আরাগোনীয় ভাষা কর্মী সিলভিয়া সেবোলার সাথে প্রশ্নোত্তর পর্ব

সিলভিয়া সেবোলা প্রদত্ত ছবি, অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

ডিজিটাল স্থানগুলিতে আমাদের ইউরোপীয় সংখ্যালঘু এবং আঞ্চলিক বিভিন্ন ভাষার প্রচার কর্মীদের কাজকে তুলে ধরার চলমান ধারাবাহিকের অংশ হিসেবে আমরা সিলভিয়া সেবোলা (@সিলভিয়াসেবোলা) কে উপস্থাপন করতে চাই, যিনি সৃজনশীল অনলাইন এবং প্রোগ্রামিং সম্প্রচারের মাধ্যমে আরাগোনীয় ভাষার প্রচারের জন্যে কাজ করছেন৷

অনেক ডোমেনে ভাষাটিকে তার বহু উপভাষায় পুনরুজ্জীবিট হতে দেখা গেলেও স্পেনের আরাগনের ভাষাগত নীতির সাধারণ দপ্তরের হিসেব অনুসারে মাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার সক্রিয় আরাগোনীয়-ভাষাভাষী রয়েছে যারা সম্প্রদায়টির জনসংখ্যার প্রায় ১% এর সমান। তবে ভাষাটির প্রচারের জন্যে প্রচলিত এবং অনলাইন উভয় ধরনের মাধ্যম ব্যবহারকারী সিলভিয়ার কাজের মতো সচেতনতা বাড়ানোর এবং আরো দৃশ্যমানতা প্রদানের প্রচেষ্টা বেড়েছে।

রাইজিং ভয়েসেস পরিচালিত নিচের ই-মেইল সাক্ষাৎকারটিতে এসব উদ্যোগ সম্পর্কে আরো জানুন।

রাইজিং ভয়েস (আরভি): আমাদেরকে আপনার নিজের এবং আপনার ভাষা-সম্পর্কিত কাজ সম্পর্কে বলুন।

সিলভিয়া সেবোলা (এসসি): আমি আইনে স্নাতক এবং লিঙ্গ-সম্পর্কের ওপ্রর স্নাতকোত্তর করলেও খুব ছোট বেলা থেকেই আরাগোনীয় ভাষা শেখা এবং ভাগাভাগির বিষয়ে আমার খুব আবেগ কাজ করতো। জারাগোজা থেকে আসার কারণে আরাগোনীয় আমার মাতৃভাষা নয়। আমি এই ভাষায় নতুন কথা বলছি। আমি জারাগোজার নোগারা নামের একটি স্কুলে এই ভাষা শিখেছি।

২০১০ সালে আমার শুরু করা একটি আতিথেয়তার ব্যবসার সাধারণ থ্রেড ছিল আরাগোনীয় ভাষা এবং পরে আমি সম্পূর্ণ আরাগোনীয় ভাষায় একটি নিরামিষ রান্নার চ্যানেল দিয়ে ইউটিউবে ঢোকার সিদ্ধান্ত নিই।

তারপর থেকে আমি আরাগোনীয় ভাষায় আমার সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে বিষয়বস্তু ভাগাভাগি করা শুরু করি। ২০১৯ সালে, আমি চারিন-চারান নামে যে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করা শুরু করি সেটা ছিল আরাগন টেলিভিশনে আরাগোনীয় ভাষায় প্রথম অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানটির প্রচারমূলক ভিডিও

আরভি: অনলাইন ও অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই আপনার ভাষার বর্তমান অবস্থা কী?

এসসি: আরাগোনীয় ভাষা প্রজন্মগত সম্প্রচারের উল্লেখযোগ্য বিরতির ফলে ভাষাভাষীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ার কারণে বর্তমানে খুবই নাজুক পরিস্থিতিতে রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভাষা প্রচারে নিবেদিত বিভিন্ন সংগঠন ও গোষ্ঠীর সঞ্চালিত সক্রিয়তার ফলে এর পুনরুজ্জীবনে বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভাষার দৃশ্যমানতার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতেও এই বর্ধিত আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।

আরভি: ডিজিটাল স্থানে আপনার ভাষার উপস্থিতি দেখার জন্যে আপনার অনুপ্রেরণাগুলো কী কী?

এসসি: আমি মনে করি তরুণদের মাঝে এবং বিভিন্ন সামাজিক স্তরে পৌঁছানোর প্রায় অসম্ভব সুযোগটি দিয়ে সামাজিক গণমাধ্যম একটি দুর্দান্ত প্রচার ভূমিকা পালন করছে। মাধ্যমটি আমাদেরকে ভিন্ন ধরনের যোগাযোগ, ভাষা ও বিষয়বস্তু ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার ফলে ভাষা আরেকটি দৃষ্টিভঙ্গি লাভ করে। বর্তমানে ডিজিটাল স্থান সংখ্যালঘু ভাষা পুনরুজ্জীবিত করার একটি চমৎকার হাতিয়ার।

আরাগোনীয় ভাষায় সিলভিয়ার নিরামিষ রান্নার চ্যানেল

 

আরভি: আপনার ভাষাকে অনলাইনে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহৃত হতে বাধা দেয় এমন কিছু চ্যালেঞ্জ বর্ণনা করুন।

এসসি: দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি না থাকায় বড় বড় সার্চ ইঞ্জিন এবং ইন্টারনেট সংস্থানগুলির বাইরে থাকাটা আরাগোনীয় ভাষার জন্যে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বর্তমানে বেশ কিছু আরাগোনীয় ভাষা কর্মী বিনামূল্যে সফ্টওয়্যার এবং অন্যান্য ধরনের সংস্থান স্থানীয়করণের জন্যে নিবেদিত রয়েছে।

আরভি: অল্পবয়সীদের তাদের নিজেদের ভাষা শেখা শুরু বা তাদের নিজেদের ভাষা ব্যবহার চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করতে কোন কোন দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

এসসি: এখন শুধু কিছু নির্দিষ্ট বিষয় বা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে উপস্থিতির বিপরীতে স্কুলের পরিবেশে আরাগোনীয় ভাষার অনেক বেশি উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে আরেকটি আকর্ষণীয় ব্যবস্থা হলো তরুণদের জন্যে এই ভাষায় পডকাস্ট, কার্টুন, ফিকশন সিরিজ ইত্যাদির মতো আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু তৈরি করা।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .