সেতসোয়ানা ভাষা কর্মী ওরাটাইল অলিভিয়া গাবাফেথের সাথে সাক্ষাৎকার

ওরাটাইল অলিভিয়া গাবাফেথের দেওয়া ছবি, অনুমতিসহ ব্যবহৃত।

ডিজিটাল জগতে আফ্রিকীয় ভাষা প্রচার কর্মীদের কাজ তুলে ধরার চলমান ধারাবাহিকের অংশ হিসেবে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর পশ্চিম প্রদেশের মাফিকেং থেকে ওরাটাইল অলিভিয়া গাবাফেথে (@ওরাটাইল_অলিভিয়া)-কে উপস্থাপন করতে চাই।

ওরাটাইল একটি চলচ্চিত্রের একজন পেশাদার চিত্রনাট্যকার এবং তিনি লেরাতো মিলেংয়ের নিজের গল্প নারী ফিল্মনির্মাতা তৈরি প্রকল্পের অধীনে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সেতসোয়ানা-ভাষার চলচ্চিত্র “সেফেরি সে তুতেসে” এর প্রধান লেখিকা। ওরাটাইল “সমাজের প্রতি চিঠি” নামে আরেকটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখলেও সেটি এখনো মুক্তি পায়নি। তিনি সেতসোয়ানাকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য গণমাধ্যমে নিয়ে আসার ব্যাপারে আগ্রহী হলেও তার কাজ সব আফ্রিকীয় ভাষাকে উপকৃত করে।

রাইজিং ভয়েস (আরভি): অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই ভাষাটির বর্তমান অবস্থা কী?

ওরাটাইল অলিভিয়া গাবাফেথে (ওওজি): বিশ্বব্যাপী উপস্থাপন করতে আমার মাধ্যমটিতে ইংরেজি ভাষাই আসে। তবে আমার সম্পৃক্ততা অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই সেতসোয়ানা, ইসিজুলু, ইসিক্সোসা, সেপেডি, সেসোথো এবং স্বাতি ভাষার সাথে সম্পর্কিত। আমার কাজের মাধ্যমে আমি ভেন্দা ভাষা, জিটসোঙ্গা শেখা চালিয়ে যাচ্ছি এবং আমি আমার আফ্রিকীয় শব্দভাণ্ডারের সাথে সমৃদ্ধ হয়ে উঠছি।

শিল্পের সাথে আসা সমস্ত ভ্রমণের সাথে সাথে আমি বিভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জীবনধারার সাথে পরিচিত হয়ে আমি নিজেকে তাদের সবার জন্যে উন্মুক্ত এবং আমার এই সম্পৃক্ততায় আমি উন্নতি লাভ করছি বলে মনে করি। আমার সেতসোয়ানা প্রকল্পগুলি থাকা স্বত্ত্বেও আমি নিজ নামে মাধ্যম হিসেবে এখনো আসতে থাকা বিভিন্ন ভাষায় আরো প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি।

আরভি: ডিজিটাল মণ্ডলে আপনার ভাষার উপস্থিতি দেখার জন্যে আপনার অনুপ্রেরণা কী?

ওওজি: পরবর্তী প্রজন্ম আমার প্রেরণা হিসেবে থেকে যাচ্ছে।

আমার পরে যারা বাস করতে আসা আসছে তাদের দেখা এবং নিজেদের পরিবর্তন না করে তাদের আলিঙ্গন করার চেয়ে আর কিছুই আমার হৃদয়কে আশীর্বাদ করবে না। বড় হয়ে আমাদের মধ্যে সেটা ছিল; সেখানে সেতসোয়ানা ছিল এবং সবাই না হলেও বেশিরভাগ লোকের ভাষা হিসেবে সেতসোয়ানা ভাষায় কিছু বলার ছিল।

তবে বছরের পর বছর ধরে এটা রাডারে নেমে আসে যে হয় ভাষাটিকে ভুলভাবে চিত্রিত করা হয়েছে অথবা একেবারেই বিবেচনা করা হয়নি। জনগণের দ্বারা, জনগণের প্রতি, তার জনগণের জন্যে ভাষা সংরক্ষণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সবই আমার অনুপ্রেরণার অংশ।

আরভি: এমন কিছু চ্যালেঞ্জ বর্ণনা করুন যা আপনার ভাষাকে অনলাইনে পুরোপুরি ব্যবহৃত হতে বাধা দেয়।

ওওজি: সেতসোয়ানা ভাষাকে তার নিজের লোকেরা, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের তরুণরা ‘গ্রামীণ’ হিসেবে দেখে থাকে। তাই আমাদের অনলাইনের স্থানগুলিতে বিষয়বস্তুর অভাব রয়েছে। সমস্যাটিকে মাথায় নিয়ে সেখান থেকে বিষয়বস্তু বের করে অনাগ্রহী জনগণকে সেটা গ্রহণ করতে রাজি করানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে। মূল এবং প্রামাণিক হতে চাওয়ার পরিবর্তে অন্য সংস্কৃতির অংশ হতে এবং অন্য ভাষায় কথা বলার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরভি: অল্পবয়সী লোকদের তাদের ভাষা শেখা শুরু করতে বা তাদের ভাষা ব্যবহার চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করার জন্যে কোন কোন দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

ওওজি: আমরা কখনোই পছন্দ পরিবর্তনের জন্যে অপেক্ষা করে বসে থাকতে পারি না। একটি জিনিস যা করা যেতে পারে তা হলো বিষয়বস্তু তৈরি করা চালিয়ে যাওয়া এমনকি আরোও বেশি লোককে শিক্ষিত করার জন্যে কর্মশালা চালানো এবং ধীরে ধীরে তাদের শিকড়ে ফিরিয়ে আনা। এই কাজের মাঝখানে এমন একজন ব্যক্তিকে দরকার যিনি তাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে সত্যিকারের অনুরাগী ব্যক্তিদেরকে আসলে সেই একই কাজ করতে শেখান। জনগণের জন্যে ভাষার স্থান উন্মুক্ত করার পদক্ষেপটি নেওয়া যেতে পারে এবং এটা কার্যকর বলে প্রমাণিত।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .