এই পোস্টটি মূলত ভারতের একটি পুরষ্কারপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গত মিডিয়া সংস্থা স্বেচ্ছাসেবী_ভিডিও [2]তে প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয়বস্তু ভাগাভাগি করে নেওয়ার চুক্তির অংশ হিসাবে এখানে একটি সম্পাদিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে সম্প্রদায়গত স্বেচ্ছাসেবী_ভিডিওর সংবাদদাতা বাশারাত আমিন [3] জম্মু ও কাশ্মিরে সংবাদপত্রের জম্মু ও কাশ্মিরে [4]র স্বাধীনতার বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে দৈনিক কাশ্মির টাইমস [5] পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিনের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের ৫ আগস্ট তারিখে ভারতীয় সরকার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি [6]) নেতৃত্বে জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যকে বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা প্রদান করা ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা [7] বাতিল করে দিয়েছিল। কয়েকশ রাজনৈতিক নেতা [8]কে গৃহবন্দী এবং মোবাইল, ল্যান্ডলাইন ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে প্রবেশাধিকার স্থগিত করা হয়েছিল [9]। চলাচলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় রাস্তাগুলো অবরোধ এবং প্রতিবাদকারীদের আটক করা হয়েছিল [10]।
বিশেষ কভারেজ পড়ুন: কাশ্মিরের সংকটের অভ্যন্তরে [11]
এই সাক্ষাৎকারে ভাসিন নব্বইয়ের দশকে [12] উপত্যকায় ভারতীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে [13]র শুরু থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে প্রায় ১৮ মাস ধরে [14] ৪র্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট অবরোধ প্রত্যাহার করা বর্তমান পরিস্থিতি পর্যন্ত সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে কথা (ইংরেজিতে) বলেছিলেন।
অনুরাধা ভাসিন [15] জম্মু ও কাশ্মিরের অন্যতম প্রাচীন একটি সংবাদপত্রের জন্যে কাজ করেন। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার একজন শক্তিশালী সমর্থক এবং মোদি [16] সরকারের সমালোচক হওয়ার কারণে সংবাদের বিষয়বস্তু ছিলেন। তিনি জম্মু ও কাশ্মিরের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে কার্যকর হওয়া যোগাযোগের নিষেধাজ্ঞাগুলি বাতিল করার জন্যে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন [17]। তার অনুরোধে [18]র কারণেই ভারত সরকার কাশ্মিরের লকডাউন অঞ্চলে ২য় প্রজন্মের জি ডেটা ইন্টারনেট পরিষেবা পুণঃস্থাপন [19] করেছিল।
ভাসিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের নজরদারি ও হয়রানির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “স্থানীয় সংবাদপত্রগুলি সরকারের সমালোচনামূলক কোন কিছু প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছিল।” তিনি সাংবাদিকদেরকে বিশেষ করে নিপীড়িত ও প্রান্তিক জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারটি আপাতদৃষ্টে কাশ্মিরে প্রণীত নতুন মিডিয়া নীতিমালা [20]য় ভুল তথ্য বা মিথ্যা সংবাদের বিস্তারের উপর মনোনিবেশ করেছিল। ভাসিন বলেন, “টিভি চ্যানেলগুলি ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া শুরু করলেও এদের কোন কোনটি ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষে থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।”