কোভিড-পরবর্তী কর্মক্ষেত্রে ‘পেশাদার’ পোশাকরীতি কি এখনো প্রাসঙ্গিক?

অলঙ্করণ স্বীকৃতি © গ্যালিনা হাসানোভা, অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

লেখক এই অংশটির ধারণা এবং নির্মাণে মেগান স্মিথ, থালিয়া ত্রিনিদাদ এবং রিগোবার্তো মেলগার-মেলগারের অবদানকে স্বীকার করতে চান।

কোভিড-১৯ মহামারী আঘাত হানার পর থেকে দুই বছরে বেশিরভাগ মানুষই পর্দার সামনে রয়েছে। বাড়ি থেকে কাজ করার জন্যে ব্যাপকভাবে স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে ফ্যাশন প্রবণতার পরিবর্তন ঘটেছে – যেমন, সোয়েটপ্যান্টের প্রতি একটি নতুন আগ্রহ। নীল জিন্স, জিম শর্টস এবং টি-শার্ট নিষিদ্ধ করা পশ্চিমা পেশাদার পোশাক রীতির মানগুলি হয় শিথিল হয়েছে অথবা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে গেছে। উদাহরণ স্বরূপ, আঁটসাঁট পোশাক, জগিং প্যান্ট, ঘাম-পোশাক এবং ব্যায়মের টপ বিক্রি করা গ্যাপের অ্যাথলেটা ইউনিটের বিক্রয় অনুষ্ঠানের পোশাক বিক্রি করা ব্যানানা রিপাবলিকের ৫২ শতাংশ পতনের তুলনায় ৬ শতাংশ বেড়েছে।

জনবল ব্যবস্থাপনা সমিতির জরিপ অনুসারে দূরবর্তী কাজের প্রথম দুই বছরে তাদের সাধারণ দৈনন্দিন কাজের পোশাক হিসেবে ১৭ শতাংশ পায়জামা পরেছে। মহামারীটি আনুষ্ঠানিক পোশাকের দোকানগুলিতে একটি অচেনা চাপ সৃষ্টি করেছে। উদাহরণস্বরূপ, নামকরা ব্রুকস ব্রাদার্স ২০২০ সালে নিজেদের দেউলিয়া দাবি করেছিল৷ প্রকৃতপক্ষে, কোভিড-১৯ মহামারীটি একমাত্র পরম প্রয়োজনীয়তা হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের জন্যে দ্রুত উপস্থাপনযোগ্য হওয়ার জন্যে আপনার ডেস্ক চেয়ারের পেছনে রাখা একটি পরিষ্কার শার্ট বা ব্লাউজ — “জুম শার্ট” নামে পরিচিত একটি আইটেম তৈরি করে কর্মক্ষেত্রের পোশাক রীতিকে আমূলভাবে নতুন করে সাজিয়েছে।

“নতুন স্বাভাবিক” কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের পাওয়ার স্যুট এবং পুরুষদের কর্পোরেট ইউনিফর্ম কি অপ্রাসঙ্গিক? কিছু ফ্যাশন বিশেষজ্ঞ আরামদায়ক পোশাকের আকাঙ্ক্ষা মহামারীটিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করলেও রিয়া ও'ডোনেলের মতো কিছু মানবসম্পদ পেশাজীবি অনেক কর্মীর বাড়ি থেকে কাজ করার অভ্যস্ততা এবং পোশাক “ভীষণ অপেশাদার” বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। একইভাবে, মেগান সেরুলো, সিবিএস ইন্টারঅ্যাকটিভের একজন ব্যবসায় প্রতিবেদক উল্লেখ করেছেন যে “বেশিরভাগ বাড়ির পোশাক-আশাক যেকোন ধরনের পেশাদার পরিবেশ তো দূরের কথা ঘরের বাইরে খুব কমই গ্রহণযোগ্য।” সশরীর কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসতে থাকায় কর্মক্ষেত্রের পোশাক রীতিগুলি কি পরিবর্তিত হবে নাকি এই “পেশাদার” কাঠামোগুলিকে সম্পূর্ণভাবে জানালার বাইরে ফেলে দেওয়া হবে?

আধুনিক পোশাক রীতি কি “পেশাদার” নাকি সক্ষমতার একটি পথ মাত্র?

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দূরবর্তী কাজ করার পর কিছু কিছু নিয়োগকর্তা ধীরে ধীরে অফিসে ফিরে আসার কথা বলতে শুরু করায় মনে হচ্ছে অপেশাদার পোশাকের দিনগুলি শেষ হতে পারে। শারীরিক কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়া পেশাদার পোশাক রীতিতে প্রত্যাবর্তনের সংকেত দিতে পারে এবং এর সাথে চেহারা এবং পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে লিঙ্গগত নিয়ম এবং অনুমানগুলিতে ফিরে আসতে পারে। জনবল ব্যবস্থাপনা সমিতি (এসএইচআরএম) এর উপদেষ্টা রবিন হপার বলেছেন নিয়োগকর্তারা কর্মীদের “যোগ ব্যায়ামের প্যান্ট এবং চপ্পল পরে অফিসে না আসার” কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। একইভাবে, এসএইচআরএম-এর অ্যালেন স্মিথ লিখেছেন ” কর্মীরা যেভাবে কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসে তেমন করেই পরিবর্তিত পোশাক রীতি ধারাবাহিকভাবে প্রয়োগ এবং পেশাদারিত্ব বজায় রেখে নির্দেশনা প্রদান করা দরকার।” পেশাদার পোশাকে ফিরে আসার এই আবেগ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের (পিডাব্লিউডি) জন্যে অসংখ্য বাধা তৈরি করতে পারে।

জাতিসংঘ ২০০৬ সালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশন (সিআরপিডি) গ্রহণ করে, যা বিশ্বব্যাপী প্রতিবন্ধী অধিকার আন্দোলনের একটি প্রধান অনুঘটক। তবুও কর্মসংস্থানে সামান্যই অগ্রগতি সাধিত হয়েছে: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের হার ৩৪.৬ শতাংশের তুলনায় অ-প্রতিবন্ধীদের হার ৭৭.৬ শতাংশ। এসব পরিসংখ্যানে কর্মসংস্থান বৈষম্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও পোশাক বৈষম্যও এর একটি কারণ।

মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সম্প্রতি দেখেছে বাজারে অভিযোজনযোগ্য পেশাদার পোশাকের অভাবের কারণে পিডাব্লিউডিদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের আরো অবনতি হতে পারে। ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিবন্ধী অন্তর্ভুক্তি ইউনিটের লুসি রিচার্ডসন বলেছেন:

পেশাদার পোশাকের মধ্যে সারা কর্মদিবস জুড়ে বসে থাকা হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের বিবেচনায় রাখা হয়নি। বিশেষ করে যথেষ্ট লম্বা স্কার্ট বা পোশাক এবং একবার বসার পর জড়ো না হয়ে যাওয়া বা অস্বস্তিকর না হয়ে ওঠা জ্যাকেট খুঁজে পাওয়া কঠিন।

কঠোর পোশাক রীতি নিয়মে অভিযোজিত পোশাকের অভাব পিডব্লিউডিদের কর্মসংস্থানের সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করে। মিসৌরি-কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা অনুসারে, পিডব্লিউডিরা অফিসের পোশাক রীতির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না এমন বিশ্বাসের কারণে চাকরির জন্যে আবেদন করে না। যথাযথ পরিশ্রম ছাড়াই প্রাক-মহামারী পোশাক রীতিতে ফিরে যাওয়ার নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে, তারা অনিচ্ছাকৃতভাবে পিডব্লিউডিদের সাথে বৈষম্য করে তাদের মুক্ত শ্রমবাজারে কর্মসংস্থানের সমান প্রবেশাধিকার সমান বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

মানসম্মত পেশাদার পোশাক রীতিগুলি নিয়ে নতুন প্রত্যাশাগুলি আমাদের সবার কাজে যুক্ত করতে পারার মতো প্রাক-কোভিড সৃজনশীল চিন্তাভাবনার অভাবকে প্রতিফলিত করে। “স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার” আবেগে আমরা আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং আরো উৎপাদনশীল যেসব উপায়ে আমরা গত দুই বছর কাজ করেছি প্রায়শই সেসব উপেক্ষা করছি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কয়েক দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে অনুরোধ করে আসা দূরবর্তী কাজ এর মতো যুক্তিসঙ্গত আবাসন ব্যবস্থা হঠাৎ করেই সম্ভব এবং কোভিড-১৯-এর সময় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল তা পুরো কর্মক্ষেত্রের জন্যে অনেকাংশে উপকারী বলে স্বীকৃত। ফর্মুলা অনুসারে পোশাক রীতিসহ প্রমিত এবং বিধিনিষেধমূলক কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতিতে ফিরে আসার চেষ্টা অনিশ্চয়তার পরিবেশে কাজ করে অর্জিত সৃজনশীল অগ্রগতির জন্যে একটি বড় ক্ষতি।

অক্ষমতার প্রাপ্তি গ্রুপের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ৯০ শতাংশ কোম্পানি বৈচিত্র্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি করলেও সেসব উদ্যোগের মাত্র ৪ শতাংশ অক্ষমতাকে বিবেচনা করে। প্রাক-মহামারী পেশাদার পোশাক রীতিতে ফিরে আসা পিডব্লিউডিদের কলঙ্ক বাড়ায় এবং নিজ উপযোগিতা হ্রাস করে।

আর তাই নিয়োগকর্তাদের পিডব্লিউডিদের সক্ষম পেশাদারিত্বের সংজ্ঞা মেনে চলতে বাধ্য করা প্রাক-মহামারী পোশাক রীতির নীতিমালায় ফিরে যাওয়া উচিত নয়। আরো শিথিল পোশাক রীতি রাখা এবং কর্মক্ষেত্রে অক্ষমতার শিষ্টাচার অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে নিয়োগকর্তারা পিডব্লিউডিদের জন্যে এটিকে আরো অন্তর্ভুক্ত এবং ন্যায়সঙ্গত করে তুলতে পারে, যা তাদেরকে তাদের কাজগুলি কার্যকরভাবে নিরাপদে এবং আরামদায়কভাবে করতে সক্ষম করে৷ নতুন স্বাভাবিক যুগে অক্ষমতা কোন একক অভিজ্ঞতা নয় একথা মাথায় রেখে নিয়োগকর্তাদের পিডব্লিউডিদের অন্তর্ভুক্ত এবং অক্ষমতা-বান্ধব নীতিমালাসহ, বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) উদ্যোগ নিয়ন্ত্রণকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সমান অংশীদার হিসেবে তাদের জড়িত করা উচিত। বর্তমানে একশত কোটি মানুষ অর্থাৎ বিশ্বের সমস্ত জাতি, লিঙ্গ, যৌন অভিযোজন, জাতীয়তা, ধর্ম, আয় এবং সামাজিক শ্রেণীর জনগণের ১৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী বা অক্ষম।

লিঙ্গভিত্তিক পোশাক রীতি

কঠোর পোশাক রীতির ভুক্তভোগী একমাত্র পিডব্লিউডি গোষ্ঠীই নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এলজিবিটিকিউ+ ব্যক্তিরা যারা তাদের মতো নয় তাদের তুলনায় কোভিড-১৯ মহামারীর আগে থেকেই অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বেশি হারে দরিদ্র। এসব বৈষম্য করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রভাবে আরো জটিল হয়ে প্রায় এলজিবিটিকিউ+ পরিবারের দুই-তৃতীয়াংশ এলজিবিটিকিউ+ পরিবার চাকুরি বা মজুরি বৈষম্যের শিকার হয়েছে। জাতীয় এলজিবিটিকিউ+ টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন অনুসারে লিঙ্গান্তরিত শ্রমিকরা সমগ্র জনসংখ্যার দ্বিগুণ হারে বেকারত্বের শিকার। বাইনারি নয় এমন কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে প্রায়শই উল্লেখযোগ্য হারে বৈষম্যের মুখোমুখি হয় এবং তাদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শুধু নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বৈষম্যের শিকার হয়। মানবাধিকার পর্যবেক্ষকের প্রতিবেদন অনুসারে, নিযুক্ত অশ্বেতাঙ্গ এলজিবিটিকিউ+ মানুষ, লিঙ্গান্তরিত নারী ও পুরুষ এবং বাইনারি নয় এমন ব্যক্তিরা বহুকামী, আদর্শ-লিঙ্গদের তুলনায় কম উপার্জন করে।

কর্মক্ষেত্রে বাইনারি-লিঙ্গ প্রত্যাশার কারণে এলজিবিটিকিউ+ মানুষ নিরাপত্তাহীনতা, যন্ত্রণা, উদ্বেগ এবং আত্ম-সন্দেহের অনুভূতি অনুভব করে। মানবাধিকার_প্রচারণার প্রতিবেদন অনুসারে এলজিবিটিকিউ+ কর্মীদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনের একজনকে বলা হয়েছে বা সহকর্মীরা তাদের বুঝিয়েছে যে তাদের “প্রথাগত” লিঙ্গ নিয়মের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আরো মেয়েলি বা পুরুষালি পোশাক পরতে হবে। এলজিবিটিকিউ+ লোকেরা এর ফলে কর্মক্ষেত্রকে আর আপন ভাবতে পারছে না। কর্মীদের তাদের অনন্য পরিচয়, আগ্রহ এবং শৈলী প্রদর্শন করতে দেওয়া নমনীয় পোশাক রীতির কাজের পরিবেশ এলজিবিটিকিউ+ লোকদের স্বতস্ফূর্ত করতে পারে। নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মক্ষেত্রের নীতিমালা আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় লিখিত পোশাক রীতির নীতিমালাকে কলিঙ্গ-নিরপেক্ষ করা উচিত। ২০২১ সালের মে মাসে মার্কিন নাগরিক স্বাধীনতা ইউনিয়ন (এসিএলইউ) আলাস্কা এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরে ২০২২ সালের মার্চের শেষের দিকে আরো লিঙ্গ-নিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে এয়ারলাইনটি তাদের পোশাক রীতির নীতিমালা হালনাগাদ করেছে বলে ঘোষণা করে

ডাচেসের স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্কের মনোবিজ্ঞানের প্রশিক্ষক কারা লেভিন-ব্রেনার বলেছেন:

একজন লিঙ্গ-অসঙ্গত শিক্ষাবিদ হিসেবে আমি আমার সমস্ত পেশাজীবন ধরে পেশাদার পোশাকের সাথে লড়াই করে যাচ্ছি। একটি বোতামওয়ালা টপ এবং ঢিলেঢালা কিছু পরা নারী শিক্ষকদের কোন নিরপেক্ষ চেহারা নয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে আরো কম শক্তিসম্পন্ন আমার ছাত্ররা অনেক বেশি বাস্তব ফলাফলের অভিজ্ঞতা লাভ করে। অনেকে পরিচারক হিসেবে টেবিলের কাছে অপেক্ষা করার সময় তাদের যতটা সম্ভব জন্মগত-লিঙ্গদের মতো উপস্থিত হতে উৎসাহিত করা হয়। নারীদের ইউনিফর্মগুলি হাই-কাট স্কার্ট এবং শর্টস পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, আর জন্মগত-লিঙ্গ পুরুষ হিসেবে উপস্থাপিত কর্মীরা বারমুডা শর্টস বা প্যান্ট পরতে পারেন। নারী হিসেবে পরিচয় দেওয়া — অথবা চিহ্নিতদের অস্বস্তি এবং দুর্বলতার সাথে যুক্ত অতিরিক্ত সাজসজ্জার প্রত্যাশা অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে৷

মহামারীটি অনেকের জীবনকে বিপর্যস্ত করলেও এটি বিভিন্ন সংস্থাকে তারা কী এবং তারা কোথায় যেতে চায় তা পুনর্মূল্যায়ন করার সুযোগ দিয়েছে। সংস্থাগুলিকে এই মুহূর্তে অবশ্যই অস্পষ্টতাকে সুযোগে রূপান্তর করতে লিঙ্গ-অনির্দিষ্ট পোশাকের সুযোগটিকে কাজে লাগাতে হবে। একটি লিঙ্গ-নিরপেক্ষ পোশাক রীতি নিয়োগকর্তাদের একটি ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত কর্মক্ষেত্র এবং একটি নিরাপদ ও আরো অন্তর্ভুক্ত কাজের পরিবেশ তৈরি করতে দেয়, যেখানে প্রত্যেকে তাদের নিজেদের অন্তর থেকে কাজ করতে পারে।

কর্মক্ষেত্রে প্রত্যাবর্তন কর্মক্ষেত্রে দৃশ্যমানতার ক্ষেত্রে বৈষম্যকে এবং এটি কীভাবে সরাসরি শ্রমশক্তিতে স্বল্প-উপস্থাপিত গোষ্ঠীগুলিকে প্রভাবিত করা  ক্ষমতা ও প্রভাবের মতো নিয়ামকের সাথে সম্পর্কিত তার ওপর আলোকপাত করে। সংস্থাগুলি সত্যিকারভাবে ডিইআই নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে চাইলে লিঙ্গ, যৌন অভিযোজন, সক্ষমতা এবং অন্তর্নিহিত পক্ষপাতের সংযোগস্থলে কাজকে কেন্দ্রীভূত করতে তাদেরকে অবশ্যই অনিচ্ছাকৃত চেহারা ভিত্তিক এবং গভীরভাবে প্রোথিত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের সংস্কৃতি প্রচারের অভ্যাস এবং নিয়মগুলি নির্মূল করতে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। আরো লিঙ্গ-নিরপেক্ষ, কম বিধিনিষেধমূলক এবং বৈচিত্র্যময় পোশাক রীতি শৈলী গ্রহণ করা হলে কম প্রতিনিধিত্বকারী গোষ্ঠী থেকে আসা কর্মীদের জন্যে সুযোগের দরজা খুলে দেবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .