ভেলিনা বারোভার এই নিবন্ধটি প্রথমে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ কভার করা একটি ই-ম্যাগাজিন নীল সংযোগের গল্প-তে প্রকাশিত হয়েছিল। গ্লোবাল ভয়েসেস-এর সাথে একটি বিষয়বস্তু ভাগাভাগির অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এর সামান্য সম্পাদিত একটি সংস্করণ এখানে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে।
জলবায়ুর জন্যে ক্ষতিকর নির্গমন কমানোর লড়াইটি হলো নারী অধিকারের লড়াই। বুলগেরিয়াসহ সারাবিশ্বের উভয় সমস্যার প্রচারকেরা বারংবার এই একই উপসংহারে পৌঁছেছে। গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের প্রাক্কালে তারা আলোচনা ও নীতিমালার জন্যে আহ্বান জানিয়েছে যা নারীদের কণ্ঠকে উচ্চকিত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাদের উপর নির্দিষ্ট নেতিবাচক প্রভাবগুলোর সমাধান দাবি করেছে।
২০২০ সালের ৮ মে তারিখে সোফিয়ায় নারী অধিকার মার্চে সমস্যাটি সম্পর্কিত সমস্ত উজ্জ্বল বার্তাগুলির মধ্যে একটি পোস্টার আলাদা ছিল। এটি নারীদের অধিকার সম্পর্কে কথা বলার স্বাভাবিক সীমানা অতিক্রম করে “ধরিত্রী মাতা নারীদের সংগ্রামের একটি অংশ” বিষয়ে একটি বিস্তৃত আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
“সম্ভবত উভয় পক্ষই সমান অবজ্ঞার শিকার,” পোস্টারটির লেখিকা দেড় বছর পরে বলেন। তরুণ সক্রিয় কর্মী দারিনা কোকোনোভা ব্যাখ্যা করেন যে শব্দ চালনার মাধ্যমে তিনি সমস্ত নারী এবং মায়ের মতো মানুষকে জন্ম দেওয়া এবং তাদের লালনকারী পৃথিবীকে একজন মা হিসাবে উপস্থাপন করেছেন। কোকোনোভা ২০১৮ সালে গ্রেটা থানবার্গের শুরু করা আন্তর্জাতিক জলবায়ু আন্দোলনের অংশ হিসেবে ”বুলগেরিয়ার ভবিষ্যতের জন্যে শুক্রবার” যুব আন্দোলনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জন্যে পোস্টার তৈরি করেছিলেন।
বিভিন্ন কর্মী গোষ্ঠীর একজন অংশগ্রহণকারী হিসাবে কোকোনোভা অনেকগুলো কারণের সাথে জড়িত। প্রায়শই একটি কারণের জন্যে রাস্তায় বিক্ষোভ করার সময় তিনি কেন অন্য বা তৃতীয় কারণটির জন্যে প্রতিবাদ করছেন না তা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন। “আমি প্রতিবাদ করছি!” তার স্বাভাবিক এবং সৎ প্রতিক্রিয়া। “এটা খুবই অস্বস্তিকর যে মানুষ বিভিন্ন কারণগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে না; আমার কাছে সেগুলো একটা বড় কারণের অংশ,” তিনি ব্যাখ্যা করেন। আর তিনি মনে করেন যে বুলগেরিয়ার নারী আন্দোলনে এই দৃষ্টিভঙ্গিটি অনুপস্থিত।
কোকোনোভা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে আমরা সকলেই প্রকৃতি থেকে এসেছি এবং আমরা সকলেই এর থেকে নিজেদের কিছুটা বিচ্ছিন্ন করলেও তিনি বিশ্বাস করেন যে শিশুদের এবং বাড়ির যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে আদি ভূমিকার কারণে প্রকৃতির সাথে নারীদের সংযোগ অধিকতর শক্তিশালী। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে নাগরিক আন্দোলনের জন্যে নারীদের সংগ্রাম এবং তাদের সাথে যুক্ত গৃহস্থালী কর্মের সম্মানে তিনি নারীর চারটি প্রতিকৃতি অঙ্কন করেন। প্রতিকৃতিগুলি চাদরের উপর কাঠকয়লা দিয়ে গৃহস্থালী কর্মের সাথে যুক্ত সমস্ত প্রাকৃতিক উপাদান — বিট, শুকনো মরিচ, হলুদ, বেকিং সোডা, পালংশাক — থেকে নেওয়া রঙের ছোপসহ আঁকা হয়েছে, দাগ রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন:
“মাটির সাথে কাজ করা এবং এর উপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে বিশেষ করে শহরের বাইরের নারীরা প্রায়শই সর্বপ্রথম জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করে।”
একজন নারীর দৃষ্টিকোণ
বুলগেরীয় নারী তহবিলের রাদা এলেনকোভা বলেন, নারীর অধিকার জলবায়ু ন্যায়বিচারের সাথে দৃঢ়ভাবে জড়িত। “জলবায়ু পরিবর্তন নারীদেরকে অনেকাংশে প্রভাবিত করে – তাদেরকে সম্পদের দাবি এবং এতে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত করে।” আর এগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের নির্দিষ্ট কিছু পরিণতি মাত্র:
“বুলগেরিয়া এবং বিশ্বব্যাপী উভয় ক্ষেত্রেই দারিদ্র্য নারীসুলভ – দরিদ্র জনসংখ্যার একটি অনেক বড় অংশই হলো নারী। এটা তাদের স্বাস্থ্য এবং তাদের অধিকার সুরক্ষার জন্যে তথ্য এবং পর্যাপ্ত সমাধান থেকে বঞ্চিত করে।”
২০১৮ সালে নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণের কনভেনশন (সিইডিএডাব্লিউ) প্রকাশিত “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের জেন্ডার-সম্পর্কিত মাত্রার উপর “সাধারণ সুপারিশ নং ৩৭ অনুসারে, নারী এবং নারী নেতৃত্বাধীন পরিবারগুলি অনুপযুক্ত স্বল্পমূল্যের আবাসনে বসবাস করার সম্ভাবনা বেশি থাকায় তা তাদের বন্যা, ঝড়, ভূমিকম্প এবং ভূমিধ্বসের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।” জাতিসংঘের মতে, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের ৮০% হলো নারী।”
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় অনুসারে, এর সাথে মৌলিক অবকাঠামোর ধ্বংস যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবার গুণমান এবং অ্যাক্সেসযোগ্যতা হ্রাস করতে পারে, যার ফলে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ এবং জন্মকালীন মৃত্যু হতে পারে। সিইডিএডাব্লিউ বলেছে, নারী ও মেয়েরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এবং পরে যৌন সহিংসতা ও শোষণ, গার্হস্থ্য সহিংসতা এবং বাল্য অথবা জোরপূর্বক বিয়েসহ লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বর্ধিত ঝুঁকিতে থাকে। ২০২০ সালের মার্চে পুলিৎজার কেন্দ্র জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন উত্তর কেনিয়ার মেয়েদেরকে বাল্যবিয়ে এবং যৌনাঙ্গ কর্তনের মতো প্রথাগত অভ্যাসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা যায় জলবায়ু পরিবর্তন-সম্পর্কিত পঙ্গপালের আক্রমেণ পরবর্তী তিনটি খরা মৌসুমের কারণে কীভাবে প্রাণী সম্পদ হ্রাস এবং এদের মৃত্যু ঘটে; যা মরিয়া পরিবারগুলিকে অর্থের জন্যে তাদের মেয়েদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে অনুকুল দেশে পাঠিয়ে খৎনা করিয়ে এনে কেনিয়ার বাইরে বিয়ে দিতে বাধ্য করে।
জলবায়ু পরিবর্তন নারীরা যেখানে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন এমন শ্রমবাজারে বৈষম্যকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাদের প্রতি পরিবারের বর্ধিত প্রত্যাশা এবং চাহিদা পূরণের আশা তাদের শ্রমবাজারে ফিরে আসা কঠিন করে তুলবে বলে মানবাধিকারের হাইকমিশনারের কার্যালয় সারসংক্ষেপে জানিয়েছে।
কৃষিকাজে নারী
এক বছর আগে দারিনা কোকোনোভা তার দাদির সাথে দোব্রুজার একটি ছোট শহরের বাজারে গিয়েছিলেন। সেখানে লোকেদের মধ্যে – বছরটিতে খরার কারণে ফসল কম – এমন কথোপকথন শুনে তিনি তাদের উদ্বেগ অনুভব করতে পেরেছিলেন। “বেশিরভাগ সময় এই কথোপকথনগুলি বড় শহরগুলিতে না হলেও গ্রামের লোকেরা — খরা এবং বন্যা — উভয় বাস্তবতাই অনুভব করে,” কোকোনোভা উল্লেখ করেন৷
“জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জৈব উৎপাদকসহ ক্ষুদ্র উৎপাদক হিসেবে কৃষিতে কর্মরত নারীরা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত,” বলেছেন ”ধরিত্রীর জন্যে” পরিবেশ সংস্থার রাদোস্টিনা স্লাভকোভা। উপসংহারে স্লাভকোভা বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের, বিশেষ করে শুধু অতিবৃষ্টির জন্যে নয় খরার জন্যেও সময়মত সতর্কতার একটি ব্যবস্থা থাকা তাদের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “বুলগেরিয়াতে খরা প্রত্যাশিত হলে যে ফসলগুলি বপন করা হয় সেগুলো অবশ্যই আরো খরা প্রতিরোধী হতে হবে৷ আমাদের অনেক অঞ্চল রয়েছে এটিই জীবনযাত্রার প্রধান উৎস।”
স্লাভকোভা কয়লা খনি অঞ্চলে বসবাস করে সারাজীবন এই শিল্পে কাজ করার নেতিবাচক প্রভাবের শিকার নারীদের প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একইসাথে তারা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের নেতিবাচক প্রভাবের মুখোমুখি হয়, তিনি বলেন। একারণে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবির মধ্যে মানবাধিকার ও নারী অধিকার উভয় লড়াইই অন্তর্ভুক্ত, তিনি বলেন।
ন্যায়বিচার নীতিমালা
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলির মধ্যে একটি হলো স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে নারী, যুবক এবং স্থানীয় ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের উপর বিশেষ জোর দিয়ে সক্ষমতা-নির্মাণের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা। বুলগেরীয় নারী তহবিলের কর্মীরা বিশ্বাস করে বুলগেরিয়ায় এই সম্প্রদায়গুলির জন্যে সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০২১ সালের গোড়ার দিকে তহবিলটি একটি নতুন কর্মসুচি, “সমতা ও জলবায়ু ন্যায়বিচার” চালু করেছে। এটি জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক বৈষম্য মোকাবেলায় আগ্রহীদের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন দলকে এই সমস্যাগুলির সমাধান করার মতো প্রকল্পের জন্যে প্রতিযোগিতার প্রস্তাবের পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায়গুলিকে এসব মোকাবেলায় জড়িত করে। ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী, প্রত্যন্ত জনবসতি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী ও জনগণকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর সামাজিক পরিণতি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করার পর তাদেরকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিতর্কে যুক্ত করা এই কর্মসূচির লক্ষ্য।
“দীর্ঘমেয়াদে জলবায়ু পরিবর্তনে এই জনগণই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে কম অবদান রাখে এবং তথ্য ও সম্পদে অনুপ্রবেশের মতো অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। এসব কিছু তাদেরকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া থেকে অনেক দূরে থাকা কণ্ঠস্বরহীন মানুষ হওয়ার মতো বেখাপ্পা অবস্থানে নিয়ে যায়,” কর্মসুচির সমন্বয়কারী রাদা এলেনকোভা ব্যাখ্যা করেন।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে লিঙ্গগত দিকগুলির গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয় যা বুলগেরিয়া ২০১৬ সালে অনুস্বাক্ষর করে৷ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দলগুলি লিঙ্গ সমতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যে জাতীয় সমন্বয়কারী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বুলগেরিয়া এই ধরনের একজন সমন্বয়কারী নিয়োগ করা দেশগুলির মধ্যে নেই।
রাদোস্টিনা স্লাভকোভা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে জলবায়ু কর্মী এবং বিশেষজ্ঞ সংস্থার মধ্যে অনেক নারী থাকলেও সর্বোচ্চ স্তরে জলবায়ু আলোচনায় নারীরা এখনো কম প্রতিনিধিত্ব করে। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর তারিখে ৪০০ জনেরও বেশি নারী জলবায়ু নেতা ব্রিটিশ সরকারের কাছে পাঠানো ২০২১ সালের নভেম্বরে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (কপ২৬)-এ উচ্চ-স্তরের দলে পুরুষ ও নারীদের “ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব” রাখার আহ্বান জানানো একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে। এই খোলা চিঠিটি পাঠানোর সময় আসন্ন সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলিতে ২৫% এরও কম নারীরা ছিল বলে জানিয়েছে ইউরোনিউজ।
স্লাভকোভা ২০২১ সালের জুনে ইউরোপীয় সংসদের গ্রহণ করা ইউরোপীয় জলবায়ু আইনে এই সমস্যার একটি সম্ভাব্য সমাধান দেখতে পান। ২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপীয় কার্বন নিঃসরণ ৫৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু নিরপেক্ষতা অর্জন করা এর লক্ষ্য:
“আমরা যতো দ্রুত নিঃসরণ কমাতে পারবো, নারীসহ ঝুঁকিপূর্ণ সকল গোষ্ঠীর কম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ততো বেশি।”
“ইউরোপীয় জলবায়ু আইন রাষ্ট্রগুলিকে প্রভাবিত সকল গোষ্ঠীকে জড়িত করতে বাধ্য করে এবং প্রতিটি ইইউ সদস্য রাষ্ট্র তাদের স্থানীয় আইনের মাধ্যমে এটি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” যোগ করেছেন পরিবেশ নীতির জন্যে নীল_সংযোগ ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ্য বিশ্লেষক প্লামেন পিভ। ২০২১ সালের মার্চ মাসে নীল_সংযোগ ইউরোপীয় জলবায়ু আইনের সাথে বুলগেরীয় জলবায়ু আইনের তুলনা করে এর উন্নতির জন্যে সুপারিশ প্রণয়ন করে।
ইউরোপীয় জলবায়ু আইন বাস্তবায়ন সমর্থন করার লক্ষ্যে একটি উদ্যোগ হল ইউরোপীয় জলবায়ু চুক্তি প্রতিষ্ঠা করা, যা জলবায়ু কর্মে অংশ নিতে এবং একটি সবুজ ইউরোপ গড়তে জনগণ, সম্প্রদায় এবং সংস্থাগুলিকে আমন্ত্রণ জানায়। “এটা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, পেশা এবং বিভিন্ন খাতের নারীদের কণ্ঠস্বর শুনতে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে একটি বড় কণ্ঠস্বর এবং ভূমিকা রাখা অনেক সহজ করে তুলবে,” প্রক্রিয়াটি কীভাবে কাজ করবে সেটা এখনো স্পষ্ট নয় জানিয়ে স্লাভকোভা বলেন।
সঠিক সিদ্ধান্তগুলি জনগণের সবচেয়ে বিস্তৃত বৃত্তের মধ্যে আলোচনা করার জন্যে এটা একটা নাগরিক জলবায়ু সংসদের মতো করে সংগঠিত হওয়া উচিত যেখানে বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক উভয়ই অংশগ্রহণ করে নারীর অধিকারসহ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগাভাগি করতে পারে বলে জলবায়ু কর্মীরা সুপারিশ করেছে, স্লাভকোভা যোগ করেন।
এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আলোচনা শুধুমাত্র উচ্চ-স্তরের ফোরামেই নয় রাস্তাতেও হয়তো অন্যান্য কারণের আয়োজনগুলোতেও হচ্ছে৷ দারিনা কোকোনোভা সংহতি ও পারস্পরিক সংযোগ বোধের মাধ্যমে পৃথিবীকে শুধু একজন মা হিসেবেই নয়, বোন হিসেবেও ভাবার ধারণার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন: “প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে মানুষ তাদের পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রেখেছে, কারণ তারা বুঝতে পারে যে তারা এর উপর নির্ভরশীল।”