- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্র চালিত বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং ভিন্নমতের দমন কোভিড-১৯ মোকাবেলাকে কলঙ্কিত করেছে

বিষয়বস্তু: দক্ষিণ এশিয়া, শ্রীলন্কা, আইন, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, দুর্যোগ, নাগরিক মাধ্যম, প্রযুক্তি, মানবাধিকার, সরকার, স্বাস্থ্য, জিভি এডভোকেসী
Image via EngageMedia. Used with permission. [1]

এনগেজমিডিয়ার মাধ্যমে পাওয়া ছবি। অনুমতিসহ ব্যবহৃত।

এই নিবন্ধটি একটি ধারাবাহিক নিবন্ধ নিয়ন্ত্রণের মহামারী [2]র অংশ, যার লক্ষ্য কোভিড-১৯-এর মধ্যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের উত্থানের বিষয়ে জনসাধারণকে আরো জানানো। নিয়ন্ত্রণের মহামারী [3] হলো কমনএজের সাথে অংশীদারিত্বে এনগেজমিডিয়ার একটি উদ্যোগ। হরিন্দ্রিণী কোরিয়া [1]র নিবন্ধটির এই সম্পাদিত সংস্করণটি একটি বিষয়বস্তু অংশীদারিত্বের অধীনে গ্লোবাল ভয়েসেসে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয় শ্রীলঙ্কার “গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তির পথ [4]” সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এমনকি মহামারী শুরু হওয়ার আগে থেকেই দেশটি বেসামরিক সরকারি কার্যাবলীর সামরিকীকরণ, সাংবিধানিক সুরক্ষা ব্যবস্থার বিপরীতে চলা, অপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বাধা, সংখ্যাগরিষ্ঠের পক্ষে এবং বর্জনের বক্তব্য, সুশীল সমাজের নজরদারি ও বাধা এবং গণতান্ত্রিক স্থানের সংকোচন প্রত্যক্ষ করছে।

এই প্রবণতাগুলি ২০২০ সালের সংবিধান সংশোধন [5] করে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাক্ষের ক্ষমতা সম্প্রসারিত করার মাধ্যমে আজও অব্যাহত রয়েছে৷ প্রায়োগিক ক্ষেত্রে অন্যান্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের সীমিত নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যে [6]র মাধ্যমে কোভিড-১৯ ম্যান্ডেট প্রণয়নের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির কাছেই কেন্দ্রীভূত রয়েছে।

ক্ষমতার এই কেন্দ্রীকরণ কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় সরকারের অত্যন্ত সামরিক সাড়া [7] এবং রাষ্ট্র পরিচালিত বিভ্রান্তিকর তথ্যে [8]র কৌশলের সাথে মিলিত হয়ে রাষ্ট্রপতির কর্তৃত্ববাদী এজেন্ডা এবং ভয় ও সেন্সরের পরিবেশকে শক্তিশালী করেছে যা বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কটে [9]র জন্যে ২০২২ সালের জাতীয় বিক্ষোভের মধ্যেও অব্যাহত রয়েছে।

গ্লোবাল ভয়েসের বিশেষ কাভারেজ পড়ুন: সঙ্কটে শ্রীলঙ্কা [10]

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলমান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

সরকারের মহামারী মোকাবেলা অসুস্থদের অপরাধীকরণ এবং প্রান্তিককরণ [11] এবং নাগরিকদের বিরুদ্ধে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগের মতো সমস্যাযুক্ত পদক্ষেপের জন্যে সমালোচিত হয়েছে। মহামারী মোকাবেলা [12]র বেআইনি, দায়সারা এবং বৈষম্যমূলক বৈশিষ্ট্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী সমালোচকদের গ্রেপ্তার, নজরদারি, হয়রানি এবং ভয় দেখানোর মাধ্যমে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

এই ধরনের পদক্ষেপগুলি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা সিংহলি বৌদ্ধদের দেশের মধ্যে থাকা একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলমানদের অসমভাবে প্রভাবিত করেছে। সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রচারণা ঐতিহাসিকভাবে অনলাইন ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং শারীরিক সহিংসতার (২০১৪ [13], ২০১৮ [14] এবং ২০১৯ [15] সালে নথিভুক্ত) দিকে পরিচালিত করেছে। শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তাদের “সাম্প্রদায়িক উস্কানি [16]” এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক [17] সরকারি নীতির কারণে ইসলামভীতির এই আখ্যানগুলি মহামারী চলাকালীন তীব্রতর হয়।

বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যম সংস্থাসহ রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানসমূহের এই জাতীয় পদক্ষেপগুলিকে সমর্থন ছিল আরো সমস্যার। সরকারের প্রধান মহামারী বিশেষজ্ঞ ২০২০ সালের এপ্রিলে মুসলমানদের সাধারণ ধর্মীয় রীতিতে কোভিড-১৯ রোগীদের কবর দেওয়া হলে তা ভূগর্ভস্থ জলকে দূষিত করতে এবং ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে বলে একটি মিথ্যা বর্ণনা প্রচার করে [18]। এরপরে সরকার সমস্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত মৃতদের জন্যে পুড়িয়ে দেওয়া বাধ্যতামূলক [19] করে। এই ব্যবস্থা সরাসরি ইসলামি দাফনের রীতি এবং এমনকি ভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফন বা দাহ করার অনুমতি দেওয়া [20] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত সর্বোত্তম চর্চাকে লঙ্ঘন করেছে। এবং এখন পর্যন্ত দেরানা [21] ও হিরুটিভির মতো বেসরকারি মিডিয়াগুলি এই বিষয়ে ভুল তথ্য প্রচার করে যাচ্ছে।

অত্যন্ত সামরিকীকৃত একটি কোভিড-১৯ মোকাবেলা

বর্তমানে নাগরিকদের অযৌক্তিক নজরদারি থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (টিআরসিএসএল) প্রয়োজনীয় স্বাধীনতার অভাব [22] রয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে অবসরপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা সচিব মেজর জেনারেল কমল গুণরত্নেকে টিআরসিএসএল-এর চেয়ারম্যান নিযুক্ত করে ২০২০ সালের নভেম্বরে টিআরসিএসএল এবং অন্যান্য সংস্থাগুলিকে সরাসরি রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনা হয়।

ডায়ালগ এবং এসএলটি মোবিটেলের মতো ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদেরকে (আইএসপি) সরকারের দাবিকৃত ব্যবহারকারীর তথ্য সম্পর্কে প্রকাশ বা তাদের ডেটা সরকার অ্যাক্সেস করেছে কিনা তা তাদের ব্যবহারকারীদের জানাতে দেখা যায় না। ২০১৩ সালে ডায়ালগের সিইও বলেন [22] যে টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলিকে “সরকারের অনুরোধ মেনে চলতে হবে।” তার ওপর আইএসপিগুলিকে প্রথমেই এই ধরনের তথ্য প্রকাশ করানোর মতো কোন আইনি বিধান নেই।

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে সামরিক কর্মীদের নিয়োগ বেসামরিক বিষয়ে সামরিক সংশ্লিষ্টতা এবং কৌশল স্বাভাবিকীকরণ মহামারীটিকে জনস্বাস্থ্য সংকটের চেয়েও বরং নিরাপত্তা হুমকিতে পরিণত করেছে।

কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের জন্যে জেনারেল শভেন্দ্র সিলভাকে রাষ্ট্রপতি জাতীয় কর্মকাণ্ড কেন্দ্রের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত [23] করেন। মহামারী মোকাবেলা সমন্বয়ের জন্যে সামরিক কর্মীদেরও নিয়োগ করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ, রোগীদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগকারী বা কোয়ারেন্টাইন “এড়িয়ে যাওয়া” ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে পরিষেবা প্রদানকারীদের কাছ থেকে সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কোভিড-১৯ রোগীদের মোবাইল ফোনের নাম্বার পেয়েছিল [24]। ১৯৯৬ সালের টেলিযোগাযোগ আইনের ২৭ ধারায় ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিচারবহির্ভূত নজরদারি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও এটা করা হয়েছিল।

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের পেগাসাস সফটওয়্যার ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। বিরোধী সাংসদ হারিন ফার্নান্দো মন্তব্য করেছেন ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে সরকার গোয়েন্দা যন্ত্রপাতি ব্যবহার [25] শুরু করেছে। একজন বেনামী টুইটার ব্যবহারকারী আরো দাবি করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ডায়ালগ আজিয়াটা এবং মোবিটেলের সহযোগিতায় পেগাসাস গোয়েন্দা যন্ত্রপাতি সক্রিয় করেছে বিশেষকরে “আইনজীবী, রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, বিচারক, কিছু অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ, এমনকি রাষ্ট্রপতির প্রতি অবিশ্বস্ত মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যদের” লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে [26]। ডায়লগ অভিযোগটি অস্বীকার করলেও সরকারি প্রতিনিধিরা বলেছে [27] যে গোয়েন্দা ইউনিট সফ্টওয়্যারটি ক্রয়ের অনুরোধ করেনি, তবে এই ধরনের অনুরোধ করা হলে সরকার তা বিবেচনা করবে।

ভিন্নমত দমন

এই নজরদারি ছাড়াও ২০২০ এবং ২০২১ সাল জুড়ে রাষ্ট্রপতি বা সরকারের মহামারী মোকাবেলার সমালোচনাকারী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে [28]

ভিন্নমত দমনাভিযানের অংশ হিসেবে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের চেষ্টা করা হয়। তবে সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৫৬ নং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার আইন এবং ২৪ নং কম্পিউটার অপরাধ আইনের মতো [29] আন্তর্জাতিক চুক্তির বিদ্যমান আইনসমূহের সশস্ত্রীকরণ বাক স্বাধীনতা দমনের জন্যে প্রধান নির্বাহীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপক ক্ষমতা প্রদানের জন্যে আইনি কাঠামোর প্রবর্তন বিষয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

পুলিশের মিডিয়া বিভাগ ২০২০ সালে সামাজিক মিডিয়ায় “মিথ্যা বা বিদ্বেষমূলক” বিষয়বস্তু তৈরি বা ভাগাভাগি এবং মহামারী মোকাবেলার সাথে যুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সমালোচনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার জন্যে অপরাধ তদন্ত বিভাগ এবং সারাদেশের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ দেয় [30]। সরকার পরে স্পষ্ট করে [31] যে অভ্যন্তরীণ নির্দেশনাটি শুধু সরকারের নিছক সমালোচনা নয়, সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আইন লঙ্ঘনকারী “ভুয়া বা বিদ্বেষমূলক” তথ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

আইসিসিপিআর আইন এবং কম্পিউটার অপরাধ আইন এই উভয়ের অধীনে একজন ব্যক্তির একটি উল্লেখযোগ্য বেআইনি ও নির্বিচার গ্রেপ্তার ছিল সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য করার জন্যে প্রায়ই সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারকারী একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা রামজি রাজিক [32] এর গ্রেপ্তার। ২০২০ সালের এপ্রিলে একটি পোস্টে বাধ্যতামূলকভাবে মৃতদেহ পোড়ানোর নীতির বিরুদ্ধে কলম এবং কীবোর্ডকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে তিনি একটি “আদর্শগত জিহাদ (সংগ্রাম)” করার আহ্বান জানান। রাজিককে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে জামিনে মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো অভিযোগ বা আইনজীবী এবং চিকিৎসা সেবা ছাড়াই আটক রাখা হয়েছিল। তিনি আজ পর্যন্ত গ্রেপ্তারের হুমকি এবং আনুষ্ঠানিক অভিযোগের সম্মুখীন।

সামাজিক গণমাধ্যমে মিথ্যা খবর প্রকাশকারীদের ওয়ারেন্ট (সমন) ছাড়াই গ্রেপ্তার [33] করা হতে পারে বলে ২০২১ সালের জুনে পুলিশ সদর দপ্তর সতর্ক করেছিল। পাঁচ মাস পরে অতিরিক্ত সচিব ধম্মিকা মুথুগালাও অনলাইনে সরকার এবং এর নীতির সমালোচনা করার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীদের সতর্ক করে একটি চিঠি পাঠান [34]। চিঠিতে বলা হয় যারা সরকারের সমালোচনামূলক মন্তব্য পোস্ট করে জনসেবাকে অসম্মানিত করে তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।

পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ্য কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে একটি স্থানীয় সংবাদপত্র ২০২২ সালের জানুয়ারিতে জানায় যে রাষ্ট্রপতির ভাবমূর্তির জন্যে ক্ষতিকারক অনলাইন বিষয়বস্তু ভাগাভাগি বা পোস্ট করা নিষিদ্ধ। এই ধরনের কোন আইন এটি নিষিদ্ধ না করলেও ভ্রমণের সময় রাষ্ট্রপতির প্রতারিত হওয়ার বিষয়ে একটি পোস্ট শুধু ভাগাভাগি করায় একজন নারীর গ্রেপ্তারে [35]র ক্ষেত্রে নীতিটি প্রয়োগ করা হয়েছিল।

মহামারীর লকডাউনের পরে স্বৈরাচারী পদক্ষেপের প্রতিবাদ

মহামারী মোকাবেলার অংশ হিসাবে পরিচিতি সনাক্তকরণ এবং কোয়ারেন্টাইনের সম্মতির জন্যে সরকারি উদ্যোগ সরকারকে নাগরিকদের বিশদ বিবরণসহ ডিজিটাল ডাটাবেস প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত করেছে। এই প্রচেষ্টা নিয়ে উদ্বেগ তখন থেকেই শুরু হয়েছে [36]

সরকারের মহামারী কৌশল অনলাইন এবং অফলাইনে নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার চর্চায় রাষ্ট্রপতির ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী হস্তক্ষেপের ভিত্তি তৈরি করেছে। কিন্তু একটি অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে অভূতপূর্ব জনগণের [37] বিপ্লব রাষ্ট্রীয় বিভ্রান্তি এবং বর্ণনাকে প্রত্যাখ্যান করে, নজরদারিকে অস্বীকার করে এবং অবশেষে রাষ্ট্রপতি রাজাপাক্ষের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটাতে ভয়ভীতি ও গ্রেপ্তারের হুমকি প্রতিরোধ করেছে। বিক্ষোভ থামাতে এবং ভিন্নমত দমনে সরকার সাময়িক সান্ধ্য আইন, জরুরী অবস্থা এবং ১৫ ঘন্টার সামাজিক গণমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা ব্যবহার [38] করলেও দিন দিন প্রতিবাদ আরো শক্তিশালী হচ্ছে।

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক (অনার্স) করা হরিন্দ্রিণী কোরিয়া আইনে একজন অ্যাটর্নি এবং কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরেনসিক মেডিসিন এবং বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা করেছেন। বর্তমানে হ্যাশট্যাগ প্রজন্মে [39]র একজন আইনী কর্মকর্তা হরিন্দ্রিণীর মৌলিক অধিকার, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা, ডিজিটাল অধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচার নিয়ে গবেষণার আগ্রহ রয়েছে।