শাগ্‌জ উপাখ্যান: কেনীয় এই পডকাস্টটি আপনাকে কিকুইয়ু ভাষা ও সংস্কৃতির প্রেমে পড়তে বলে

শাগ্‌জ উপাখ্যান: কিকুইয়ু ভাষায় একটি কেনীয় পডকাস্ট। অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

সম্পাদকের কথা: ২৮ এপ্রিল, ২০২২ থেকে শাগ্‌জ উপাখ্যান আফ্রিকীয় ভাষাগুলির পুনরুজ্জীবন এবং প্রচারের পাশাপাশি তাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার জন্যে @আফ্রিকীয়ডিজিটালভাষা টুইটার অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করবে। এটি অনলাইনে ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপনের জন্যে একটি চলমান সামাজিক গণমাধ্যম প্রচারণার অংশ। প্রচারণাটি সম্পর্কে এখানে আরো পড়ুন

শাগ্‌জ উপাখ্যান পডকাস্টে পৃষ্ঠপোষকরা ১৯৯০-এর দশকে গ্রামীণ কেনিয়ায় বেড়ে ওঠার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলে Gĩkũyũ (কিকুইয়ু) তাদের দেশের তৃতীয় সর্বাধিক কথ্য ভাষা। প্রদর্শনীটির সংক্ষিপ্ত প্রচারণাটি জুটি হিসেবে উপস্থাপন করেছে ওয়াথিওমো এবং জেহুদি (তাদের আসল নাম নয়):

আমরা আমাদের চারপাশে ঘটমান অনেক কিছুর প্রতি আগ্রহী। তরুণ, কৌতূহলী, কল্পনাপ্রবণতার কারণে এতে (পডকাস্ট) আমাদের আড্ডা এবং আমাদের চারপাশের পরিবেশের প্রশংসা থেকে প্রচুর পরিমাণে ধার করা হয়েছে।

আমাদের চলমান ধারাবাহিকের অংশ হিসেবে ডিজিটাল স্থানে আফ্রিকীয় ভাষা প্রচারকারী সক্রীয় কর্মীদের কাজ তুলে ধরে আমরা পডকাস্ট পৃষ্ঠপোষকদের কাছে পৌঁছেছি।

রাইজিং ভয়েস (আরভি): অনুগ্রহ করে আপনাদের নিজেদের এবং আপনাদের ভাষা-সম্পর্কিত কাজ সম্পর্কে আমাদেরকে বলুন।

শাগ্‌জ উপাখ্যান (এসসি): শাগ্‌জ উপাখ্যান পডকাস্টটি জনগণকে Gĩkũyũ (কিকুইয়ু) ভাষার প্রেমে পড়তে এবং তাদের সংস্কৃতি বোঝার জন্যে ধাপের একটি পাথর হিসেবে ভাষাকে ব্যবহার করতে বলে। কথোপকথনের অংশ হিসেবে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে, জানতে এবং অন্যদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে শেখানোই হলো আমাদের লক্ষ্য। আমরা গল্প, সাধারণভাবে ব্যবহৃত উক্তি, প্রবাদ ইত্যাদির মাধ্যমে শেখার জন্যে ভাষাকে মজাদার করে তুলি৷ একটি আদিবাসী প্রেক্ষাপটে আমাদের বেড়ে ওঠার গল্পগুলিকে আমরা আমাদের ভাষাকে ডিজিটাল স্থানের প্রচার করার উপায় হিসেবে ভাগাভাগি করে থাকি।

আরভি: অনলাইন ও অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই আপনার ভাষার বর্তমান অবস্থা কী?

এসসি: আমরা অফলাইন এবং অনলাইন উভয় ক্ষেত্রেই কিছু ভালো ফল পেয়েছি। ভাষাটি অফলাইনে প্রায়শই ব্যবহৃত হয় এবং “মকিকুইয়ু নি ওয়া বিয়াশারা” (একজন কিকুইয়ু ব্যক্তি শুধু অর্থ উপার্জন/ ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত) এর কারণে বিশেষ করে ব্যবসায় যোগাযোগের জন্যে এটি ব্যবহার করে বলে তরুণ ও বয়স্ক লোকেদের পরিপ্রেক্ষিতে উন্নতি করেছে।

ভাষাটির অনলাইনের জন্যে সারা বিশ্বের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। এটা হচ্ছে পডকাস্ট এবং কবিতার মাধ্যমে। উদাহরণস্বরূপ ইউটিউবে আপনি যেমন জেফ কুরিয়া টিভি, কিকুইয়ু ডিজিটাল টিভির মতো অনেক গল্প বলার চ্যানেল পাবেন। এটা বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে প্রদর্শন করে। বিশ্বের যেকোন জায়গায় বাড়িতে থাকার অনুভূতি পাওয়ার জন্যে ইন্টারনেটকে ধন্যবাদ।

আরভি: এমন কিছু চ্যালেঞ্জ বর্ণনা করুন যা আপনার ভাষাকে অনলাইনে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা থেকে বাধা দেয়। নীতি-নির্ধারণের দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক কাঠামোর অভাব আছে কি:

এসসি: ডিজিটাল স্থানের একটা ভাল সংখ্যক লোক আদিবাসী ভাষার ব্যবহারকে উপজাতিবাদ চর্চার সাথে গুলিয়ে ফেলে এর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে।

আরভি: কিছু পারিভাষিক এবং অথবা প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ বর্ণনা করুন যা আপনার ভাষার পরিপূর্ণ অনলাইন ব্যবহারকে বাধা দেয়।

এসসি: ভাষাটির অনুবাদ। শুধু অল্প কিছু অনলাইন ব্যবহারকারী ভাষাটি বোঝে। স্থানীয় ভাষাগুলিকে কিসোয়াহিলির মতো অনুবাদ করার সুযোগ দেওয়া হলে তা একটা বিশাল পার্থক্য তৈরি করবে এবং প্রভাব ফেলবে। এটি ভাষাটির বিকাশ নিশ্চিত করবে।

আরভি: ব্লগিং, ভ্লগিং বা অন্যান্য মঞ্চগুলি বাদ দিয়ে পডকাস্ট মাধ্যম বেছে নেওয়ার কিছু কারণ বলবেন কি?

এসসি: প্রদর্শনীগুলোতে আমাদের শ্রোতাদের সম্পূর্ণরূপে নিমগ্ন হওয়ার সুযোগ দেয় বলে আমরা পডকাস্ট বেছে নিয়েছি। পডকাস্ট শ্রোতাদের পরোক্ষভাবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয় বলে আমাদের শ্রোতারা কেনিয়ার ট্রেন বা সমুদ্র সৈকত অথবা বিশ্বের অন্য যেকোন জায়গা থেকে আমাদের কথা শুনতে পারে৷

আরভি: আপনার অনুমানগুলির মধ্যে কোন কোনগুলি বাতিল বা নিশ্চিত করা হয়েছিল? এছাড়াও কোন চমক আছে কি?

এসসি: আমরা ভেবেই নিয়েছিলাম যে এধরনের একটি বিষয়ের কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব ফেলতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে। আর আমরা আমাদের নিজস্ব গতিতে বিষয়বস্তু আপলোড করব। আমরা খুব একটা জানতাম না যে আমাদের বিষয়বস্তু এমন এক ধরনের যে আমাদের এই বিষয়বস্তু মন্থন করার গতি বাড়াতে হবে।

আমরা আমাদের বিষয়বস্তুর গ্রহণযোগ্যতা দেখে বিস্মিত হয়েছি। আমাদের অনুরাগীরা আমাদের বিষয়বস্তুর সাথে যুক্ত থেকে এমনকি এটি আরো ব্যাপকভাবে ভাগাভাগি করে নিয়েছে। আমরা আমাদের আবেগ থেকে প্রভাব ফেলতে পারার কথা জানতে পেরে অবনত হয়েছি।
আরেকটি আশ্চর্যের বিষয় হলো আমরা যেমন আমাদের [১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে জন্ম নেওয়া এক্স প্রজন্ম], সহস্রাব্দ এবং জেড – এই তিনটি প্রজন্মের সাথে কথা বলছি।

আরভি: ইন্টারনেট কোম্পানি অথবা ডিজিটাল মঞ্চের মালিকদের কোন  কোন প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ অনলাইনে ভাষাটির ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

এসসি: ডিজিটাল মঞ্চগুলি স্থানীয় ভাষায় ডিজিটাল সরঞ্জামের নকশা করা শুরু করতে এবং প্রবেশযোগ্যতা এবং সংযোগের সমর্থন অব্যাহত রাখতে পারে।

আরভি: অনলাইন এবং অফলাইনে ভাষার বর্তমান বৃদ্ধি ভাষার মৌখিক/ অডিও দিকগুলির দিকে বেশি ঝুঁকছে। এটির লিখিত/ পঠিত দিকগুলির উপর এটি কী প্রভাব ফেলতে পারে।

The Shagz chronicles podcast logo

শাগ্‌জ উপাখ্যান পডকাস্টের লোগো

এসসি: শিক্ষা ও সামাজিক ব্যবস্থার কারণে বেশিরভাগ মানুষ স্বাভাবিকভাবেই লেখার চেয়ে অডিওর দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে। লিখিত দিকটি মূলত পণ্ডিতদের জন্যেই সংরক্ষিত।

মৌখিক ভাষার বৃদ্ধি লেখার দক্ষতার একটি অতি প্রয়োজনীয় ভিত্তি প্রদান করার মাধ্যমে ভাষার লিখিত দিকগুলির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

মৌখিক দিকে ঝুঁকে পড়ার মানে আমাদের কাছে এটাও যে মৌখিক বক্তাদের লেখকে রূপান্তর করার একটি বড় সুযোগ রয়েছে।

আরভি: অনলাইন এবং অফলাইনে আপনার মুখোমুখি হওয়া কিছু কিছু ভাষাভাষীদের জন্যে এটি কি উদ্বেগের বিষয়? যদি তাই হয়, তাহলে ভাষা ব্যবহারকারীরা বা যারা শিখতে চায় তারা যেন শুধু অডিওতে ফোকাস না করে তা নিশ্চিত করার জন্যে কী করা যেতে পারে?

এসসি: আমাদের কাছে ভাষা লিখতে পারার মতো খুবই কম লোক আছে বলে বেশিরভাগ ভাষাভাষী উদ্বিগ্ন। আমাদের কবিতার মতো ভাষার মৌখিক ও লিখিত উভয় দিকই বিকশিত করার একটি মঞ্চ দরকার।

আরভি: অল্পবয়সী লোকদের তাদের ভাষা শেখা শুরু করতে বা তাদের ভাষা ব্যবহার চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করার জন্যে কোন দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

এসসি: দৈনন্দিন কাজকর্মে আমাদের ভাষা ব্যবহার করা। বিদ্যমান এবং দৈনন্দিন স্থান সমৃদ্ধ করা। তরুণরা বুঝতে পারে এমনভাবে ভাষা শেখানো এবং পাস করা।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .