হিসাব থেকে অর্থও হারায়।

এই আখ্যানগুলি থেকে যে প্রধান সমস্যাটি সামনে আসে তা দুর্নীতি বা বিলম্ব নয় – কারণ যেকোন ব্যবস্থায় এটি ঘটতে পারে বলে যুক্তি দেওয়া যেতে পারে। দৃষ্টিকটু সমস্যাটি হলো ডিজিটাল সমাজে সাধারণ মানুষকে তাদের মৌলিক অধিকার ও সুবিধা প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে [16]। পদ্ধতিগত বৈষম্য সমাধানের জন্যে কোভিড-১৯ এ চলাফেরার বিধিনিষেধ সৃষ্ট সমস্যাসহ ডিজিটাল অভিযোজনের মতো টেকনোক্র্যাটিক সমাধান সমস্ত পদ্ধতিগত সমস্যার শেষ সমাধান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ডিজিটাল ব্যবস্থায় এই স্থানান্তরে তাদের বাধ্য করা হয়েছে এবং শুরু করার জন্যে তাদের কাছে অন্য কোন উপায় ছিল না।

শোষণের সুযোগ রেখে তাদেরকে এমন একটি ব্যবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে যার ব্যবহার তারা জানে না এবং তারা সেটা না বোঝার কারণে তারা কারো কাছে জবাবদিহি আদায় করতে করতে পারে না। মধ্যস্বত্বভোগীদের সম্পর্কে গুলজারের উদ্বেগ অনলাইন ব্যবস্থাগুলির নিয়ে আসা দায়বদ্ধতার অস্পষ্টতা এবং প্রান্তিকদের ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করার জন্যে কোন সমর্থনের অভাবকে সরাসরি নির্দেশ করে। ডিজিটাল অভিযোজন বিদ্যমান বৈষম্যকে আরো বাড়িয়ে তুলছে এবং দুর্বলদের আরো অসুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে গিয়ে নতুন শক্তি কাঠামো তৈরি করছে।

ডিজিটালকরণ থেকে ডিজিটাল নজরদারির দূরত্ব সামান্যই

তাহলে কি পরিষেবার এই দ্রুত ডিজিটালকরণ [17], এর অপ্রাপ্যতা এবং এর ডিজিটাল নজরদারি [18] হয়ে ওঠার মধ্যে কোনো যোগসূত্র রয়েছে? ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রণ এখানে উপস্থাপিত বর্ণনায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল অধিকার এবং ডেটা গোপনীয়তা সম্পর্কে মানুষের কোন উদ্বেগ আছে কিনা জানতে চাইলে সীমা বলেন, তারা অনলাইনে ডেটা আপলোড করার পরিণতি নিয়ে চিন্তিত। এটি অপব্যবহৃত হতে পারে বলে ভয় পায়। মজার বিষয় হলো, সীমা যে অপব্যবহারকে নির্দেশ করে তা হলো সরকারি অপব্যবহার এবং তার ডেটাতে তৃতীয় পক্ষের প্রবেশ নিয়ে সে উদ্বিগ্ন নয়।

একই প্রশ্ন করা হলে গুলজার বলেন: “এটি কেবল উদ্বেগের বিষয় নয়, আমি দেখেছি যে এই বিবরণগুলি অনলাইনে ভাগাভাগি করার কারণে লোকেরা [শেষ পর্যন্ত] সমস্যায় পড়েছে!” তার এক বন্ধু অনলাইন নিবন্ধনের জন্যে ব্যাংকিং বিবরণ ভাগাভাগি করার পরপর তার অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের সাথে যুক্ত অভিযোগের সাথে তার নামে একটি প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (একটি অপরাধ সংঘট্নের বিষয়ে পুলিশের তৈরি নথি) হয়। “আমার বন্ধু অশিক্ষিত। তিনি কীভাবে হ্যাকিংয়ের মতো এমন কিছু করতে পারেন যার জন্যে কম্পিউটার ব্যবহার করা প্রয়োজন? গুলজার বলেন। তিনি মধ্যস্বত্বভোগীদের সাথে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ ভাগাভাগি করার ঝুঁকির আরেকটি উদাহরণ উল্লেখ করেন। অনেক সময় এই মধ্যস্বত্বভোগীরা টাকা পকেটস্থ করে কিছু অনলাইন সমস্যার কারণ দেখিয়ে শ্রমিকদের মজুরি অ্যাকাউন্টে আসেনি বলে দাবি করে থাকে।

শোষণের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া একটি ডিজিটাল ব্যবস্থার উপর নির্ভর করার বাধ্যবাধকতা দেখায় (অনিচ্ছায়) কীভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের জীবন এখন পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। সরকারও সক্রিয়ভাবে ডিজিটাল ব্যবস্থায় এই অন্তর্ভুক্তি কার্যকর করছে। ২০২১ সালের জুন মাসে, হরিয়ানার ২২ হাজার স্বীকৃত সামাজিক স্বাস্থ্য আন্দোলন (এএসএইচএ [20]) কর্মী (ভারতের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকর্মী) ডিজিটাল গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে তাদের কাজের প্রতিবেদন এবং অনুসরণ করার জন্যে একটি মোবাইল অ্যাপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে [21]। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জোর করে কর্মীদের ব্যক্তিগত ফোনে “এমডিএম ৩৬০ বর্ম” একটি অ্যাপ্লিকেশ চালু করে। কর্মীদের না জানিয়ে তাদেরকে সরবরাহ করা নতুন ফোনে আগে থেকেই অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করা ছিল।

একটি বৃহৎ বড় বায়োমেট্রিক ডাটাবেস থাকা সত্ত্বেও ভারতে ব্যাপক ডেটা সুরক্ষা নীতি এখনো পর্যন্ত না থাকা [22]য় এই উন্নয়নটি গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডেটার গুণমান এবং অনুপাত, ডেটা স্বচ্ছতা, বা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোপনীয়তা নির্দেশনা অনুসারে ডেটা সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্যাগুলিকে সঠিকভাবে মোকাবেলা এবং কভার করার জন্যে একটি ডেটা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করার কোন প্রকৃত আইনি কাঠামো নেই৷ ২০১৯ সালে ভারতের ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা আইনের সর্বশেষ খসড়া, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সংসদে পেশ করা [23] হলেও সেখানে এর পরিধি থেকে সরকারকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। খসড়া আইনটি ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তা রক্ষা করার প্রয়োজনের চেয়ে অর্থনৈতিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয় [24] এবং ডিজিটাল অধিকার কর্মীদের কাছে সমালোচিত।

মহামারী চলাকালীন ডিজিটালকরণের চাপ ডিজিটাল বিভাজনকে আরো গভীর [25] করেছে। পর্যাপ্ত নীতি সুরক্ষা ছাড়া বর্ধিত ডিজিটাল অভিযোজন ইতোমধ্যেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বাদ দিলেও ভারতে এটা করার জন্যে কোন ব্যাপক কাঠামোর অভাবে জবাবদিহি করার কেউ নেই।

সামাজিক সুবিধা এবং গোপনীয়তা লাভ মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হলেও অন্তর্ভুক্তিবিহীন যেকোন কর্মসূচি বা নীতি দুর্বলদের পিছনে ফেলে দেওয়ার একটি উন্নয়ন দৃষ্টান্তকে উৎসাহিত করতে বাধ্য। সীমা ও গুলজারের বর্ণনা এবং এএসএইচএ কর্মীদের অভিজ্ঞতার সবই এই প্রভাবের দিকেই ইঙ্গিত করে।

বৈষ্ণবী বর্তমানে বৃহত্তর চেন্নাই কর্পোরেশনের লিঙ্গ ও নীতি গবেষণাগারের একজন নীতি বিশেষজ্ঞ। তিনি তামিলনাড়ুর সামাজিক খাতের একজন গবেষক এবং অনুশীলনকারী। অনীশ বর্তমানে হংকং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল ছাত্র। তিনি নান্দনিকতা, বৌদ্ধধর্ম এবং সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক পরিবেশগত দর্শন পড়েছেন।

অনীশ এবং বৈষ্ণবী ত্রাণ এবং ফেলোশিপের মাধ্যমে অনানুষ্ঠানিক কর্মীদের নিয়ে কর্মরত একটি স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক আটকে পড়া শ্রমিক আন্দোলন নেটওয়ার্ক (এসডাব্লিউএএন) এর অংশ।